নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে সকল দলকে একত্রে আন্দোলনের মাঠে নামতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রখ্যাত শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদেরা। এছাড়া বক্তারা বলেছেন, দলীয় সরকার ও ইভিএমে নির্বাচন নয়।
আজ সোমবার পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে করণীয়’-শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।
আওয়ামী লীগ এমন একটা দল, যারা ক্ষমতায় থাকার জন্য যা করা দরকার তাই করবে জানিয়ে আলোচনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা মহাসংকটে আছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। পদ্মাসেতু নিয়ে যে উন্মাদনা তা প্রচারণারই অংশ। তারা নির্বাচন কমিশন ও ইভিএমের ব্যাপারে নিজেদের মতো সবকিছু করছে, কারও মতামতের তোয়াক্কা করছে না। তাই শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়।’
আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমাদের সবার সমস্যা। একদিকে বন্যা, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। মিলিয়ন ডলারের নাকি ব্যবসা হচ্ছে তাহলে টাকাগুলো কার ভল্টে? ধানমন্ডির নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের? শেখ হাসিনাকে এখন মাঠে নামতে হবে। তার নৌকা এখন ডুবি ডুবি। কিন্তু আপনি তো ভয় পান। তাই আপনি চাচ্ছেন ইভিএম। ইলেকট্রনিক ধাপ্পাবাজির মেশিন। আপনি এত উন্নয়ন করেছেন তাহলে ভয়টা কিসের?’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতায় আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব আগামী দিনে হুমকির মুখে পড়বে। গণতন্ত্রের গতিমুখে ফেরা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। ৭২ সালের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে সে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। এর জন্য নতুন রাজনৈতিক চুক্তি প্রয়োজন।’
কবি, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নির্বাচন সর্বস্ব গণতন্ত্রের কোন ভবিষ্যৎ নেই। নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। কারণ এটা আপনাদের হাতে নেই। যখন হবে তখন করবেন, না হলে করবেন না। বর্তমান যে সংকট নির্বাচন সেই সংকটের সমাধান নয়। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের সংকট ৭২ থেকেই শুরু হয়েছে। ৭৩ সাল থেকে ভোটচুরি শুরু হয়েছে, জাতীয় এবং ডাকসু নির্বাচন। কেউ বলছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, আবার অনেকে বলছে এক চুলও নড়ব না। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগে নিজ দলে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বড় দলগুলোর নিজেদের দলেই গণতন্ত্র নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। গণশক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবর রহমান মঞ্জুসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে সকল দলকে একত্রে আন্দোলনের মাঠে নামতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রখ্যাত শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদেরা। এছাড়া বক্তারা বলেছেন, দলীয় সরকার ও ইভিএমে নির্বাচন নয়।
আজ সোমবার পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে করণীয়’-শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তারা।
আওয়ামী লীগ এমন একটা দল, যারা ক্ষমতায় থাকার জন্য যা করা দরকার তাই করবে জানিয়ে আলোচনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা মহাসংকটে আছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় একটা সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচনী প্রচারণা কিন্তু শুরু হয়ে গেছে। পদ্মাসেতু নিয়ে যে উন্মাদনা তা প্রচারণারই অংশ। তারা নির্বাচন কমিশন ও ইভিএমের ব্যাপারে নিজেদের মতো সবকিছু করছে, কারও মতামতের তোয়াক্কা করছে না। তাই শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন নয়।’
আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমাদের সবার সমস্যা। একদিকে বন্যা, অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। মিলিয়ন ডলারের নাকি ব্যবসা হচ্ছে তাহলে টাকাগুলো কার ভল্টে? ধানমন্ডির নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের? শেখ হাসিনাকে এখন মাঠে নামতে হবে। তার নৌকা এখন ডুবি ডুবি। কিন্তু আপনি তো ভয় পান। তাই আপনি চাচ্ছেন ইভিএম। ইলেকট্রনিক ধাপ্পাবাজির মেশিন। আপনি এত উন্নয়ন করেছেন তাহলে ভয়টা কিসের?’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বর্তমান পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতায় আমরা যদি ব্যর্থ হই তাহলে আমাদের সার্বভৌমত্ব আগামী দিনে হুমকির মুখে পড়বে। গণতন্ত্রের গতিমুখে ফেরা ছাড়া কোনো পথ খোলা নেই। ৭২ সালের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে সে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। এর জন্য নতুন রাজনৈতিক চুক্তি প্রয়োজন।’
কবি, কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নির্বাচন সর্বস্ব গণতন্ত্রের কোন ভবিষ্যৎ নেই। নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। কারণ এটা আপনাদের হাতে নেই। যখন হবে তখন করবেন, না হলে করবেন না। বর্তমান যে সংকট নির্বাচন সেই সংকটের সমাধান নয়। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের সংকট ৭২ থেকেই শুরু হয়েছে। ৭৩ সাল থেকে ভোটচুরি শুরু হয়েছে, জাতীয় এবং ডাকসু নির্বাচন। কেউ বলছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না, আবার অনেকে বলছে এক চুলও নড়ব না। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগে নিজ দলে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বড় দলগুলোর নিজেদের দলেই গণতন্ত্র নেই। বাংলাদেশের রাজনীতি দেশের রাজনীতিবিদদের হাতে নেই। গণশক্তির উত্থান ঘটাতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খাঁনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবর রহমান মঞ্জুসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
২ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১১ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১৫ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে