গণতন্ত্রের নামে প্রতিক্রিয়াশীলতা রুখে দেওয়ার দায়িত্ব যুব সমাজের: ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২: ৫৭
Thumbnail image

গণতন্ত্রের সংগ্রামের নামে চরম দক্ষিণপন্থা, ধর্মান্ধতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা থেকে দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব যুব সমাজের বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। আজ শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাসদের সহযোগী যুব সংগঠন জাতীয় যুব জোটের তৃতীয় জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। 

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘গণতন্ত্রের সংগ্রামের নামে দেশকে চরম দক্ষিণপন্থা, ধর্মান্ধতা, প্রতিক্রিয়াশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়ার দেশবিরোধী রাজনীতি রুখে দেওয়ার দায়িত্ব যুব সমাজের। দল নিরপেক্ষ সরকারের স্লোগানের আড়ালে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে অসাংবিধানিক সরকার আনার আসল উদ্দেশ্য জামায়াত-বিএনপির প্রক্সি সরকার, ছদ্মবেশী জামায়াত-বিএনপি সরকার আনা।’ 

পশ্চিমারা বাংলাদেশবিরোধী শক্তিকে আশকারা দিচ্ছে উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের মোড়লদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা—ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া আর কিছুই না। পশ্চিমারা তাদের ভূরাজনৈতিক স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেদের তাঁবেদার সরকার আনতে চাইছে। পশ্চিমারা প্রকাশ্যেই বাংলাদেশবিরোধী পাকিস্তানপন্থী শক্তি জামায়াত-বিএনপিকে আশকারা দিচ্ছে।’ 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধান ও দেশের সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব যুব সমাজের উল্লেখ করে ইনু বলেন, দুর্নীতি-লুটপাট-বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ করে, বৈষম্যের অবসান করে, সুশাসন ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুব সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৭১ সালে জাতির ওপর সংঘটিত ইতিহাসের বর্বরতম যুদ্ধাপরাধের পক্ষে সাফাই গাওয়া পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও কর্নেল তাহের হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাওয়া, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার পক্ষে সাফাই গাওয়া—এ তিনটি মহা অপরাধ জাতিকে মহাবিভক্ত ও মহাবিভাজিত করে রেখেছে। 

এই তিনটি মহাবিভক্তি ও মহাবিভাজন বহাল রেখে এই দেশের রাজনীতিতে কোনো মিটমাটের সুযোগ নাই। বাংলাদেশে স্থায়ী শান্তি, স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে হলে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী, পঁচাত্তরের খুনি ও ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলাকারীদের রাজনৈতিকভাবে পরাজিত ও বিতাড়িত করতে হবে। 

জাতীয় যুব জোটের সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাসদের কার্যকরী সভাপতি অ্যাড. রবিউল আলম, জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন ও জাসদের সহসভাপতি আফরোজা হক রীনা এমপি। 

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল আজিম বনি, মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, শরিফুল ইসলাম সুজন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান, যুব ইউনিয়নের খান আসাদুজ্জামান মাসুম, যুব আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোশাহিদ আহমেদ। 

বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় উপেক্ষা করে জাতীয় যুব জোটের এই জাতীয় কংগ্রেসে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা, মহানগর, উপজেলা থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী যোগদান করেন। কংগ্রেসের উদ্বোধনী প্যান্ডেল যুবদের একটি বর্ণাঢ্য মিলনমেলায় পরিণত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ইম্পিরিয়াল হোটেল মিলনায়তনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত