খালেদা জিয়ার সঙ্গে মাহফুজ-আসিফ ও নাহিদের কয়েক মুহূর্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৩৭
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৫৫
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাকুঞ্জে কথা বলেন মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজিব ও নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসেরও।

দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানের বাসা থেকে রওনা হয়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠানে পৌঁছান তিনি। কারামুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ঘরের বাইরে বের হলেন তিনি।

সেনাকুঞ্জে পৌঁছার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশের চেয়ারে বসানো হয় বিএনপি চেয়ারপারসনকে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় দুজনকে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিতে দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। সরকারের তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহও। এ সময় সবাইকেই হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল।

এর আগে, ২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে তাঁর পরিবারের দীর্ঘ ৪০ বছরের স্মৃতিবিজড়িত ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে একপ্রকার টেনেহিঁচড়ে জবরদস্তি করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আজ সেই সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে গেলেন তিনি।

এদিকে, ২০১৮ সালের পর এই প্রথম বিএনপি চেয়ারপারসন প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

গত মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান আমন্ত্রণপত্রটি বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে পৌঁছে দেন।

এদিকে খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র ২৬ জন নেতাও সশস্ত্র বাহিনী দিবস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকেও আমন্ত্রণ জানানো হলো।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত