পঞ্চগড় প্রতিনিধি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সরকারি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এক বিএনপি নেতার তোপের মুখে পড়েছেন। তাঁদের বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এই বিতণ্ডা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারজিস গতকাল দুপুরে আটোয়ারী ইউএনও কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বের হওয়ার সময় তাঁর এমন বৈঠক করার এখতিয়ার নিয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান।
এ বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া ২ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সারজিসের উদ্দেশে মতিয়ার বলেন, ‘আপনি কোন বিধানে এসেছেন?’ জবাবে সারজিস তাঁকে বলেন, ‘আপনি কোন অথরিটিতে (অধিকারে) জিজ্ঞাসা করেছেন?’ এর পাল্টা হিসেবে মতিয়ার বলেন, ‘আমি নাগরিক হিসেবে জিজ্ঞাসা করছি।’
তখন সারজিস জানান, আটোয়ারীর মানুষের জন্য কী প্রয়োজন, তা জানতে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা (কর্মকর্তারা) যদি সমস্যাগুলো বলে, আমি যদি আটোয়ারীর মানুষের জন্য কিছু বের করে আনতে পারি, সেটা ভালো না খারাপ?’ তখন বিএনপির ওই নেতা বলেন, ‘এটা ডিসি বা ইউএনও সাহেবের মাধ্যমে হোক।’ জবাবে সারজিস বলেন, ‘এখন তো ইউএনও নেই। উনার দায়িত্ব যিনি পালন করছেন, তাঁকে আমি আহ্বান জানিয়েছি, আমার সুযোগ আছে।’
বিএনপি নেতা মতিয়ারের উদ্দেশে সারজিস বলেন, ‘আটোয়ারী না শুধু, উত্তরবঙ্গের মানুষের সব থেকে বড় সমস্যা কোথায় জানেন? সমস্যাটা হচ্ছে কেউ যখন উত্তরবঙ্গের জন্য কিছু নিয়ে আসতে চায়, কাজ করতে চায়, আরেকজন না পারলে সহযোগিতা না করে পেছন থেকে টানে। এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনি আপনার জায়গা থেকে মনে করেন কি না, আমি উপজেলার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতে পারব?’
এ সময় বিএনপি নেতা মতিয়ার জানান, তাঁরা এনসিপি গঠনের আগে সারজিসদের অনেক সমর্থন দিয়েছেন। এখন রাজনৈতিক দল এনসিপির নেতা হিসেবে সারজিস এমন বৈঠক করতে পারেন না। জবাবে সারজিস বলেন, ‘আমি তাঁদের (কর্মকর্তাদের) কাছে জানতে চেয়েছি। এটা কোনো অফিশিয়াল মিটিং না। অফিশিয়াল মিটিং হলে তো রেজল্যুশন থাকে। ওটা ইউএনও আহ্বান করেন। আমি তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছি, আটোয়ারীতে কী কী দরকার, কী কী সমস্যা। আমি আমার জায়গা থেকে দেখব, কী কী বের করে আনতে পারি।’
এই বিতণ্ডার বিষয়ে জানতে চাইলে সারজিস বলেন, ‘সেখানে তেমন কিছু ঘটেনি। আমি আমার নিজ উপজেলায় মিটিং করছিলাম। উনি এসে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি এই মিটিং করতে পারি কি না। আমি বলেছিলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম মিটিং করতে পারলে আমি কেন পারব না।’
যোগাযোগ করা হলে মতিয়ার বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদে যাই। সেখানে দেখি একটা মিটিং চলছে, সারজিস আলমও উপস্থিত ছিলেন। উনি তো এখন সেখানে মিটিং করতে পারেন না। মিটিং শেষে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি। তখন সারজিস আলম আমাকে বলেছেন, “বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিটিং করলে আমি কেন করতে পারব না।”’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সরকারি কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এক বিএনপি নেতার তোপের মুখে পড়েছেন। তাঁদের বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এই বিতণ্ডা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সারজিস গতকাল দুপুরে আটোয়ারী ইউএনও কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বের হওয়ার সময় তাঁর এমন বৈঠক করার এখতিয়ার নিয়ে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান।
