তানিম আহমেদ, ঢাকা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের অবসানের পর অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল, খালেদা জিয়ার উপস্থিতির কারণে তা কিছুটা হলেও ঘুচবে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আশাবাদ জাগানোর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পথে হাঁটারও ইঙ্গিত বহন করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখা সমন্বিতভাবে যাত্রা শুরু করেছিল। সে কারণে দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রতিবছর সেনাকুঞ্জে এ দিবসের অনুষ্ঠানে সরকার- প্রধান ও অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা বসে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা থাকার সময় সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে দেখা যায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়, গত ১২ বছর পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দূরে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার খালেদা জিয়াকে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা গিয়ে আমন্ত্রণ জানান। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল, যিনি একই সঙ্গে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তিনি সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হওয়ার পর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে সবাই তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। একপর্যায়ে তাঁকে ঘিরে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা আলাদাভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা সস্ত্রীক আলাদা কথা বলেন। উপস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। উপস্থিত এক অতিথি বলেন, দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার এখনো যে
একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, তা ছিল দৃশ্যমান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দল, সিপিবি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে দৃশ্যত মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এর আলোকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদ এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি ও বিএনপির নেত্রীর সঙ্গে তাঁদের কুশল বিনিময় বরফ গলাতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যে সকলের অংশগ্রহণে হবে, সে বিষয়ে এটা অর্থবহ ঘটনা বলে আমার কাছে মনে হয়।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। তারপর তিনি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরেছেন। তাতে সবার মধ্যে খুশি ও স্বস্তির হাওয়া বইছে। এখন দেখতে হবে, বিষয়টি রাজনীতিতে কীভাবে আসে; কিংবা আসে কি না।’
বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দেশের রাজনীতির জন্য স্বস্তির বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এটি কিছুটা স্বস্তি ও আস্থা তৈরি করবে। সেখানে সশস্ত্র বাহিনী, রাজনৈতিক দল, আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র-তরুণদের সঙ্গে যে হৃদ্যতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিসমৃদ্ধ এই মিলনমেলা সবার মধ্যকার আপাত-মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব দূর করবে বলে মনে করি।’
গণফোরাম সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘এ রকম অনুষ্ঠান আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে দেবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি জাতীয় ঐক্য গড়তে পারে না।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফও ছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়ক। কুশলাদির একটি ছবির ক্যাপশন ছিল, ‘সোনালী অতীত, গর্বিত ভবিষ্যৎ’। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘আপনাকে এই সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’ সারজিস আলম লেখেন, ‘আপনার আপসহীন মনোভাব আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিষয়ে অবস্থান, নির্বাচনের সময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতান্তরের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এদিনের আশাজাগানিয়া ছবিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুবউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের স্তরের রাজনীতিকেরা যা কিছুই করেন, তার একটা প্রভাব রাজনীতিতে হয়, সমাজে হয়। ওনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন খালেদা জিয়াকে এসব অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। সেখানে এবার সশস্ত্র বাহিনী এবং উপস্থিত অন্যরা তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়েছেন। এর প্রভাব অবশ্যই সব জায়গায় থাকবে।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। এর রাজনৈতিক তাৎপর্য হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগবিরোধী সবাই একত্র।’
২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসনের অবসানের পর অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল, খালেদা জিয়ার উপস্থিতির কারণে তা কিছুটা হলেও ঘুচবে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আশাবাদ জাগানোর পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পথে হাঁটারও ইঙ্গিত বহন করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি শাখা সমন্বিতভাবে যাত্রা শুরু করেছিল। সে কারণে দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রতিবছর সেনাকুঞ্জে এ দিবসের অনুষ্ঠানে সরকার- প্রধান ও অন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের পাশাপাশি দেশের বিশিষ্টজনদের মিলনমেলা বসে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা থাকার সময় সর্বশেষ ২০১২ সালে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁকে দেখা যায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার দাবি করা হয়, গত ১২ বছর পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দূরে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার খালেদা জিয়াকে সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের দুজন কর্মকর্তা গিয়ে আমন্ত্রণ জানান। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল, যিনি একই সঙ্গে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তিনি সেনাকুঞ্জে উপস্থিত হওয়ার পর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে সবাই তাঁকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। একপর্যায়ে তাঁকে ঘিরে জটলার সৃষ্টি হয়েছিল। উপস্থিত রাজনৈতিক নেতারা আলাদাভাবে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানেরা সস্ত্রীক আলাদা কথা বলেন। উপস্থিত বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের সদস্যরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। উপস্থিত এক অতিথি বলেন, দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার এখনো যে
একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে, তা ছিল দৃশ্যমান।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য ইসলামি দল, সিপিবি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে দৃশ্যত মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এর আলোকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদ এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি ও বিএনপির নেত্রীর সঙ্গে তাঁদের কুশল বিনিময় বরফ গলাতে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণে রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যে সকলের অংশগ্রহণে হবে, সে বিষয়ে এটা অর্থবহ ঘটনা বলে আমার কাছে মনে হয়।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতা। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। তারপর তিনি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরেছেন। তাতে সবার মধ্যে খুশি ও স্বস্তির হাওয়া বইছে। এখন দেখতে হবে, বিষয়টি রাজনীতিতে কীভাবে আসে; কিংবা আসে কি না।’
বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসেবে এই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি দেশের রাজনীতির জন্য স্বস্তির বলে মনে করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের পর যে বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এটি কিছুটা স্বস্তি ও আস্থা তৈরি করবে। সেখানে সশস্ত্র বাহিনী, রাজনৈতিক দল, আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র-তরুণদের সঙ্গে যে হৃদ্যতার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। খালেদা জিয়ার উপস্থিতিসমৃদ্ধ এই মিলনমেলা সবার মধ্যকার আপাত-মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব দূর করবে বলে মনে করি।’
গণফোরাম সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, ‘এ রকম অনুষ্ঠান আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে দেবে। প্রতিহিংসার রাজনীতি জাতীয় ঐক্য গড়তে পারে না।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ও আসিফও ছিলেন আন্দোলনের সমন্বয়ক। কুশলাদির একটি ছবির ক্যাপশন ছিল, ‘সোনালী অতীত, গর্বিত ভবিষ্যৎ’। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘আপনাকে এই সুযোগ করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’ সারজিস আলম লেখেন, ‘আপনার আপসহীন মনোভাব আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিষয়ে অবস্থান, নির্বাচনের সময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতান্তরের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে এদিনের আশাজাগানিয়া ছবিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মাহবুবউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের স্তরের রাজনীতিকেরা যা কিছুই করেন, তার একটা প্রভাব রাজনীতিতে হয়, সমাজে হয়। ওনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হওয়ার কথা নয়।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন খালেদা জিয়াকে এসব অনুষ্ঠান থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল। সেখানে এবার সশস্ত্র বাহিনী এবং উপস্থিত অন্যরা তাঁকে সাদরে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়েছেন। এর প্রভাব অবশ্যই সব জায়গায় থাকবে।’
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি বিএনপির নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করবে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। এর রাজনৈতিক তাৎপর্য হচ্ছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগবিরোধী সবাই একত্র।’
২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন।

রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন
২ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩০ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনের পৃথক দুই থানার মামলায় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।’
অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা-১২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি হাবিবুর রশিদ হাবিব।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০১৩ সালের মার্চে পুলিশের উপপরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৬ মার্চ পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ছাড়া একই অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ আলী মামলা করেন। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মুন্সি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে দুই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল আগেই অব্যাহতি পেয়েছেন।

রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনের পৃথক দুই থানার মামলায় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।’
অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা-১২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি হাবিবুর রশিদ হাবিব।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০১৩ সালের মার্চে পুলিশের উপপরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৬ মার্চ পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ছাড়া একই অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ আলী মামলা করেন। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মুন্সি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে দুই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল আগেই অব্যাহতি পেয়েছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২৩ নভেম্বর ২০২৪
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩০ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্র বলছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এ বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগের দিন সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে এ তথ্য। তারেক রহমান নিজেও ওই তারিখে দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন। বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে তারেক রহমানের। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ওই দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাবেন।
তারেক রহমানের ঢাকায় আসার পর গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন বলেও জানিয়েছে সূত্র।

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
সূত্র বলছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এ বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগের দিন সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে এ তথ্য। তারেক রহমান নিজেও ওই তারিখে দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন। বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে তারেক রহমানের। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ওই দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাবেন।
