রংপুর প্রতিনিধি

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণ অধিকার পরিষদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপনারা সেই জনআকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে যে ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়ন, গণবিরোধী অবস্থান, সব সরকারের আমলে আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে, তাঁরা ক্ষমতাকে ভোগের বিষয়বস্তু মনে করবে না। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়েই তাঁরা রাষ্ট্রনীতি ঠিক করবে এবং জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, কারা জনপ্রতিনিধি হবে সেটা নির্ধারণ করবে।’
আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যুবসমাজকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবু সাঈদ আপনাদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কৃতি সন্তান। আবু সাঈদের বীরত্বগাথা অবদানকে আপনারা ভুলতে দেবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধোঁকাবাজি করে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করে, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হওয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সিঙ্গাপুর চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের উন্নত স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নাই, এমন প্রতারক জনপ্রতিনিধিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এবং তারুণ্যের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশের প্রশ্নে আপসহীনভাবে একমাত্র কাজ করতে পারে তরুণেরাই। সেই তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং চার বছর মেয়াদি সংসদের সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি হচ্ছে এই গণ অধিকার পরিষদ যদি সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে গণ অধিকার পরিষদের দেড় শ এমপি থাকবে। কোনো দল যদি ১০ শতাংশ ভোট পায় ৩০ জন এমপি থাকবে। কোনো দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায় তার ৩ জন এমপি থাকবে। এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য আনতে পারে। আগামীতে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে কোনো সরকারকে ঠেকাতে থাকে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য এখন থেকেই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ব্যবস্থা কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
নুর আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাঁদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে কটূক্তি করা হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি, ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা সারা বাংলাদেশের মাটি, সেই রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে যারা চেষ্টা করবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ইঙ্গিত করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালিদের জায়গা নাই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা হবে না। যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী এবং গণহত্যাকারীর দোসরদের গ্রেপ্তার করে এই রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। কিন্তু আমরা চাই না জনগণ সেটা করুক। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত লড়াই সংগ্রাম, প্রাণ দানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের যে রাজনীতিক দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই। আগামীতে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চাই, পিছিয়ে পড়া রংপুরকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তিস্তা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের যে দুঃখ-ভোগান্তি সেটা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নাই। রংপুর অঞ্চলে একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে পুরো রংপুর কাভার হয় না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনায় জায়গা হচ্ছে রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষির হাব তৈরি করার জন্য নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। রংপুর অঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, হাড়িভাঙ্গা আম, আলুসহ ১০ টির বেশি কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। রংপুরের যদি কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রংপুরই নয় গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমাদের কেন পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ ভারতে থেকে আনতে হবে? আমাদের দেশের কৃষকদের আমরা কেন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রংপুরের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়, অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে বিরল, স্মরণীয় ও গৌরবের। শহীদ আবু সাঈদ এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও কারিগর। আবু সাঈদরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করব। যাতে করে আবু সাঈদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়।’
রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বেইমান পার্টি মনে করে রংপুর তাঁদের ঘাঁটি। আমরা বলতে চাই রংপুরের মানুষ জাতীয় বেইমান পার্টিকে বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সুতরাং রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না। রংপুরের সাবেক অবৈধ ডামি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আগামীতে রংপুর থেকে এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হতে পারবে না। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক হানিফ খান সজীবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এরশাদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, রংপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ প্রমুখ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গণ অধিকার পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রায় এক ঘণ্টার সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মাঝে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনসহ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তাঁরা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণ অধিকার পরিষদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপনারা সেই জনআকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে যে ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়ন, গণবিরোধী অবস্থান, সব সরকারের আমলে আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে, তাঁরা ক্ষমতাকে ভোগের বিষয়বস্তু মনে করবে না। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়েই তাঁরা রাষ্ট্রনীতি ঠিক করবে এবং জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, কারা জনপ্রতিনিধি হবে সেটা নির্ধারণ করবে।’
আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যুবসমাজকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবু সাঈদ আপনাদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কৃতি সন্তান। আবু সাঈদের বীরত্বগাথা অবদানকে আপনারা ভুলতে দেবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধোঁকাবাজি করে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করে, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হওয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সিঙ্গাপুর চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের উন্নত স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নাই, এমন প্রতারক জনপ্রতিনিধিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এবং তারুণ্যের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশের প্রশ্নে আপসহীনভাবে একমাত্র কাজ করতে পারে তরুণেরাই। সেই তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং চার বছর মেয়াদি সংসদের সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি হচ্ছে এই গণ অধিকার পরিষদ যদি সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে গণ অধিকার পরিষদের দেড় শ এমপি থাকবে। কোনো দল যদি ১০ শতাংশ ভোট পায় ৩০ জন এমপি থাকবে। কোনো দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায় তার ৩ জন এমপি থাকবে। এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য আনতে পারে। আগামীতে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে কোনো সরকারকে ঠেকাতে থাকে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য এখন থেকেই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ব্যবস্থা কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
নুর আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাঁদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে কটূক্তি করা হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি, ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা সারা বাংলাদেশের মাটি, সেই রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে যারা চেষ্টা করবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ইঙ্গিত করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালিদের জায়গা নাই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা হবে না। যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী এবং গণহত্যাকারীর দোসরদের গ্রেপ্তার করে এই রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। কিন্তু আমরা চাই না জনগণ সেটা করুক। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত লড়াই সংগ্রাম, প্রাণ দানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের যে রাজনীতিক দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই। আগামীতে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চাই, পিছিয়ে পড়া রংপুরকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তিস্তা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের যে দুঃখ-ভোগান্তি সেটা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নাই। রংপুর অঞ্চলে একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে পুরো রংপুর কাভার হয় না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনায় জায়গা হচ্ছে রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষির হাব তৈরি করার জন্য নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। রংপুর অঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, হাড়িভাঙ্গা আম, আলুসহ ১০ টির বেশি কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। রংপুরের যদি কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রংপুরই নয় গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমাদের কেন পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ ভারতে থেকে আনতে হবে? আমাদের দেশের কৃষকদের আমরা কেন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রংপুরের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়, অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে বিরল, স্মরণীয় ও গৌরবের। শহীদ আবু সাঈদ এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও কারিগর। আবু সাঈদরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করব। যাতে করে আবু সাঈদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়।’
রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বেইমান পার্টি মনে করে রংপুর তাঁদের ঘাঁটি। আমরা বলতে চাই রংপুরের মানুষ জাতীয় বেইমান পার্টিকে বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সুতরাং রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না। রংপুরের সাবেক অবৈধ ডামি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আগামীতে রংপুর থেকে এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হতে পারবে না। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক হানিফ খান সজীবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এরশাদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, রংপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ প্রমুখ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গণ অধিকার পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রায় এক ঘণ্টার সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মাঝে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনসহ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তাঁরা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
রংপুর প্রতিনিধি

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণ অধিকার পরিষদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপনারা সেই জনআকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে যে ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়ন, গণবিরোধী অবস্থান, সব সরকারের আমলে আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে, তাঁরা ক্ষমতাকে ভোগের বিষয়বস্তু মনে করবে না। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়েই তাঁরা রাষ্ট্রনীতি ঠিক করবে এবং জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, কারা জনপ্রতিনিধি হবে সেটা নির্ধারণ করবে।’
আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যুবসমাজকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবু সাঈদ আপনাদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কৃতি সন্তান। আবু সাঈদের বীরত্বগাথা অবদানকে আপনারা ভুলতে দেবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধোঁকাবাজি করে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করে, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হওয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সিঙ্গাপুর চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের উন্নত স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নাই, এমন প্রতারক জনপ্রতিনিধিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এবং তারুণ্যের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশের প্রশ্নে আপসহীনভাবে একমাত্র কাজ করতে পারে তরুণেরাই। সেই তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং চার বছর মেয়াদি সংসদের সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি হচ্ছে এই গণ অধিকার পরিষদ যদি সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে গণ অধিকার পরিষদের দেড় শ এমপি থাকবে। কোনো দল যদি ১০ শতাংশ ভোট পায় ৩০ জন এমপি থাকবে। কোনো দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায় তার ৩ জন এমপি থাকবে। এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য আনতে পারে। আগামীতে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে কোনো সরকারকে ঠেকাতে থাকে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য এখন থেকেই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ব্যবস্থা কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
নুর আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাঁদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে কটূক্তি করা হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি, ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা সারা বাংলাদেশের মাটি, সেই রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে যারা চেষ্টা করবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ইঙ্গিত করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালিদের জায়গা নাই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা হবে না। যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী এবং গণহত্যাকারীর দোসরদের গ্রেপ্তার করে এই রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। কিন্তু আমরা চাই না জনগণ সেটা করুক। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত লড়াই সংগ্রাম, প্রাণ দানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের যে রাজনীতিক দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই। আগামীতে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চাই, পিছিয়ে পড়া রংপুরকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তিস্তা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের যে দুঃখ-ভোগান্তি সেটা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নাই। রংপুর অঞ্চলে একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে পুরো রংপুর কাভার হয় না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনায় জায়গা হচ্ছে রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষির হাব তৈরি করার জন্য নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। রংপুর অঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, হাড়িভাঙ্গা আম, আলুসহ ১০ টির বেশি কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। রংপুরের যদি কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রংপুরই নয় গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমাদের কেন পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ ভারতে থেকে আনতে হবে? আমাদের দেশের কৃষকদের আমরা কেন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রংপুরের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়, অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে বিরল, স্মরণীয় ও গৌরবের। শহীদ আবু সাঈদ এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও কারিগর। আবু সাঈদরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করব। যাতে করে আবু সাঈদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়।’
রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বেইমান পার্টি মনে করে রংপুর তাঁদের ঘাঁটি। আমরা বলতে চাই রংপুরের মানুষ জাতীয় বেইমান পার্টিকে বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সুতরাং রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না। রংপুরের সাবেক অবৈধ ডামি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আগামীতে রংপুর থেকে এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হতে পারবে না। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক হানিফ খান সজীবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এরশাদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, রংপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ প্রমুখ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গণ অধিকার পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রায় এক ঘণ্টার সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মাঝে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনসহ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তাঁরা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গণ অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গণ অধিকার পরিষদের রংপুর মহানগর ও জেলা কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে এই গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, আপনারা সেই জনআকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন নিয়ে একই সঙ্গে ভাবতে হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ৫৩ বছর ক্ষমতায় ছিল। আজকে যে ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন-নিপীড়ন, গণবিরোধী অবস্থান, সব সরকারের আমলে আমরা দেখেছি। আমরা চাই জনবান্ধব প্রশাসন, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা ক্ষমতায় থাকবে, তাঁরা ক্ষমতাকে ভোগের বিষয়বস্তু মনে করবে না। জনসেবাকে প্রাধান্য দিয়েই তাঁরা রাষ্ট্রনীতি ঠিক করবে এবং জনগণ ক্ষমতায় বসাবে, কারা জনপ্রতিনিধি হবে সেটা নির্ধারণ করবে।’
