নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাঙালি জাতীয়বাদের সূচনা ঘটেছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল না, বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এই আন্দোলনের মধ্যে প্রথিত ছিল।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণফোরাম আয়োজিত ‘একুশের উত্তরাধিকার এবং আজকের উপলব্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
সভায় দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা ও শোষণ মুক্তির আকুতি ছিল। গণতান্ত্রিক চেতনাও ভাষা আন্দোলনের মধ্যে লুকায়িত ছিল। ১৯৫২ সালে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, ১৯৭১ সালে আমরা তা অর্জন করেছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে সেই অর্জন অনেকটাই ছিনতাই হয়ে গেছে।’
বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে আবু সাঈদ বলেন, ‘এখন আগের দিনই নির্বাচনের ফলাফল লেখা হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গণফোরাম বা কিছু বাম দল ধারণ করছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এর ধারেকাছেও নেই।’
পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘গত ১৭ বছরে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। আগে স্লোগান উঠত, ঢাকা না পিন্ডি? এখন স্লোগান ওঠে, ঢাকা না দিল্লি।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বায়ান্নতে একদল দামাল ছেলে বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন। পাকিস্তানে ভোটাধিকার ছিল না, ভোটে জয়ী হলেও রাষ্ট্রক্ষমতা দেওয়া হয়নি, সে কারণেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছিল। কিন্তু আজকে নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নির্বাচন হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষকে জেলে রাখা হচ্ছে।’
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমরা রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এই ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আলোচনা সভার সভাপতি ও দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেন বলেন, ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে যে ভাগ করা হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। তাই আবারও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছে। এটা বীরের দেশ, এই দেশে যে কেউ যা তা করবে, তা হতে দেওয়া হবে না।’
বাঙালি জাতীয়বাদের সূচনা ঘটেছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল না, বাঙালির গণতান্ত্রিক চেতনা ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা এই আন্দোলনের মধ্যে প্রথিত ছিল।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণফোরাম আয়োজিত ‘একুশের উত্তরাধিকার এবং আজকের উপলব্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
সভায় দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক মো. আবু সাঈদ খান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের মধ্যেই ধর্মনিরপেক্ষতা ও শোষণ মুক্তির আকুতি ছিল। গণতান্ত্রিক চেতনাও ভাষা আন্দোলনের মধ্যে লুকায়িত ছিল। ১৯৫২ সালে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, ১৯৭১ সালে আমরা তা অর্জন করেছিলাম। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে সেই অর্জন অনেকটাই ছিনতাই হয়ে গেছে।’
বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে আবু সাঈদ বলেন, ‘এখন আগের দিনই নির্বাচনের ফলাফল লেখা হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে গণফোরাম বা কিছু বাম দল ধারণ করছে, কিন্তু আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এর ধারেকাছেও নেই।’
পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, ‘গত ১৭ বছরে ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। আগে স্লোগান উঠত, ঢাকা না পিন্ডি? এখন স্লোগান ওঠে, ঢাকা না দিল্লি।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বায়ান্নতে একদল দামাল ছেলে বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতার লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন। পাকিস্তানে ভোটাধিকার ছিল না, ভোটে জয়ী হলেও রাষ্ট্রক্ষমতা দেওয়া হয়নি, সে কারণেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছিল। কিন্তু আজকে নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নির্বাচন হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষকে জেলে রাখা হচ্ছে।’
গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে আমরা রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এই ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আলোচনা সভার সভাপতি ও দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম আলতাফ হোসেন বলেন, ‘দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে যে ভাগ করা হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। তাই আবারও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছে। এটা বীরের দেশ, এই দেশে যে কেউ যা তা করবে, তা হতে দেওয়া হবে না।’
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৮ ঘণ্টা আগে