তারেক রহমানের ঢাকায় আসার পর গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন বলেও জানিয়েছে সূত্র।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২৩ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন
২ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩০ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহিল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আগেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা বিষয়ক টিমের চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন।
এদিকে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরা উপলক্ষে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি এই অনুরোধ জানান।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহিল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
তিনি আগেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা বিষয়ক টিমের চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন।
এদিকে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরা উপলক্ষে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি এই অনুরোধ জানান।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২৩ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন
২ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু কথা না বলে থাকতে পারে না।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সাম্প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বসবাস করে। ২০৫০ সালে ঢাকা শহর হবে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বৃহত্তম শহর। তবে সেই শহরকে আমরা কীভাবে পরিচালনা করব সেটি ভাবার বিষয়। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখনো শক্তিশালী না হলেও ইনফরমাল ইকোনমি দিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন তাদের এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। যে কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরে করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ সেবার পরিবর্তে আত্মসেবা শুরু করেছিলে। যাকে অলিগার্কি ব্যবস্থা বলা যায়। তারা মূলত সমাজের ধনী লোকদের দিয়ে অলিগার্ক কায়েম করেছিল। ফলে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছেন।’
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও গণতন্ত্র খুঁজে ফিরি। এই গণতন্ত্রের জন্য তো একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলে। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার তথা মুক্তির জন্য তো মানুষ যুদ্ধ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যারা অতীতে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে দিচ্ছেন তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে তারা কেন ব্যর্থ? ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের সেই প্রতিশ্রুতি বা আশার কথা বলবেন যে তারা ক্ষমতায় গেলে এসবের সমাধান করবেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য অবিরাম যুদ্ধ চলছে। মনে হয় চিরন্তন সংগ্রাম। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে তারা সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে স্বাপ্নিক দেশে পরিণত করবে। তবে সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। এটা থেমে থাকেনি। সংস্কারের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৌঁছেছি।’
মঈন খান বলেন, ‘মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাজ হবে না। আমরা আবারও ফ্যাসিবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে চাই না। অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে যখনই কোনো স্বৈরশাসক দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তখনই কিন্তু বিদ্রোহ হয়েছে। প্রতিবার প্রতিবাদ করেছে। আজকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলো নিষ্ঠুর। কারণ মানুষের অনুভূতিরে ভোঁতা করে দেয়। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের সে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দীপু প্রমুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু কথা না বলে থাকতে পারে না।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সাম্প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বসবাস করে। ২০৫০ সালে ঢাকা শহর হবে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বৃহত্তম শহর। তবে সেই শহরকে আমরা কীভাবে পরিচালনা করব সেটি ভাবার বিষয়। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখনো শক্তিশালী না হলেও ইনফরমাল ইকোনমি দিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন তাদের এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। যে কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরে করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ সেবার পরিবর্তে আত্মসেবা শুরু করেছিলে। যাকে অলিগার্কি ব্যবস্থা বলা যায়। তারা মূলত সমাজের ধনী লোকদের দিয়ে অলিগার্ক কায়েম করেছিল। ফলে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছেন।’
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও গণতন্ত্র খুঁজে ফিরি। এই গণতন্ত্রের জন্য তো একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলে। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার তথা মুক্তির জন্য তো মানুষ যুদ্ধ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যারা অতীতে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে দিচ্ছেন তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে তারা কেন ব্যর্থ? ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের সেই প্রতিশ্রুতি বা আশার কথা বলবেন যে তারা ক্ষমতায় গেলে এসবের সমাধান করবেন।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য অবিরাম যুদ্ধ চলছে। মনে হয় চিরন্তন সংগ্রাম। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে তারা সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে স্বাপ্নিক দেশে পরিণত করবে। তবে সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। এটা থেমে থাকেনি। সংস্কারের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৌঁছেছি।’
মঈন খান বলেন, ‘মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাজ হবে না। আমরা আবারও ফ্যাসিবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে চাই না। অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে যখনই কোনো স্বৈরশাসক দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তখনই কিন্তু বিদ্রোহ হয়েছে। প্রতিবার প্রতিবাদ করেছে। আজকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলো নিষ্ঠুর। কারণ মানুষের অনুভূতিরে ভোঁতা করে দেয়। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের সে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দীপু প্রমুখ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২৩ নভেম্বর ২০২৪
রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন
২ মিনিট আগে
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
৩০ মিনিট আগে