নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
আজ রোববার দলটির বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সেই সাক্ষাৎ–পরবর্তী বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে আমরা বারবার চলে আসতে চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের মিডিয়া এবং সচেতন মানুষ জানে জাতীয় পার্টির গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।’
জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে দেয়নি দাবি করে কাদের বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে আমরা বারবার চলে আসতে চেষ্টা করেছি। জাতীয় পার্টির গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমাদের দলের রাজনীতি করতে দেয়নি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো অপশন ছিল না। আমাদের দল হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু দলটি বেঁচে গেছে। দল না থাকলে আমাদের রাজনীতি থাকবে না। তাই, দল বাঁচানো আমাদের কাছে জরুরি ছিল।’
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা অংশ নেইনি। আমি সরকারের মন্ত্রী থেকেও নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। বিএনপির দায়ের করা একটি মামলা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশ অনুযায়ী আমি সংবাদ সম্মেলন করে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতীয় পার্টিকে নির্যাতন করেছে। মঞ্জুর হত্যা মামলা দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ফাঁসির ভয় দেখানো হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলই অংশ নিয়েছিল। আমরাও নির্বাচনে ছিলাম।’
সংবিধান পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা হ্রাস করাসহ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদে ও সংসদের বাইরে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন, দলীয় প্রধানের পদ ছাড়া দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সংসদে চার ভাগের তিন ভাগ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাষ্ট্রপতি একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিয়োগ, সংবিধানের ১১৬ ধারা বাতিল করা, নিম্ন আদালতের ব্যাপারে সব ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির হাতে দেওয়া, উচ্চ আদালতের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দেওয়াসহ সংবিধান রচনাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেছেন বলে জানান তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বলেছি আমাদের শাসনতন্ত্র বা সংবিধান পরিবর্তন করে এমন একটি জিনিস দিয়ে যাবেন, যাতে জনগণকে পরবর্তীতে এটার জন্য আর আন্দোলন করতে না হয়। সরকারকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে রাজি আছে। সরকার যেভাবে চাইবে, আমরা সংস্কারের জন্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। আমরা জানি, আপনাদের সেই দেশপ্রেম আছে, সেই ভাবমূর্তি আছে। আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশাসনকে দলীয়করণ মুক্ত করতে হবে। ট্রুথ কমিশন গঠন করে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।’ এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দলটির অবস্থান জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন জুলাই মাসের ১ তারিখে শুরু হয়েছে। ৩ তারিখে সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে আমি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হিসেবে কোটার বিরোধিতা করে বক্তৃতা করেছি। আমরা সব সময় বলেছি, কোটা পদ্ধতি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। কোটা পদ্ধতি ছিল সংবিধান পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের পক্ষে ছিল এবং আজীবন থাকবে। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় পার্টির দোষারোপ করে। যা আসলেই ঠিক না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম মিলন, মাসরুর মওলা, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের)।
আজ রোববার দলটির বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সেই সাক্ষাৎ–পরবর্তী বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে আমরা বারবার চলে আসতে চেষ্টা করেছি। আমাদের দেশের মিডিয়া এবং সচেতন মানুষ জানে জাতীয় পার্টির গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।’
জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে দেয়নি দাবি করে কাদের বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে আমরা বারবার চলে আসতে চেষ্টা করেছি। জাতীয় পার্টির গলায় ফাঁস লাগিয়ে নির্বাচনে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আমাদের দলের রাজনীতি করতে দেয়নি স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা আওয়ামী লীগের হাতে নির্যাতিত হয়েছি। ২০২৪ সালের নির্বাচনে না যাওয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো অপশন ছিল না। আমাদের দল হয়তো কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু দলটি বেঁচে গেছে। দল না থাকলে আমাদের রাজনীতি থাকবে না। তাই, দল বাঁচানো আমাদের কাছে জরুরি ছিল।’
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা অংশ নেইনি। আমি সরকারের মন্ত্রী থেকেও নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। বিএনপির দায়ের করা একটি মামলা ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্দেশ অনুযায়ী আমি সংবাদ সম্মেলন করে ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন করেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জাতীয় পার্টিকে নির্যাতন করেছে। মঞ্জুর হত্যা মামলা দিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ফাঁসির ভয় দেখানো হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলই অংশ নিয়েছিল। আমরাও নির্বাচনে ছিলাম।’
সংবিধান পরিবর্তন, প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা হ্রাস করাসহ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদে ও সংসদের বাইরে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন, দলীয় প্রধানের পদ ছাড়া দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, সংসদে চার ভাগের তিন ভাগ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাষ্ট্রপতি একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে নিয়োগ, সংবিধানের ১১৬ ধারা বাতিল করা, নিম্ন আদালতের ব্যাপারে সব ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির হাতে দেওয়া, উচ্চ আদালতের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দেওয়াসহ সংবিধান রচনাসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেছেন বলে জানান তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমরা বলেছি আমাদের শাসনতন্ত্র বা সংবিধান পরিবর্তন করে এমন একটি জিনিস দিয়ে যাবেন, যাতে জনগণকে পরবর্তীতে এটার জন্য আর আন্দোলন করতে না হয়। সরকারকে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় দিতে রাজি আছে। সরকার যেভাবে চাইবে, আমরা সংস্কারের জন্য সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। আমরা জানি, আপনাদের সেই দেশপ্রেম আছে, সেই ভাবমূর্তি আছে। আপনাদের ওপর আমাদের আস্থা আছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রশাসনকে দলীয়করণ মুক্ত করতে হবে। ট্রুথ কমিশন গঠন করে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।’ এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করা, আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দলটির অবস্থান জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন জুলাই মাসের ১ তারিখে শুরু হয়েছে। ৩ তারিখে সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে আমি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হিসেবে কোটার বিরোধিতা করে বক্তৃতা করেছি। আমরা সব সময় বলেছি, কোটা পদ্ধতি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। কোটা পদ্ধতি ছিল সংবিধান পরিপন্থী।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সব সময় জনগণের পক্ষে ছিল এবং আজীবন থাকবে। একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে জাতীয় পার্টির দোষারোপ করে। যা আসলেই ঠিক না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, মনিরুল ইসলাম মিলন, মাসরুর মওলা, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মো. খলিলুর রহমান খলিল প্রমুখ।
আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে। সবাই মিলে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে
১৪ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমানকে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আসলাম চৌধুরী। সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে গতকাল সোমবার সকালে ঈদুল ফিতরের জামাতে মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে আসলাম এ হুমকি দেন।
১৬ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চীন সফর বর্তমান সরকারের একটি বড় সাফল্য। কারণ, এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে চীনের একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তবে সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তাদের কৌশল বদলেছে এবং সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, ‘দিল্লি ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও যুদ্ধ চলমান থাকবে। যারাই আপস করতে আসবে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।’ চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগর এলাকায় নিহত আজাদ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজ সোমবার বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিম
১ দিন আগে