নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে রয়েছে আগামীকাল রোববার রাজধানীর ওয়ার্ডে–ওয়ার্ডে এবং জেলা ও মহানগরে জমায়েত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে সোমবার বেলা ৩টা থেকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল।
আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনো রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না, সেই কারণে আমরা সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম এড়িয়ে চলেছি। গতকাল (শুক্রবার) এবং আজকেও (শনিবার) আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল।’
আওয়ামী লীগের নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়ে কাদের বলেন, ‘রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে–ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। আর ৫ তারিখে (সোমবার) বেলা ৩টা আমরা আমাদের সেই কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করব।’
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক। ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনি বসতে চান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংঘাত এড়াতে পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে, পাল্টাপাল্টি হতে পারে—এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলছি। বিভেদ নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও প্রগতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আমরা চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকলের সম্মিলিত সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে আমরা একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই, অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পড়ে না। অবুঝ শিশুর তাজা প্রাণ ঝরিয়ে আমাদের সরকারি দলের কোনো লাভ নেই। লাভ তাদের, যারা এ শিশুর লাশ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তারপরেও আমরা ইউনিসেফকে বলব, অনুরোধ করব, যে ৩২ জন শিশু হত্যার কথা তারা বলছে, আমরা সেই শিশুদের নাম-ঠিকানাসহ জানতে চাই। এটা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সত্য খুঁজে বের করুন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি-জামায়াত। তারা বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ। তাই যেকোনো আন্দোলন দেখলে সেটাকে সরকারবিরোধী রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।’
বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করছে দাবি করে কাদের বলেন, গতকাল তাদের ষড়যন্ত্র ও উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে। ফলে দুটো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই আহত। এ ছাড়া অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ সদস্য হত্যার দায় কার তা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান কাদের।
গতকাল দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সহিংসতা হয়েছে তার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটা মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’
‘ইতিমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে। চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এ অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না। আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট শতভাগ। আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তাঁরা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। দেশটি আমাদের। কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এ বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমরা অফিশিয়াল সেটা বলি নাই। আমাদের যোগাযোগের একটা মাধ্যম তো আছে। যখন যোগাযোগটা হবে, তখন আপনারা দেখতে পাবেন, জানতে পাবেন। এখানে কোনো রাখঢাকের বিষয় নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আলোচনার দরজা খোলা। কাজেই বিভিন্নভাবে যোগাযোগ হতে পারে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন তাঁর দরজা খোলা, তিনি আলোচনা করবেন। তাহলে নিচের দিকে আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া বা না দেওয়ার কোনো ব্যাপার না। আমাদের যোগাযোগের দরজা খোলা।’
তাঁরা আলোচনা না করলে আওয়ামী লীগ কী করবে—এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আমি আমার পজিটিভ বিষয়টা বললাম। নেগেটিভে যাব কেন? দরজা খোলা রাখছি।’
বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে কি না, ঘটলে আওয়ামী লীগ কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
তদন্তে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘের কাছে সরকার আবেদন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এটা তাঁর বক্তব্যে বারবার উল্লেখ করেছেন। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলার পর জাতিসংঘ একটা প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তো চিঠি দিয়ে বলেনি। আমরাও সেটাতে সায় দিয়েছি।’
রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বলে দিয়েছি। এ জন্য আমরা জমায়েত করছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর মধ্যে রয়েছে আগামীকাল রোববার রাজধানীর ওয়ার্ডে–ওয়ার্ডে এবং জেলা ও মহানগরে জমায়েত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে সোমবার বেলা ৩টা থেকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল।
আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনো রকম মুখোমুখি অবস্থানে জড়াতে চাই না, সেই কারণে আমরা সংঘাত হতে পারে এ ধরনের প্রোগ্রাম এড়িয়ে চলেছি। গতকাল (শুক্রবার) এবং আজকেও (শনিবার) আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল।’
আওয়ামী লীগের নতুন কর্মসূচির কথা জানিয়ে কাদের বলেন, ‘রোববার ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে–ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। আর ৫ তারিখে (সোমবার) বেলা ৩টা আমরা আমাদের সেই কর্মসূচি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোক মিছিল করব।’
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির অভিভাবক। ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনি বসতে চান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংঘাত এড়াতে পক্ষ-বিপক্ষ হতে পারে, পাল্টাপাল্টি হতে পারে—এমন কর্মসূচি এড়িয়ে চলছি। বিভেদ নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। যারা স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও প্রগতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস আমরা চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের প্রতিহত করতে আমরা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সকলের সম্মিলিত সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে আমরা একটা বিষয় উল্লেখ করতে চাই, অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় পড়ে না। অবুঝ শিশুর তাজা প্রাণ ঝরিয়ে আমাদের সরকারি দলের কোনো লাভ নেই। লাভ তাদের, যারা এ শিশুর লাশ থেকে ফায়দা লুটতে চায়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। তারপরেও আমরা ইউনিসেফকে বলব, অনুরোধ করব, যে ৩২ জন শিশু হত্যার কথা তারা বলছে, আমরা সেই শিশুদের নাম-ঠিকানাসহ জানতে চাই। এটা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। সত্য খুঁজে বের করুন।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। এ দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ফিরিয়ে এনেছে। আজ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের অপচেষ্টা চালাচ্ছে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপি-জামায়াত। তারা বারবার জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ। তাই যেকোনো আন্দোলন দেখলে সেটাকে সরকারবিরোধী রূপ দিতে উন্মত্ত হয়ে ওঠে। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ওপর ভর করে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করছে।’
বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করছে দাবি করে কাদের বলেন, গতকাল তাদের ষড়যন্ত্র ও উসকানির মাধ্যমে ছাত্রদল ও শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সহিংসতা করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে। ফলে দুটো তাজা প্রাণ ঝরে গেল। পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ অনেকেই আহত। এ ছাড়া অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেছে। পুলিশ সদস্য হত্যার দায় কার তা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জানতে চান কাদের।
গতকাল দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সহিংসতা হয়েছে তার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয় উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের বলতে চাই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাইবার সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটা মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’
‘ইতিমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে। চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে। যারা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। এ অশুভ শক্তির অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না। আমাদের মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের প্রতি কমিটমেন্ট শতভাগ। আমরা শিক্ষার্থীদের নিকট দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। তাঁরা আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। দেশটি আমাদের। কোনো পক্ষকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এ বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘আমরা অফিশিয়াল সেটা বলি নাই। আমাদের যোগাযোগের একটা মাধ্যম তো আছে। যখন যোগাযোগটা হবে, তখন আপনারা দেখতে পাবেন, জানতে পাবেন। এখানে কোনো রাখঢাকের বিষয় নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন আলোচনার দরজা খোলা। কাজেই বিভিন্নভাবে যোগাযোগ হতে পারে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলছেন তাঁর দরজা খোলা, তিনি আলোচনা করবেন। তাহলে নিচের দিকে আর কাউকে দায়িত্ব দেওয়া বা না দেওয়ার কোনো ব্যাপার না। আমাদের যোগাযোগের দরজা খোলা।’
তাঁরা আলোচনা না করলে আওয়ামী লীগ কী করবে—এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আমি আমার পজিটিভ বিষয়টা বললাম। নেগেটিভে যাব কেন? দরজা খোলা রাখছি।’
বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে কি না, ঘটলে আওয়ামী লীগ কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
তদন্তে সহযোগিতার জন্য জাতিসংঘের কাছে সরকার আবেদন করেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এটা তাঁর বক্তব্যে বারবার উল্লেখ করেছেন। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলার পর জাতিসংঘ একটা প্রস্তাব দিয়েছে। এটা তো চিঠি দিয়ে বলেনি। আমরাও সেটাতে সায় দিয়েছি।’
রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সর্বাত্মক অসহযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বলে দিয়েছি। এ জন্য আমরা জমায়েত করছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা তিন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আসিফ ভূঁইয়া সজীব ও নাহিদ ইসলাম। একই অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্
১৮ ঘণ্টা আগেনাছিম বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষেই আমরা যদি ভুল করে থাকি, অথবা অন্যায় করে থাকি, সেই অন্যায়ের জন্য জাতির কাছে ক্ষমতা চাইতে আমাদের কোনো আপত্তি অথবা আমরা ক্ষমা চাইব না—এ ধরনের গোঁড়ামি আমাদের ভেতরে কাজ করে না। এ ধরনের দল, এই মানসিকতার দল আওয়ামী লীগ নয়...
১৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলে চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর...
২১ ঘণ্টা আগেসশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা করেন তিনি। পরে বিকেল ৪টার আগেই সেখানে পৌঁছান তিনি...
১ দিন আগে