খালেদা জিয়ার নির্দেশই গ্রেনেড হামলা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী 

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২১, ১৭: ৪৯

খালেদা জিয়ার নির্দেশ ও তাঁর পুত্র তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ শনিবার বেলা ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. হাফিজুর রহমান (মিল্টন) হলে আয়োজিত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ও আহতদের স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষায় আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্য এ মন্তব্য করেন তিনি। 

হাছান মাহমুদ বলেন, এ হামলা তাঁদের নির্দেশ ছাড়া হতে পারে না। কারণ ওই সময় খালেদা জিয়া ছিলেন সরকার প্রধান। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে সংসদে আলোচনাও করতে দেয়নি।  

বিএসএমএমইউ'র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ও মুখ্য আলোচকের বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ'র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন। 

অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা প্রত্যেকটি হামলা করার জন্য আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো বসে নেই। তাঁরা সুযোগ খুঁজছে। তাই আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে যারা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল তারাই আবার ২০০৪ সালের আগস্ট মাসের ২১ তারিখে একই কাজ করেছে। আমাদের মাঝে মীর জাফররা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। 

বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আরেফিন সিদ্দিক। 

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২১ আগস্টের হামলা ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ন্যায়বিচারের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদেরও সজাগ হওয়ার প্রয়োজন। আইনগত ব্যবস্থা ছাড়াও দলের ভেতর থেকে প্রতিহিংসার উপাদান দূর করতে হবে। 

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলালসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, ডিন, শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত