নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা গেলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ কিংবা প্রসিদ্ধ করার মতো অপ্রিয় কাজের দায়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে না। কোনো ব্যক্তি বা দলের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের ভার রাজনীতির মাঠে অর্থাৎ জনগণের আদালতে করার সংস্কৃতি চালু করা গেলে তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি। এই দিনটিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্ত সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারের পক্ষে। তবে বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুথিগত সংস্কারের চেয়ে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের গুণগত পরিবর্তন-সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে নিজ দলের বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিজয়ের আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। তবে অতি আত্মবিশ্বাসে জনগণের কাছ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখবেন না। জনগণের পছন্দ নয়, এমন কোনো কাজ করা থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন।’
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে জনগণই ভোটের মাধ্যমে খুনি, লুটেরা, টাকা পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে থাকা মাফিয়া চক্রকে প্রত্যাখ্যান করবে।’ তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রে জনগণের আদালত ও রাষ্ট্রীয় আদালত এ দুটিকে কার্যকর ও শক্তিশালী করা গেলেই রাষ্ট্র ও রাজনীতির উল্লেখযোগ্য গুণগত সংস্কার নিশ্চিত করা যাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের আদালতের অর্থ কিন্তু বিচারিক আদালত কিংবা মব জাস্টিস নয়। জনগণের আদালতের অর্থ কোনো ব্যক্তি বা দলকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান কিংবা ক্ষমতাহীন করার চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকা। অর্থাৎ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন, যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ, যে পর্যায়েই প্রতিনিধি হোক না কেন, নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোট ছাড়া কোনোভাবেই একজন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কর্মী নির্বাচিত হতে সক্ষম হবেন না। এমন রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে নিশিরাতের আয়োজন কিংবা ডামি প্রার্থী হিসেবে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পথ স্বাভাবিকভাবেই রুদ্ধ হবে। প্রার্থীকে জনগণের আদালতে দ্বারস্থ হতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের সহযোগীর ভূমিকায় দেখতে না চাইলে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। অন্যথায় স্বাধীনতা গণতন্ত্র কিংবা বিধিবিধানের সংস্কার টেকসই হবে না, প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে জনগণের আদালত ও রাষ্ট্রীয় আদালত তথা বিচার বিভাগ শক্তিশালী, স্বাধীন এবং কার্যকর থাকলে ফ্যাসিবাদ কখনোই জনগণের ভোটের অধিকার এবং স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সক্ষম হবে না।’
৭ নভেম্বরে বিএনপির কর্মসূচি
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলটির নেতা-কর্মীরা। বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা গেলে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ কিংবা প্রসিদ্ধ করার মতো অপ্রিয় কাজের দায়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে না। কোনো ব্যক্তি বা দলের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণের ভার রাজনীতির মাঠে অর্থাৎ জনগণের আদালতে করার সংস্কৃতি চালু করা গেলে তা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গতকাল বুধবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বিএনপি। এই দিনটিকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে অন্তর্বর্তী সরকারের সমস্ত সংস্কার কার্যক্রম প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি সংস্কারের পক্ষে। তবে বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের পুথিগত সংস্কারের চেয়ে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকদের গুণগত পরিবর্তন-সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে নিজ দলের বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়ে তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিজয়ের আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। তবে অতি আত্মবিশ্বাসে জনগণের কাছ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখবেন না। জনগণের পছন্দ নয়, এমন কোনো কাজ করা থেকে নিজেদের বিরত রাখবেন।’
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের আলোচনা প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের ভোট প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে জনগণই ভোটের মাধ্যমে খুনি, লুটেরা, টাকা পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে থাকা মাফিয়া চক্রকে প্রত্যাখ্যান করবে।’ তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রে জনগণের আদালত ও রাষ্ট্রীয় আদালত এ দুটিকে কার্যকর ও শক্তিশালী করা গেলেই রাষ্ট্র ও রাজনীতির উল্লেখযোগ্য গুণগত সংস্কার নিশ্চিত করা যাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের আদালতের অর্থ কিন্তু বিচারিক আদালত কিংবা মব জাস্টিস নয়। জনগণের আদালতের অর্থ কোনো ব্যক্তি বা দলকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান কিংবা ক্ষমতাহীন করার চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকা। অর্থাৎ রাষ্ট্রের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত এমন হওয়া প্রয়োজন, যেখানে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ, যে পর্যায়েই প্রতিনিধি হোক না কেন, নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোট ছাড়া কোনোভাবেই একজন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক কর্মী নির্বাচিত হতে সক্ষম হবেন না। এমন রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে নিশিরাতের আয়োজন কিংবা ডামি প্রার্থী হিসেবে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পথ স্বাভাবিকভাবেই রুদ্ধ হবে। প্রার্থীকে জনগণের আদালতে দ্বারস্থ হতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের সহযোগীর ভূমিকায় দেখতে না চাইলে জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। অন্যথায় স্বাধীনতা গণতন্ত্র কিংবা বিধিবিধানের সংস্কার টেকসই হবে না, প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকর রাখা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘দেশে জনগণের আদালত ও রাষ্ট্রীয় আদালত তথা বিচার বিভাগ শক্তিশালী, স্বাধীন এবং কার্যকর থাকলে ফ্যাসিবাদ কখনোই জনগণের ভোটের অধিকার এবং স্বাধীনতা কেড়ে নিতে সক্ষম হবে না।’
৭ নভেম্বরে বিএনপির কর্মসূচি
৭ নভেম্বর উপলক্ষে বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সে অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলটির নেতা-কর্মীরা। বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারসংলগ্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
৭ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১৬ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২০ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে