নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী নির্বাচনের আগেই ইভিএম বক্স বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সুচিকিৎসা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ন্যায়বিচারের দাবিতে জিয়া নাগরিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে তাঁরা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান। তাঁরা মনে করেন নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আমার একটা কথা মনে হয়, এই সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এই কথা শুনলে পশুপাখি, জানোয়ারও বিব্রত বোধ করে। সরকার বিব্রত বোধ করে না কেন? আগামী নির্বাচনের আগেই এই ইভিএম বক্স বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে।’
করোনাকে সরকার রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে নিয়েছে দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে যেভাবে সারা দেশে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, তাতে সরকার বিধিনিষেধ, ১৪৪ ধারা দিচ্ছে। সরকার ভীতসন্ত্রস্ত। বিএনপির শক্তি সরকার পরিমাপ করতে পেরেছে। সরকার যে জনরোষে পড়েছে, তা মোকাবিলা করতেই করোনাকে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে ৷ শতকরা ৮০ ভাগ জনগণ মনে করে, এই বিধিনিষেধ রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য দেওয়া হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে নয়।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, তিনি বলেছেন আমেরিকায় লক্ষাধিক লোক প্রতিবছর নিখোঁজ হয়। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, বাংলাদেশের অপকর্মের জন্য যদি আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে আর আপনি যখন নিশ্চিত আমেরিকায় এ রকম ঘটনা ঘটে, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি না কেন? আর আমেরিকায় যেটা ঘটে, সেটাই বাংলাদেশে ঘটবে এটাকে জায়েজ করার চেষ্টা কেন করেন?’
গয়েশ্ব বলেন, ‘কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে কিছু বিলাপ-প্রলাপ হলো। পরে সরকারি দলই আইনের প্রস্তাব করল। মাঝখানে আইনমন্ত্রী বললেন, আইন তো জটিল ব্যবস্থা। এত তাড়াতাড়ি করা যাবে না। এখন শুধু আইন না, ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন যা যা করেছে, তার সবকিছুর বৈধতাও দিয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। কিন্তু তাঁরা এত দিন যা করছেন তা বেআইনি। এখন একটা আইনি প্রলেপ দেওয়া হলো। অর্থাৎ, এত দিন বিনা কাবিনে সংসার করছেন, এখন কাবিন করা হলো।’
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা বিদেশে চলে যায়, রিজার্ভ চুরি হয়। আজ পর্যন্ত কেউ ধরা পড়ে না। এই সরকার রিজার্ভ চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত না হলে কাউকে ধরার চেষ্টা করে না কেন? কত খুনের আসামি ধরা পড়ে, সাগর-রুনীর আসামি ধরা পড়ে না কেন? এই রিজার্ভ চোর, খুনিদের প্রশাসন চেনে কিন্তু ধরে না।’
জেলকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো দেশটাই যখন জেলখানা, সেখানে ছোট্ট একটা কক্ষে যেতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পালাক্রমে এখানে অনেকেই আসবে, বের হবে। সামনে জেলখানা আরও বড় করতে হবে। কারণ পরে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁরা এত চোর, খুনি, সন্ত্রাসীদের এই জেলখানায় জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের এখন আর জেলে যাওয়ার পালা না, এখন জেলে যাওয়ার পালা তাঁদের।’
জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
আগামী নির্বাচনের আগেই ইভিএম বক্স বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, সুচিকিৎসা এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ন্যায়বিচারের দাবিতে জিয়া নাগরিক ফোরাম আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জকে তাঁরা উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান। তাঁরা মনে করেন নারায়ণগঞ্জে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। আমার একটা কথা মনে হয়, এই সরকারের নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এই কথা শুনলে পশুপাখি, জানোয়ারও বিব্রত বোধ করে। সরকার বিব্রত বোধ করে না কেন? আগামী নির্বাচনের আগেই এই ইভিএম বক্স বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে।’
করোনাকে সরকার রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে নিয়েছে দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে যেভাবে সারা দেশে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, তাতে সরকার বিধিনিষেধ, ১৪৪ ধারা দিচ্ছে। সরকার ভীতসন্ত্রস্ত। বিএনপির শক্তি সরকার পরিমাপ করতে পেরেছে। সরকার যে জনরোষে পড়েছে, তা মোকাবিলা করতেই করোনাকে আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহার করেছে ৷ শতকরা ৮০ ভাগ জনগণ মনে করে, এই বিধিনিষেধ রাজনৈতিক আন্দোলন মোকাবিলা করার জন্য দেওয়া হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনা করে নয়।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, তিনি বলেছেন আমেরিকায় লক্ষাধিক লোক প্রতিবছর নিখোঁজ হয়। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, বাংলাদেশের অপকর্মের জন্য যদি আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে আর আপনি যখন নিশ্চিত আমেরিকায় এ রকম ঘটনা ঘটে, তাহলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমেরিকাকে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছি না কেন? আর আমেরিকায় যেটা ঘটে, সেটাই বাংলাদেশে ঘটবে এটাকে জায়েজ করার চেষ্টা কেন করেন?’
গয়েশ্ব বলেন, ‘কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন আইন নিয়ে কিছু বিলাপ-প্রলাপ হলো। পরে সরকারি দলই আইনের প্রস্তাব করল। মাঝখানে আইনমন্ত্রী বললেন, আইন তো জটিল ব্যবস্থা। এত তাড়াতাড়ি করা যাবে না। এখন শুধু আইন না, ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন যা যা করেছে, তার সবকিছুর বৈধতাও দিয়েছে এই আইনের মাধ্যমে। কিন্তু তাঁরা এত দিন যা করছেন তা বেআইনি। এখন একটা আইনি প্রলেপ দেওয়া হলো। অর্থাৎ, এত দিন বিনা কাবিনে সংসার করছেন, এখন কাবিন করা হলো।’
সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা বিদেশে চলে যায়, রিজার্ভ চুরি হয়। আজ পর্যন্ত কেউ ধরা পড়ে না। এই সরকার রিজার্ভ চুরির সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত না হলে কাউকে ধরার চেষ্টা করে না কেন? কত খুনের আসামি ধরা পড়ে, সাগর-রুনীর আসামি ধরা পড়ে না কেন? এই রিজার্ভ চোর, খুনিদের প্রশাসন চেনে কিন্তু ধরে না।’
জেলকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো দেশটাই যখন জেলখানা, সেখানে ছোট্ট একটা কক্ষে যেতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পালাক্রমে এখানে অনেকেই আসবে, বের হবে। সামনে জেলখানা আরও বড় করতে হবে। কারণ পরে যাঁরা ক্ষমতায় আসবেন, তাঁরা এত চোর, খুনি, সন্ত্রাসীদের এই জেলখানায় জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের এখন আর জেলে যাওয়ার পালা না, এখন জেলে যাওয়ার পালা তাঁদের।’
জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১০ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২০ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে