নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের সবখানেই বাড়ছে। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুক খান বলেন, দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে বাড়ছে না, অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বাড়ছে। সারা বিশ্বের সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে নিয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির এই অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
১/১১-এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে দল যাতে না ভাঙে, সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন জিল্লুর রহমান উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেবের দল ও দেশের প্রতি আনুগত্য অপরিসীম। ১/১১-এর সময় যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে যখন কোর্টে নেওয়া হয়, তখন সেখানে আমিও ছিলাম। তখন তিনি আমাকে ডেকে দুটি কথা বললেন, জিল্লুর রহমান সাহেবকে সভাপতি বানিয়েছি, তাঁকে অনেকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আপনি তাঁর সঙ্গে থাকবেন। আর দল যাতে কোনোভাবে না ভাঙে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে আমরা বিপদের সময় একত্রিত ছিলাম। জাতির ক্রান্তিলগ্ন আসে। সেই সময়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি-জামায়াত আমাদের পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
সভায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর মতো নেতার আদর্শ যুগ যুগ উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ বলেন, ‘জিল্লুর রহমান খুবই ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। এমন লোকেরা ক্ষণজন্মা। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁকে বিশ্বাস করে যখন দলের দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়ে গেলেন, তখন তিনি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছুতে একটুও প্রশ্রয় দেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে আমাদের কেবিনেটে নিয়ে এসেছেন। আমি কৃষকদের কীভাবে উন্নতি করা যায়, কীভাবে ফসলের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়, তার চেষ্টা করব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেব ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তাঁর নম্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি কোনো কিছুই জাহির করতেন না। যা করতেন, কর্তব্যের তাগিদে করতেন। যখন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল, তখন জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতাম। তখনই তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনটা করতে হবে।’
জিল্লুর রহমানের মতো মানুষ বারবার আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি বিরল গুণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সবাইেক একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি উচ্চকণ্ঠে কথা না বললেও একটা সভায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন। তাঁর এই জিনিসগুলো আমাদের শেখা উচিত। মৃদুভাষী এবং নম্রতাকে আমরা রাজনীতিতে নেতিবাচক হিসেবে দেখি।’
জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আহমেদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের সবখানেই বাড়ছে। ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষাসৈনিক ও প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফারুক খান বলেন, দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে বাড়ছে না, অন্যান্য দেশে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বাড়ছে। সারা বিশ্বের সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে নিয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির এই অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
১/১১-এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে দল যাতে না ভাঙে, সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন জিল্লুর রহমান উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেবের দল ও দেশের প্রতি আনুগত্য অপরিসীম। ১/১১-এর সময় যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল, তখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে যখন কোর্টে নেওয়া হয়, তখন সেখানে আমিও ছিলাম। তখন তিনি আমাকে ডেকে দুটি কথা বললেন, জিল্লুর রহমান সাহেবকে সভাপতি বানিয়েছি, তাঁকে অনেকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আপনি তাঁর সঙ্গে থাকবেন। আর দল যাতে কোনোভাবে না ভাঙে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সালে আমরা বিপদের সময় একত্রিত ছিলাম। জাতির ক্রান্তিলগ্ন আসে। সেই সময়গুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি-জামায়াত আমাদের পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
সভায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর মতো নেতার আদর্শ যুগ যুগ উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ বলেন, ‘জিল্লুর রহমান খুবই ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। এমন লোকেরা ক্ষণজন্মা। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁকে বিশ্বাস করে যখন দলের দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়ে গেলেন, তখন তিনি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছুতে একটুও প্রশ্রয় দেননি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ত্যাগের পুরস্কার হিসেবে আমাদের কেবিনেটে নিয়ে এসেছেন। আমি কৃষকদের কীভাবে উন্নতি করা যায়, কীভাবে ফসলের উৎপাদন আরও বাড়ানো যায়, তার চেষ্টা করব।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেব ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তাঁর নম্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি কোনো কিছুই জাহির করতেন না। যা করতেন, কর্তব্যের তাগিদে করতেন। যখন নেত্রীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল, তখন জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতাম। তখনই তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনটা করতে হবে।’
জিল্লুর রহমানের মতো মানুষ বারবার আসে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তিনি বিরল গুণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সবাইেক একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি উচ্চকণ্ঠে কথা না বললেও একটা সভায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন। তাঁর এই জিনিসগুলো আমাদের শেখা উচিত। মৃদুভাষী এবং নম্রতাকে আমরা রাজনীতিতে নেতিবাচক হিসেবে দেখি।’
জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর আহমেদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ, হুমায়ুন কবির মিজি প্রমুখ।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৪ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
১৬ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১৮ ঘণ্টা আগে