নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে আগামী ১৭ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সেখানে একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে তারা মতামত ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিবৃতি পাঠানো হয়। 

• ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আ.লীগকে ইতিবাচক ধারায় বেগবান করা হবে: ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারা দেশে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অত্যন্ত আনন্দমুখর এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আশা করছি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনসমূহ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’
 
কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং তাদের কাজে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না। ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে ইসির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় এবং আইনগত ক্ষমতা প্রয়োগে সরকার সর্বদা কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর। আশা করি, ভবিষ্যতে যে কোনো ধরনের নির্বাচনী সহিংসতা এড়াতে কমিশন এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনী আরও তৎপর থাকবে।’ 

• বিএনপি নেতাদের বক্তব্য বিনোদনের উৎসে পরিণত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের 

ওবায়দুল কাদের বলেন, পরবর্তী ইসি গঠনের লক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলসমূহের সংলাপ চলমান রয়েছে। স্টেকহোল্ডার হিসেবে আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ জানুয়ারি সংলাপে অংশ নেবে। একটি অর্থবহ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শক্তিশালী কমিশন গঠনে দলের মতামত ও প্রস্তাবনা সংলাপে উপস্থাপন করা হবে। 

কাদের বলেন, ‘আমরা মনে করি, পারস্পরিক আলোচনা যে কোনো জটিল সমস্যার সমাধানের সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সংঘাত, সহিংসতা, জনমত বিরোধী তৎপরতা গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ, পরমতসহিষ্ণুতা গণতন্ত্র বিকাশের পথকে কুসুমিত করে। যারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে না তারা রাজনৈতিক সৌজন্যবোধ ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি-নীতিতে শ্রদ্ধাশীল নয়; তারা সংলাপে আস্থা রাখে না। বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে চায়।’ 

• এত উন্নয়ন করেও স্বস্তি পাচ্ছি না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সমাবেশের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উসকানি দিচ্ছেন বলে দাবি করেন কাদের। তিনি বলেন, কেউ কেউ আরেকটি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলছেন; ডাইরেক্ট অ্যাকশনের হুমকি দিচ্ছেন। আসলে পায়ের নিচে মাটি নেই বলে এসব তাদের নিজেদের ওপর জেঁকে বসা ভয় তাড়ানোর নির্জীব হুংকার। আত্মবিশ্বাস হারানো এক ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। 

কাদের বলেন, আমরা জানতে চাই, ‘কাদের নিয়ে তারা যুদ্ধ করবেন? কেন যুদ্ধ করবেন? তাদের যুদ্ধ কী লুটপাট, দুর্নীতি আর অরাজকতা সৃষ্টির জন্য?’

• টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না: ওবায়দুল কাদের    

কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য করলে তা জনগণকে নিয়ে আওয়ামী লীগ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান কাদের। বলেন, যারা মানুষের মৌলিক অধিকার হরণকারী, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষক, উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার ধারক ও বাহক হিসেবে পরিচিত এবং যারা স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক অপরাজনীতির উত্তরাধিকার তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের যে কোন ধরনের আস্ফালনকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা হবে।