নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সীমিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন এবং রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই যে প্রধান উপদেষ্টা অতি দ্রুত জনগণের সামনে তিনি কী করতে চান, তা উপস্থাপন করবেন। একটা রোডম্যাপ দেবেন যে কীভাবে তিনি অতিদ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন, কীভাবে তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো ঘটিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিয়ে সামনের দিকে এগোবেন নির্বাচন করার জন্য।’
এ সময় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপেরও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীনে সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা মনে করি, তাঁরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এই সরকারের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে, জনগণের আস্থা রয়েছে, সকলেরই আস্থা আছে। কিন্তু অবশ্যই সেটা (নির্বাচন অনুষ্ঠান) সীমিত সময়ের মধ্যেই করতে হবে, একটা সময়ের মধ্যে করতে হবে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই করতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশ্যে সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ব্যাহত হবে। অবশ্যই অতিদ্রুত জনগণের যে চাহিদা, সেই চাহিদাকে পূরণ করবার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে একটা নির্বাচন দ্রুত করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়—সে জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীনে সরকার কাজ করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি নির্বাচন কথাটার ওপর জোর দিতে চাই। এই যে সংস্কারের বিষয়টা এসেছে, সব সময় আসছে সেই সংস্কারের জন্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেটা কীভাবে আসবে? সেটা আসবে একটা নির্বাচিত সংসদের মধ্য দিয়ে। এর কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, কয়েকজন ব্যক্তি একটা সংস্কার করে দিলেন—এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের মাধ্যমে সেই সংস্কার আসতে হবে।’
সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত এই সরকারের সত্যিকার অর্থে অ্যাজেন্ডাভিত্তিক কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতি ছাড়া তো এটা হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত তো আনতে হবে। যারা রাজনীতি করছেন, তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই মতবিনিময় করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র নেতৃবৃন্দ যারা আজকে সহযোগিতা করছেন, তাঁদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে—এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এই বিপ্লবকে যেন সুসংহত করা যায়, প্রতিবিপ্লব যেন না ঘটে। ইতিমধ্যে যে চক্রান্তের কথাবার্তা উঠে আসছে, সেগুলোকে যেন প্রতিহত করা যায়।’
বিগত সরকারের দোসর সচিবদের সরানোরও দাবি জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই না, যে সমস্ত ব্যক্তিরা হাসিনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর) পাশে থেকে, তার সঙ্গে থেকে, তার দোসর হয়ে তারা মানুষের ওপরে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন, লুটপাট করেছেন, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তাদের আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশপাশে দেখতে চাই না। পত্রিকায় যখন ছবি দেখি যে এই সমস্ত লোকেরা আবার সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করছেন, তখন আমরা উদ্বিগ্ন হই। আমরা খুব চিন্তিত হই যে আজকে ১৬–১৭ দিন হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে সমস্ত সেক্রেটারিরা ওই সরকারকে এত দিন ধরে চালিয়েছে, তাদের সমস্ত কুবুদ্ধিগুলো দিয়েছে তারা এখনো এই সরকারের সচিবের দায়িত্ব পালন করছে। আমরা দেখতে চাই যে অবিলম্বে এই ব্যুরোক্রেসিতে যারা প্রো-পিপল আছেন, যারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, সেই আইন মেনে তাদের এই সরকারের পাশে দেখতে চাই। এ কথাগুলো আমরা বলতাম না। বলতে বাধ্য হচ্ছি এ জন্য যে আমরা সেগুলো দেখতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ আগের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। আমরা দেখতে চাই যে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যাদের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সীমিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন এবং রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই যে প্রধান উপদেষ্টা অতি দ্রুত জনগণের সামনে তিনি কী করতে চান, তা উপস্থাপন করবেন। একটা রোডম্যাপ দেবেন যে কীভাবে তিনি অতিদ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন, কীভাবে তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো ঘটিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিয়ে সামনের দিকে এগোবেন নির্বাচন করার জন্য।’
এ সময় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপেরও দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীনে সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা মনে করি, তাঁরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এই সরকারের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে, জনগণের আস্থা রয়েছে, সকলেরই আস্থা আছে। কিন্তু অবশ্যই সেটা (নির্বাচন অনুষ্ঠান) সীমিত সময়ের মধ্যেই করতে হবে, একটা সময়ের মধ্যে করতে হবে, যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই করতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশ্যে সেই উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ ব্যাহত হবে। অবশ্যই অতিদ্রুত জনগণের যে চাহিদা, সেই চাহিদাকে পূরণ করবার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে একটা নির্বাচন দ্রুত করা যায় এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করা যায়—সে জন্য এই অন্তর্বর্তীকালীনে সরকার কাজ করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি নির্বাচন কথাটার ওপর জোর দিতে চাই। এই যে সংস্কারের বিষয়টা এসেছে, সব সময় আসছে সেই সংস্কারের জন্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেটা কীভাবে আসবে? সেটা আসবে একটা নির্বাচিত সংসদের মধ্য দিয়ে। এর কোনো বিকল্প নেই। সুতরাং, কয়েকজন ব্যক্তি একটা সংস্কার করে দিলেন—এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের মাধ্যমে সেই সংস্কার আসতে হবে।’
সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এখন পর্যন্ত এই সরকারের সত্যিকার অর্থে অ্যাজেন্ডাভিত্তিক কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতি ছাড়া তো এটা হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত তো আনতে হবে। যারা রাজনীতি করছেন, তাঁদের সঙ্গে অবশ্যই মতবিনিময় করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্র নেতৃবৃন্দ যারা আজকে সহযোগিতা করছেন, তাঁদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে—এই বিষয়গুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এই বিপ্লবকে যেন সুসংহত করা যায়, প্রতিবিপ্লব যেন না ঘটে। ইতিমধ্যে যে চক্রান্তের কথাবার্তা উঠে আসছে, সেগুলোকে যেন প্রতিহত করা যায়।’
বিগত সরকারের দোসর সচিবদের সরানোরও দাবি জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই না, যে সমস্ত ব্যক্তিরা হাসিনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রীর) পাশে থেকে, তার সঙ্গে থেকে, তার দোসর হয়ে তারা মানুষের ওপরে নির্যাতন-নিপীড়ন করেছেন, লুটপাট করেছেন, বিদেশে টাকা পাচার করেছে, তাদের আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আশপাশে দেখতে চাই না। পত্রিকায় যখন ছবি দেখি যে এই সমস্ত লোকেরা আবার সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করছেন, তখন আমরা উদ্বিগ্ন হই। আমরা খুব চিন্তিত হই যে আজকে ১৬–১৭ দিন হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে সমস্ত সেক্রেটারিরা ওই সরকারকে এত দিন ধরে চালিয়েছে, তাদের সমস্ত কুবুদ্ধিগুলো দিয়েছে তারা এখনো এই সরকারের সচিবের দায়িত্ব পালন করছে। আমরা দেখতে চাই যে অবিলম্বে এই ব্যুরোক্রেসিতে যারা প্রো-পিপল আছেন, যারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, সেই আইন মেনে তাদের এই সরকারের পাশে দেখতে চাই। এ কথাগুলো আমরা বলতাম না। বলতে বাধ্য হচ্ছি এ জন্য যে আমরা সেগুলো দেখতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোনো উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অথচ আগের উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। আমরা দেখতে চাই যে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যাদের সকলের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
৯ মিনিট আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৬ ঘণ্টা আগে