আবু সাঈদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে যুবসমাজকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আবু সাঈদ আপনাদের বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের কৃতি সন্তান। আবু সাঈদের বীরত্বগাথা অবদানকে আপনারা ভুলতে দেবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ধোঁকাবাজি করে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা করে, গরিব-দুঃখী, মেহনতি মানুষের বন্ধু হওয়ার কথা বলে ভোট নিয়ে এমপি-মন্ত্রী হয়ে সিঙ্গাপুর চলে গেছে, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম বানিয়েছে, ছেলে-মেয়েদের উন্নত স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু অবহেলিত রংপুর অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নাই, এমন প্রতারক জনপ্রতিনিধিদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সময় হয়েছে। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এবং তারুণ্যের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে দেশের প্রশ্নে আপসহীনভাবে একমাত্র কাজ করতে পারে তরুণেরাই। সেই তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘আগামীতে রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ এবং চার বছর মেয়াদি সংসদের সংস্কার প্রস্তাবনা দিচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের বিষয়টি হচ্ছে এই গণ অধিকার পরিষদ যদি সারা দেশ মিলিয়ে ৫০ শতাংশ ভোট পায় তাহলে গণ অধিকার পরিষদের দেড় শ এমপি থাকবে। কোনো দল যদি ১০ শতাংশ ভোট পায় ৩০ জন এমপি থাকবে। কোনো দল যদি এক শতাংশ ভোটও পায় তার ৩ জন এমপি থাকবে। এই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনই একমাত্র রাজনীতিতে একটা ভারসাম্য আনতে পারে। আগামীতে স্বৈরাচারী হওয়া থেকে কোনো সরকারকে ঠেকাতে থাকে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা যেন গড়ে না ওঠে, সে জন্য এখন থেকেই রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ব্যবস্থা কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।’
নুর আরও বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সারা বাংলাদেশে এখনো আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তাঁদের আস্ফালন থামে নাই। এই রংপুরের মাটিতেও গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়েছে কটূক্তি করা হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আবু সাঈদের রক্তে ভেজা রংপুরের মাটি, ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা সারা বাংলাদেশের মাটি, সেই রক্তের দাগ এখনো শুকিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে যারা চেষ্টা করবে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে, তাঁদের সমুচিত জবাব দিতে হবে।’
জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ইঙ্গিত করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী বাকশালিদের জায়গা নাই। আওয়ামী লীগের দোসর যারা ছিলেন, তাঁদের কোনো জায়গা হবে না। যারা আস্ফালন দেখাচ্ছেন, প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে গণহত্যাকারী এবং গণহত্যাকারীর দোসরদের গ্রেপ্তার করে এই রংপুরসহ সারা বাংলাদেশে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করুন। আপনারা (প্রশাসন) যদি আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন, জনগণ কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। কিন্তু আমরা চাই না জনগণ সেটা করুক। ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত লড়াই সংগ্রাম, প্রাণ দানের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আমরা এই সরকারকে স্থিতিশীল করতে চাই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে চাই এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তারুণ্যের যে রাজনীতিক দল গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই। আগামীতে গণ অধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে চাই, পিছিয়ে পড়া রংপুরকে আমরা এগিয়ে নিতে চাই।’
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছরে তিস্তা নিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের যে দুঃখ-ভোগান্তি সেটা নিয়ে কোনো সরকারই সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে নাই। রংপুর অঞ্চলে একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে পুরো রংপুর কাভার হয় না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষ দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনায় জায়গা হচ্ছে রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুরকে কৃষির হাব তৈরি করার জন্য নতুন শিল্পনীতি প্রয়োজন, শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা প্রয়োজন। রংপুর অঞ্চলের মিষ্টি কুমড়া, হাড়িভাঙ্গা আম, আলুসহ ১০ টির বেশি কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়। রংপুরের যদি কৃষিনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, তাহলে শুধু রংপুরই নয় গোটা বাংলাদেশ লাভবান হবে। আমাদের কেন পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ ভারতে থেকে আনতে হবে? আমাদের দেশের কৃষকদের আমরা কেন গুরুত্ব দিচ্ছি না। এসব নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, ‘রংপুরের মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়, অত্যন্ত সহজ-সরল। কিন্তু শান্তিপ্রিয় মানুষ নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণে যে ভূমিকা রেখেছে, তা ইতিহাসে বিরল, স্মরণীয় ও গৌরবের। শহীদ আবু সাঈদ এই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও কারিগর। আবু সাঈদরা আমাদের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছে। জুলাই বিপ্লবে যারা রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে তাদের স্বপ্ন ছিল একটি নতুন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করব। যাতে করে আবু সাঈদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা যায়।’
রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বেইমান পার্টি মনে করে রংপুর তাঁদের ঘাঁটি। আমরা বলতে চাই রংপুরের মানুষ জাতীয় বেইমান পার্টিকে বয়কট করেছে। জাতীয় পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিজম কায়েম করেছে সুতরাং রংপুরের মাটিতে জাতীয় পার্টির জায়গা হবে না। রংপুরের সাবেক অবৈধ ডামি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন দুর্নীতিবাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এই দুর্নীতিবাজরা আগামীতে রংপুর থেকে এমপি, মন্ত্রী, মেয়র হতে পারবে না। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
সমাবেশে গণ অধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক হানিফ খান সজীবের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা মোন্নাফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি এরশাদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, পঞ্চগড় জেলার সদস্যসচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, রংপুর মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শেরে খোদা আসাদুল্লাহ প্রমুখ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে গণ অধিকার পরিষদসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জিলা স্কুল মাঠে সমবেত হন। প্রায় এক ঘণ্টার সমাবেশে কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মাঝে দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে নুরুল হক নুর ও রাশেদ খাঁনসহ গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুরের পীরগঞ্জে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি বাবনপুর জাফরপাড়ায় যান। সেখানে তাঁরা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। দলটির একাধিক শীর্ষ নেতা এবং মাহফুজ ও আসিফের ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, শিগগিরই তাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে পারেন।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যোগ দিলে তাঁদের দায়িত্ব বা পদবি কী হবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মাহফুজ আলমকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সদস্যসচিব পদমর্যাদার দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে আসতে চাইলে দল তাঁদের স্বাগত জানাবে বলে কয়েকবার জানিয়েছেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাহফুজ আলম এবং আসিফ মাহমুদের জন্য এনসিপির দরজা সব সময়ই উন্মুক্ত। তাঁরা চাইলে যেকোনো সময় দলে আসতে পারেন। এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আগামী এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মাহফুজ-আসিফ এনসিপিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির এক নেতা। ওই নেতা বলেন, তাঁরা কয়েক দিন হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে একটা ঘোষণা আসতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের পর মাহফুজ ও আসিফ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আসিফ মাহমুদ ইতিমধ্যে ঢাকা-১০ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ দুই আসনে এনসিপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। দলটি ১২৫টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও এই দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। মাহফুজ এবং আসিফের জন্যই আসন দুটিতে এখন পর্যন্ত প্রার্থী দেওয়া হয়নি বলে মনে করছেন অনেকে।
মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ এবং এনসিপির নেতারা একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। এনসিপির অনেক নেতা মাহফুজ আলমকে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ মনে করেন।
চব্বিশের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের শুরু থেকেই নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা পদে ছিলেন। অন্যদিকে মাহফুজ আলম গত বছরের ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান। গত বছরের ১০ নভেম্বর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি নাহিদ ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্রনেতাদের বড় অংশ এনসিপিতে যুক্ত হয়েছেন। কিন্তু মাহফুজ-আসিফ সরকারের অংশ হওয়ায় তাঁরা শুরুতেই এনসিপিতে যোগ দেননি। গত ১০ ডিসেম্বর তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। নির্বাচনী নানা হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে তাঁরা বিএনপি বা গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হবেন, এমন আলোচনাও ছিল। তবে শেষমেশ এই দুই নেতা এনসিপিতেই যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছে কয়েকটি সূত্র।
এনসিপির নেতারা বলছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যাঁরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাজনৈতিক দর্শনে মিল রয়েছে। তাই তাঁরা চান মাহফুজ-আসিফ অন্য কোনো দিলে না গিয়ে এনসিপিতেই আসুক।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও সহশিক্ষা সম্পাদক মাহাবুব আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের বেশির ভাগ সদস্যই চান, তাঁরা (মাহফুজ-আসিফ) জুলাইয়ের শক্তি হিসেবে তাঁরা এনসিপিতেই আসুক। সেভাবেই আলোচনা চলছে৷
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনও একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিন তিনি বলেন, মাহফুজ-আসিফ কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন, সেটি তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে তাঁরা যদি এনসিপিতে যুক্ত হতে চান, দল তাঁদের স্বাগত জানাবে।
এনসিপির নেতারা বলছেন, মাহফুজ ও আসিফ এনসিপিতে যুক্ত হলে দলটির রাজনৈতিক কৌশলেও পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনাও তখন নতুন মোড় নেবে। মাহফুজ-আসিফ দুজনেই চান এনসিপি বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করুক। সে ক্ষেত্রে তাঁরা এনসিপিতে এলে আন্দোলন-পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণ নেতৃত্ব ও বড় দলগুলোর সমন্বয়ের যে আলোচনা চলছে, এনসিপি সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
সব মিলিয়ে মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পরবর্তী সিদ্ধান্ত শুধু এনসিপির নয়; বরং পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাঁদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা সেই অপেক্ষারই অবসান ঘটাবে বলে মনে করছেন রাজনীতিসংশ্লিষ্টরা।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্র সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর
০৯ নভেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। তাঁরা কোন দলে যুক্ত হবেন—এ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনায় এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
১৭ ঘণ্টা আগে