নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এবার জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সংসদে এসে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির ছয়জন সদস্য। সেদিন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিলেও এমপি হারুন বিদেশে থাকায় তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।
হারুনের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিএনপির দলীয় সব সংসদ সদস্যের পদত্যাগ নিশ্চিত হলো। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সময় হারুনুর রশীদের সঙ্গে ছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন ও জি এম সিরাজ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও পদত্যাগকারী সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে আমাদের দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আমি বিদেশে থাকায় স্বাক্ষরকৃত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে স্পিকারের উপস্থিতিতে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হয়। তাই সেদিন আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। গতকাল রাতে দেশে ফিরেই আজকে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
হারুনুর রশিদ বলেন, ‘দেশ এখন আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। জাতীয় সংসদ মহাজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এখানে কোনো বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য নেই। এটি একদলীয় সংসদ। আমাদের সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধিতে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাইছে, এভাবে করতে চাইলে অবশ্যই সংবিধান ও আইনের পরিবর্তন আনতে হবে।’
৭ ডিসেম্বর বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে হারুন বলেন, এটি গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতা, জঙ্গি মামলা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে দাবি করে বলেন, এটি আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। দেশে আইনের শাসনের লেশমাত্র নাই। দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ এবং মুক্ত মত প্রকাশে সাংবিধানিক অধিকার সরকার নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই সংবিধান বিলুপ্ত ও বাতিল করতে হবে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ ও তার শরিকদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন প্রহসন ও উপহাসে পরিণত হয়েছে।
সরকার কূটকৌশল ও অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বলে দাবি করেন হারুন। তিনি আওয়ামী লীগ ও তাদের মহাজোটিয় শরিকদের সংসদ থেকে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। বিএনপির মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের সিনিয়র নেতাদের মুক্তি দাবি করেন হারুন।
প্রধানমন্ত্রী জনসভা করে নৌকায় ভোট চাইছেন, কিন্তু বিএনপি ও তাদের জোট নির্বাচনে অংশ না নিলে আগামী নির্বাচন ফাঁকা মাঠে গোল হবে বলে দাবি করেন হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সরকার যদি একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়, তাহলে শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যেভাবে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল, সেইভাবে আইন ও সংবিধান পরিবর্তন করে সংবিধান সংশোধন করে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বিলুপ্ত করে করতে পারে ইচ্ছে করলে। কিন্তু জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না।
হারুন বলেন, ‘পদত্যাগপত্র স্পিকারের গ্রহণ না করার সুযোগ নেই। তিনি আমাদের অনুরোধ করে বলেছেন, আপনারা সংসদ থেকে পদত্যাগ না করলেই পারতেন। সংসদে আপনাদের বক্তব্য বলতে পারতেন।’
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান বিএনপির সাত এমপি।
এবার জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সংসদে এসে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির ছয়জন সদস্য। সেদিন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দিলেও এমপি হারুন বিদেশে থাকায় তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি স্পিকার।
হারুনের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিএনপির দলীয় সব সংসদ সদস্যের পদত্যাগ নিশ্চিত হলো। পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সময় হারুনুর রশীদের সঙ্গে ছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা সাবেক সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন ও জি এম সিরাজ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও পদত্যাগকারী সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে আমাদের দলীয় সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আমি বিদেশে থাকায় স্বাক্ষরকৃত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে স্পিকারের উপস্থিতিতে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হয়। তাই সেদিন আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। গতকাল রাতে দেশে ফিরেই আজকে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।’
হারুনুর রশিদ বলেন, ‘দেশ এখন আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না। জাতীয় সংসদ মহাজোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে। এখানে কোনো বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য নেই। এটি একদলীয় সংসদ। আমাদের সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধিতে এ ধরনের কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাইছে, এভাবে করতে চাইলে অবশ্যই সংবিধান ও আইনের পরিবর্তন আনতে হবে।’
৭ ডিসেম্বর বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে হারুন বলেন, এটি গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দলীয় নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতা, জঙ্গি মামলা দিয়ে আটক রাখা হয়েছে দাবি করে বলেন, এটি আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। দেশে আইনের শাসনের লেশমাত্র নাই। দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশ এবং মুক্ত মত প্রকাশে সাংবিধানিক অধিকার সরকার নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই সংবিধান বিলুপ্ত ও বাতিল করতে হবে।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ ও তার শরিকদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন প্রহসন ও উপহাসে পরিণত হয়েছে।
সরকার কূটকৌশল ও অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে বলে দাবি করেন হারুন। তিনি আওয়ামী লীগ ও তাদের মহাজোটিয় শরিকদের সংসদ থেকে পদত্যাগের অনুরোধ জানান। বিএনপির মহাসচিবসহ নেতা-কর্মীদের সিনিয়র নেতাদের মুক্তি দাবি করেন হারুন।
প্রধানমন্ত্রী জনসভা করে নৌকায় ভোট চাইছেন, কিন্তু বিএনপি ও তাদের জোট নির্বাচনে অংশ না নিলে আগামী নির্বাচন ফাঁকা মাঠে গোল হবে বলে দাবি করেন হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, সরকার যদি একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়, তাহলে শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে তৃতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে যেভাবে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল, সেইভাবে আইন ও সংবিধান পরিবর্তন করে সংবিধান সংশোধন করে, সমস্ত রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম বিলুপ্ত করে করতে পারে ইচ্ছে করলে। কিন্তু জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না।
হারুন বলেন, ‘পদত্যাগপত্র স্পিকারের গ্রহণ না করার সুযোগ নেই। তিনি আমাদের অনুরোধ করে বলেছেন, আপনারা সংসদ থেকে পদত্যাগ না করলেই পারতেন। সংসদে আপনাদের বক্তব্য বলতে পারতেন।’
গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান বিএনপির সাত এমপি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) যুক্তরাজ্য থেকে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন পেছাতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এই অভিযোগের কথা জানান।
১৮ ঘণ্টা আগেসামনে গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এতে দেশের পুরোনো শাসনকাঠামো, সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
২১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, দেশের মাটিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে নির্বাচন নিয়ে কথা না বলে। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
১ দিন আগে