নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাধীনতার পর পরেই এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। সেসময়ও তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েমের লক্ষে কাজ করেছিল। সেদিনও তারা প্রতিপক্ষকে হত্যা করেছে। শুধু ভিন্নমতাবলম্বী হওয়ার কারণে ৩০ হাজার কিশোর তরুণকে হত্যা করেছে শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল সরকার। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করার জন্য আজকের র্যাবের মতো একটা রক্ষীবাহিনীও তৈরি করা হয়েছিল। যারা বিনাবিচারে, অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে মানুষকে হত্যা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেগুলো এই আওয়ামী লীগ সরকার সব ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
র্যাবের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে মানুষকে নির্যাতন-অত্যাচারের ফলে বাংলাদেশের জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ ও নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সেগুলোকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লজ্জা বলে উল্লেখ করেন এই বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন আগে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো। কোথাও সেটা ২৪ পার্সেন্ট বা ১৫ পার্সেন্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গণশুনানিতে সেটা আবার ২০ পার্সেন্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে যে পরিমাণ গ্যাস আছে সেগুলো উত্তোলন করার কোন প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের অপচয় কমিয়ে সেটাকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার রাখারও চেষ্টা করা হচ্ছে না। এটার কারণ কী? এই গ্যাস আবার আমদানি করা হচ্ছে। যারা আমদানি করছে তারা এই সরকারের উপদেষ্টা, সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যারা ব্যবসা করছেন তাদের লাভের কথা চিন্তা করে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর সেটা চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখন প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তখন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার জনজীবন ওষ্ঠাগত করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের পকেটকাটা আর বেশি দিন চলতে দেওয়া হবে না। এখনো সময় আছে জনগণের কাছে করজোড়ে ক্ষমা ভিক্ষা চান। না হলে পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’
স্মরণ সভায় বক্তব্যকালে বিএনপি মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য সরকার কোন ধরনের কোন কিছু ব্যবস্থা করেনি। কিছু করা তো দূরের কথা তাঁর জন্য ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থাও সরকার করেনি। এই ভোট ডাকাত সরকারের অবৈধ মন্ত্রীদেরকে কিছুদিন পর জনগণ সচিবালয় থেকে বের করে নিয়ে আসবে। এরপরও যদি শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দেয় তাহলে জনগণ তাকে গণভবন থেকে বিতাড়িত করবে। ৯৪ সালে তো আমাদের নামের পাশে শহীদ যুক্ত হয় নাই। প্রয়োজন হলে এবার নামের পাশে শহীদ লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকব।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই সরকারকে বলতে চাই আপনারা দেশকে আলোকিত করেন নাই। বরং দেশের মানুষ থেকে আদর্শ কেড়ে নিয়েছেন। মানুষ থেকে শিক্ষা কেড়ে নিয়েছেন। নৈতিকতা কাড়ে নিয়েছেন। এমনকি দেশ প্রেমকেও কেড়ে নিয়েছেন। আপনি মানুষের ভেতর দেশ প্রেম সৃষ্টি করেন নাই আওয়ামী প্রেম সৃষ্টি করেছেন। তাই আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন মানি না। এই সরকারের অধীনে আমরা কোন নির্বাচন করব না।
পেশাজীবীদের প্রসঙ্গে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই মুক্তিযুদ্ধ কোনো দিন এক ব্যক্তির ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ কোনো দিন এক পরিবারের ছিল না। এক দলের ছিল না। এই মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের আপামর জনগণের এবং পেশাজীবীদের। এই পেশাজীবীদের অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই। ৭১ সালে এই পেশাজীবিদের ভূমিকা ছিল অনেক।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির সভাপতি ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদসহ নানা পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
স্বাধীনতার পর পরেই এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। সেসময়ও তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সমস্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েমের লক্ষে কাজ করেছিল। সেদিনও তারা প্রতিপক্ষকে হত্যা করেছে। শুধু ভিন্নমতাবলম্বী হওয়ার কারণে ৩০ হাজার কিশোর তরুণকে হত্যা করেছে শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল সরকার। বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করার জন্য আজকের র্যাবের মতো একটা রক্ষীবাহিনীও তৈরি করা হয়েছিল। যারা বিনাবিচারে, অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে মানুষকে হত্যা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালে যে আশা, আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্ন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেগুলো এই আওয়ামী লীগ সরকার সব ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।’
র্যাবের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে মানুষকে নির্যাতন-অত্যাচারের ফলে বাংলাদেশের জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ ও নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সেগুলোকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লজ্জা বলে উল্লেখ করেন এই বিএনপি নেতা।
ফখরুল বলেন, ‘গত দুই-তিন দিন আগে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিগুলো। কোথাও সেটা ২৪ পার্সেন্ট বা ১৫ পার্সেন্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গণশুনানিতে সেটা আবার ২০ পার্সেন্ট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অথচ আমাদের দেশে যে পরিমাণ গ্যাস আছে সেগুলো উত্তোলন করার কোন প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের অপচয় কমিয়ে সেটাকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার রাখারও চেষ্টা করা হচ্ছে না। এটার কারণ কী? এই গ্যাস আবার আমদানি করা হচ্ছে। যারা আমদানি করছে তারা এই সরকারের উপদেষ্টা, সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যারা ব্যবসা করছেন তাদের লাভের কথা চিন্তা করে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর সেটা চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখন প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তখন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার জনজীবন ওষ্ঠাগত করছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের পকেটকাটা আর বেশি দিন চলতে দেওয়া হবে না। এখনো সময় আছে জনগণের কাছে করজোড়ে ক্ষমা ভিক্ষা চান। না হলে পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।’
স্মরণ সভায় বক্তব্যকালে বিএনপি মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্য সরকার কোন ধরনের কোন কিছু ব্যবস্থা করেনি। কিছু করা তো দূরের কথা তাঁর জন্য ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থাও সরকার করেনি। এই ভোট ডাকাত সরকারের অবৈধ মন্ত্রীদেরকে কিছুদিন পর জনগণ সচিবালয় থেকে বের করে নিয়ে আসবে। এরপরও যদি শেখ হাসিনার সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দেয় তাহলে জনগণ তাকে গণভবন থেকে বিতাড়িত করবে। ৯৪ সালে তো আমাদের নামের পাশে শহীদ যুক্ত হয় নাই। প্রয়োজন হলে এবার নামের পাশে শহীদ লাগানোর জন্য প্রস্তুত থাকব।’
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই সরকারকে বলতে চাই আপনারা দেশকে আলোকিত করেন নাই। বরং দেশের মানুষ থেকে আদর্শ কেড়ে নিয়েছেন। মানুষ থেকে শিক্ষা কেড়ে নিয়েছেন। নৈতিকতা কাড়ে নিয়েছেন। এমনকি দেশ প্রেমকেও কেড়ে নিয়েছেন। আপনি মানুষের ভেতর দেশ প্রেম সৃষ্টি করেন নাই আওয়ামী প্রেম সৃষ্টি করেছেন। তাই আমরা বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন মানি না। এই সরকারের অধীনে আমরা কোন নির্বাচন করব না।
পেশাজীবীদের প্রসঙ্গে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘এই মুক্তিযুদ্ধ কোনো দিন এক ব্যক্তির ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ কোনো দিন এক পরিবারের ছিল না। এক দলের ছিল না। এই মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের আপামর জনগণের এবং পেশাজীবীদের। এই পেশাজীবীদের অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই। ৭১ সালে এই পেশাজীবিদের ভূমিকা ছিল অনেক।’
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির সভাপতি ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদসহ নানা পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
মানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
৫ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বীর সিপাহসালার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব...
৮ ঘণ্টা আগে