নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে: জি এম কাদের

রংপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭: ৫৬
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০: ২৭

‘নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’ এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
 
আজ সোমবার রংপুর মহানগরীর কোর্ট চত্বর এলাকায় রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের গণসংযোগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 
 
জি এম কাদের বলেন, ‘২৬টি আসন নিয়ে কোনো ভাগাভাগি হয়নি, কোনো মহাজোট হয়নি, এগুলো অপপ্রচার। আমরা চেয়েছি, প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা, অস্ত্র ও পেশিশক্তির থেকে নির্বাচনকে দূরে রাখতে। তাহলেই আমরা নির্বাচন করব।’ 
 
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছু আসনে আওয়ামী লীগ নিজের ইচ্ছায় নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তারা একই সঙ্গে শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। তারা কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী নয়। সেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছে। 
 
‘অন্যান্য প্রার্থীর পক্ষেও কাজ করছে, আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না। তাহলে আমাদের ছাড় দেওয়া হলো কোথায়। আমরা অনেক জায়গায় সরাসরি তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছি, তাহলে ভাগাভাগি কোথায় হলো। যদি পরিস্থিতি-পরিবেশ ভালো থাকে–যেখানে নৌকা আছে সেখানেও আমরা জয় লাভ করব।’
 
পাঁচ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সব নির্বাচনেই শেষ পর্যন্ত কিছু দলীয় প্রার্থী থাকেন না। কেউ ডিকলার (ঘোষণা) দিয়ে প্রকাশ করেন, কেউ এমনি বসে যান। যেকোনোভাবেই হোক, এটা সব সময় হয়। তবে আমার একটা নির্দেশ আছে—যাঁরা নির্বাচন করতে চান, করতে পারেন। নির্বাচন করতে না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।’ 
 
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী হয়ে থাকেন না, অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যান। 
 
‘তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আবার সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে প্রার্থীরা অন্য কারও প্ররোচনায় কিংবা সমর্থনে বা আঁতাত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে, এমন একটা ম্যাসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।’ 
 
জি এম কাদের আরও বলেন, ‘নির্বাচন না আসা পর্যন্ত সঠিক করে বলা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকব কি না সেটা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’
 
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সদস্যসচিব হাজি আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিউর রহমান শাফি, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক আজমল হোসেন লেবু, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগরের সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-মামুন, জাতীয় যুব সংহতির জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত