পয়সা খেয়ে কমিটি না দিতে আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে জানিয়েছেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) মাঝেমধ্যেই বলে তোমরা যাদের দায়িত্ব দিবা, তাদের খোঁজ-খবর নিবা ৷ তাদের শেকড় কোথায় খুঁজে দেখো তারপর দায়িত্ব দাও। খালি পয়সা খেয়ে কমিটি দিয়ো না।’

আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মৎস্যজীবী লীগ আয়োজিত শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আবদুস সোবহান গোলাপ। 

কর্মী নাই এমন নেতার দরকার নেই বলে জানান গোলাপ। বলেন, ‘সাজানো সংসারে বসে নেতৃত্ব দেওয়ার দরকার নেই। যারা নেতৃত্ব দিতে চান তাদের কর্মী সৃষ্টি করতে হবে। কর্মীদের আদর্শবান হিসেবে গড়ে তুলে হবে। সাজানো সংসারে হঠাৎ এসে নেতাগীরী করবেন, আপনার কর্মী থাকবে না এটা হতে পারে না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।’

মৎস্যজীবী লীগের নেতা কর্মীর উদ্দেশ্য গোলাপ বলেন, ‘আজকের প্রোগ্রামে দুর্বল উপস্থিতি আশা করি নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি। তিনি আপনাদেরকে সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা দিয়েছেন। তার ফল কি এটা? এই নেতৃত্ব দিয়ে চলবে না। গতিশীল নেতৃত্ব দরকার। যার বাহুবল আছে, আদর্শবান তাঁকেই নেতৃত্ব দিতে হবে। কর্মী সৃষ্টি করতে পারলেই নেতৃত্ব দেওয়া হবে শেখ হাসিনা সেটাই চান।’

স্বাধীনতা বিরোধী বীজ বপন করে গেছে জিয়াউর রহমান বলে দাবি করেন গোলাপ। তিনি বলেন, ‘সেই বীজ এখনো মরে নাই, গর্তে লুকিয়ে আছে। আপনার-আমার আশপাশে আছে। আশপাশে এরা কারা খোঁজ-খবর নিয়েন।’ 

১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল বলে মন্তব্য করেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘সেদিন শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে আজকে দেশের এত উন্নয়ন হতো না। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারত না।’ 

মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক প্রমুখ।