নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্তমানে যে নীতি চলছে, তাকে আর রাজনীতি বলা যায় না; বরং নতুন কোনো শব্দ দিয়ে এটাকে চিহ্নিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজিত ‘রাজনীতি কী এবং কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ নেই, বরং তারা একে ঘৃণা ও ভয়ের চোখে দেখে। রাজনৈতিক নেতাদের তারা সম্মান করে না, বরং ভয়ে সালাম দেয়। অথচ সম্মান ও ভয়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন করা উচিত—যেসব নেতা সংসদ ও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তাঁদের প্রতি জনগণের সত্যিকারের শ্রদ্ধা আছে কি? তাঁরা কি জনগণের জন্য কোনো ভালো কাজ করছেন? তাঁদের লক্ষ্য ও অভিপ্রায় কী? খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার দল থেকে যাঁরা নেতৃত্বে এসেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী ছিল? তাঁদের নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা কী ছিল?’
বাংলা একাডেমির সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিনি বিভিন্নভাবে, নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। খালেদা জিয়ার অবস্থাও একই রকম। তবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের চেষ্টা করেননি। তিনি তুলনামূলক সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, সম্পদ অর্জনের প্রতি আগ্রহ ছিল। পরবর্তী সময়ে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন অর্থ ও সম্পদ অর্জন করা, যা তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে পারে।’
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছর এবং এর আগে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। দীর্ঘ এই শাসনামলে আওয়ামী লীগ সীমাহীন সম্পদের মালিক হয়েছে।
আজকের বাংলাদেশে রাজনীতি শুধু রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নিয়ন্ত্রণে নেই মন্তব্য করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘সিভিল সোসাইটি ও এনজিওগুলোর প্রভাব ক্রমেই বেড়েছে। এসব এনজিও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ করলেও সিভিল সোসাইটি মূলত বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি হিসেবে কাজ করে। বর্তমান সরকারও সিভিল সোসাইটি দ্বারা প্রভাবিত। ফলে প্রচলিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব কার্যত বিলুপ্ত হয়েছে, যা পুনর্গঠিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
দেশের রাজনীতিতে সামরিক শাসন এসেছে প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার কারণে—এ পর্যবেক্ষণ আবুল কাসেম ফজলুল হকের। তিনি বলেন, ‘কেবল মিলিটারি ক্ষমতার লোভে শাসনভার নিয়েছে, এই ব্যাখ্যা যথেষ্ট নয়। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বারবার সংকট ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর শাসন শেষ হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় রাজনীতি আর জনসেবার মাধ্যম থাকেনি, বরং পার্লামেন্ট সদস্য ও মন্ত্রী হয়ে সম্পদ গঠনের সুযোগে পরিণত হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য বিজন হাওলাদার। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন ইউসেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শরীফ আব্দুল্লাহ হিল সাকী, শামীম ইশতিয়াক চৌধুরী প্রমুখ।
বর্তমানে যে নীতি চলছে, তাকে আর রাজনীতি বলা যায় না; বরং নতুন কোনো শব্দ দিয়ে এটাকে চিহ্নিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আয়োজিত ‘রাজনীতি কী এবং কেন?’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের রাজনীতির প্রতি কোনো আগ্রহ নেই, বরং তারা একে ঘৃণা ও ভয়ের চোখে দেখে। রাজনৈতিক নেতাদের তারা সম্মান করে না, বরং ভয়ে সালাম দেয়। অথচ সম্মান ও ভয়ের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশ্ন করা উচিত—যেসব নেতা সংসদ ও মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তাঁদের প্রতি জনগণের সত্যিকারের শ্রদ্ধা আছে কি? তাঁরা কি জনগণের জন্য কোনো ভালো কাজ করছেন? তাঁদের লক্ষ্য ও অভিপ্রায় কী? খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার দল থেকে যাঁরা নেতৃত্বে এসেছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী ছিল? তাঁদের নিজস্ব আকাঙ্ক্ষা কী ছিল?’
বাংলা একাডেমির সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিনি বিভিন্নভাবে, নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। খালেদা জিয়ার অবস্থাও একই রকম। তবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত সম্পদ অর্জনের চেষ্টা করেননি। তিনি তুলনামূলক সরল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, সম্পদ অর্জনের প্রতি আগ্রহ ছিল। পরবর্তী সময়ে যাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁদের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন অর্থ ও সম্পদ অর্জন করা, যা তাঁদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে পারে।’
আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, শেখ হাসিনা টানা ১৫ বছর এবং এর আগে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। দীর্ঘ এই শাসনামলে আওয়ামী লীগ সীমাহীন সম্পদের মালিক হয়েছে।
আজকের বাংলাদেশে রাজনীতি শুধু রাজনৈতিক দল ও নেতাদের নিয়ন্ত্রণে নেই মন্তব্য করে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘সিভিল সোসাইটি ও এনজিওগুলোর প্রভাব ক্রমেই বেড়েছে। এসব এনজিও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে কাজ করলেও সিভিল সোসাইটি মূলত বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি হিসেবে কাজ করে। বর্তমান সরকারও সিভিল সোসাইটি দ্বারা প্রভাবিত। ফলে প্রচলিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব কার্যত বিলুপ্ত হয়েছে, যা পুনর্গঠিত করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
দেশের রাজনীতিতে সামরিক শাসন এসেছে প্রধানত রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার কারণে—এ পর্যবেক্ষণ আবুল কাসেম ফজলুল হকের। তিনি বলেন, ‘কেবল মিলিটারি ক্ষমতার লোভে শাসনভার নিয়েছে, এই ব্যাখ্যা যথেষ্ট নয়। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বারবার সংকট ও বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর শাসন শেষ হওয়ার পর থেকেই দেখা যায় রাজনীতি আর জনসেবার মাধ্যম থাকেনি, বরং পার্লামেন্ট সদস্য ও মন্ত্রী হয়ে সম্পদ গঠনের সুযোগে পরিণত হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকারের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য বিজন হাওলাদার। এ ছাড়াও বক্তব্য দেন ইউসেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শরীফ আব্দুল্লাহ হিল সাকী, শামীম ইশতিয়াক চৌধুরী প্রমুখ।
ভিন্নমত থাকলেও যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ১২ দলীয় জোটের ইফতার মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। ভিন্নমত থাকবে, আমরা বসব, আলোচনা করব। এমন কিছু আমরা বলব না, এমন
১ ঘণ্টা আগেদলটির মহাসচিব বলেছেন, ‘উনার (তারেক রহমান) ফেরার বিষয়ে আমরা এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-ক্ষণ নির্ধারণ করিনি। আমাদের যখন মনে হবে যে উপযুক্ত সময়, সেই সময়ে তিনি আসবেন...
৪ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলামের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা হিসেবে। পরে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে উঠে আসেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দমনপীড়নের মুখে পড়েন। অন্তর্বর্তী সরকারে দায়িত্ব পালনের পর তিনি দলীয় রাজনীতিতে ফিরেছেন। প্রচলিত রাজনীতির বিকল্প খুঁজছেন এমন নাগরিকদের
৪ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ সেনাবাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনাদের কাজ ক্যান্টনমেন্টে, আপনারা ক্যান্টনমেন্টে থাকুন। আপনাদের আমরা সম্মান জানাই। গত ১৬ বছর জাতীয় রাজনীতিতে যেভাবে নোংরা হস্তক্ষেপ করেছেন, ’২৪-পরবর্তী বাংলাদেশে তা আর করতে দেওয়া
৪ ঘণ্টা আগে