এ বিষয়ে ছড়িয়ে পড়া ২ মিনিট ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সারজিসের উদ্দেশে মতিয়ার বলেন, ‘আপনি কোন বিধানে এসেছেন?’ জবাবে সারজিস তাঁকে বলেন, ‘আপনি কোন অথরিটিতে (অধিকারে) জিজ্ঞাসা করেছেন?’ এর পাল্টা হিসেবে মতিয়ার বলেন, ‘আমি নাগরিক হিসেবে জিজ্ঞাসা করছি।’
তখন সারজিস জানান, আটোয়ারীর মানুষের জন্য কী প্রয়োজন, তা জানতে তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘তারা (কর্মকর্তারা) যদি সমস্যাগুলো বলে, আমি যদি আটোয়ারীর মানুষের জন্য কিছু বের করে আনতে পারি, সেটা ভালো না খারাপ?’ তখন বিএনপির ওই নেতা বলেন, ‘এটা ডিসি বা ইউএনও সাহেবের মাধ্যমে হোক।’ জবাবে সারজিস বলেন, ‘এখন তো ইউএনও নেই। উনার দায়িত্ব যিনি পালন করছেন, তাঁকে আমি আহ্বান জানিয়েছি, আমার সুযোগ আছে।’
বিএনপি নেতা মতিয়ারের উদ্দেশে সারজিস বলেন, ‘আটোয়ারী না শুধু, উত্তরবঙ্গের মানুষের সব থেকে বড় সমস্যা কোথায় জানেন? সমস্যাটা হচ্ছে কেউ যখন উত্তরবঙ্গের জন্য কিছু নিয়ে আসতে চায়, কাজ করতে চায়, আরেকজন না পারলে সহযোগিতা না করে পেছন থেকে টানে। এটা উত্তরবঙ্গের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা। ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনি আপনার জায়গা থেকে মনে করেন কি না, আমি উপজেলার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতে পারব?’
এ সময় বিএনপি নেতা মতিয়ার জানান, তাঁরা এনসিপি গঠনের আগে সারজিসদের অনেক সমর্থন দিয়েছেন। এখন রাজনৈতিক দল এনসিপির নেতা হিসেবে সারজিস এমন বৈঠক করতে পারেন না। জবাবে সারজিস বলেন, ‘আমি তাঁদের (কর্মকর্তাদের) কাছে জানতে চেয়েছি। এটা কোনো অফিশিয়াল মিটিং না। অফিশিয়াল মিটিং হলে তো রেজল্যুশন থাকে। ওটা ইউএনও আহ্বান করেন। আমি তাঁদের কাছে জানতে চেয়েছি, আটোয়ারীতে কী কী দরকার, কী কী সমস্যা। আমি আমার জায়গা থেকে দেখব, কী কী বের করে আনতে পারি।’
এই বিতণ্ডার বিষয়ে জানতে চাইলে সারজিস বলেন, ‘সেখানে তেমন কিছু ঘটেনি। আমি আমার নিজ উপজেলায় মিটিং করছিলাম। উনি এসে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি এই মিটিং করতে পারি কি না। আমি বলেছিলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম মিটিং করতে পারলে আমি কেন পারব না।’
যোগাযোগ করা হলে মতিয়ার বলেন, ‘আমি উপজেলা পরিষদে যাই। সেখানে দেখি একটা মিটিং চলছে, সারজিস আলমও উপস্থিত ছিলেন। উনি তো এখন সেখানে মিটিং করতে পারেন না। মিটিং শেষে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্ন করলে তারা কোনো উত্তর দেয়নি। তখন সারজিস আলম আমাকে বলেছেন, “বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিটিং করলে আমি কেন করতে পারব না।”’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দিল্লি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও যুদ্ধ চলমান থাকবে। যারাই আপস করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগর এলাকায় নিহত আজাদ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিম
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘ঈদ আনন্দের দিন, খুশির দিন। কিন্তু গত ১৭ বছর খুশি মনে ঈদ উদ্যাপন করা সম্ভব হয়নি। স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনা খুশি মনে ঈদ করতে দেয়নি।’ আজ সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর সোনামিয়া ঈদগাহ জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলা
৮ ঘণ্টা আগেঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচার হতেই হবে। তাহলে এই শহীদদের পরিবার কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে।
১২ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
১২ ঘণ্টা আগে