চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
অভাবের সংসার। করোনার মধ্যে অসুস্থ বাবার উপার্জনও ছিল বন্ধ। গত বছর চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। চিকিৎসার ব্যয় সংকুলান করতে চড়া সুদে নেওয়া ঋণ এখন ঘাড়ে চেপে বসেছে। তিন ভাইবোনের লেখাপড়া এখন শিকেয়। বাহারুল মোকতারের বয়স মাত্র আট বছর। পেটের দায়ে এখন পানের দোকান দিয়েছে সে। বড় ভাইয়ের বয়স ১২ বছর। সেও এক দোকানে কাজ নিয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোতাছিন মোকতারের ছেলে বাহারুল মোকতার। মোতাসিন আসলামপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মাছ বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন যকৃতের জটিলতা ভুগে বিনা চিকিৎসায় গত বছর মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাহারুলের বাবা মোতাসিন মৃত্যুর আগে চিকিৎসার জন্য একাধিক মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন। বাবার মৃত্যুর পরে ঋণের ওই টাকা পরিশোধের চাপ, অন্যদিকে পেটের দায় এখন বাহারুলদের পথে নামিয়েছে।
বাহারুলরা দুই ভাই ও এক বোন। বড় বোন স্থানীয় বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অভাবের কারণে তার পড়াশোনা বন্ধের পথে। বাহারুল সংসারের ছোট ছেলে। বড়ভাই শাহারুল (১২) বাজারের একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করে। বাহারুল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই বাবার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে পড়াশোনা বন্ধ।
বাবার মৃত্যুর পর স্থানীয় বাজারের অলিগলিতে খিলি পান বিক্রি করে বাহারুল। বন্ধুরা যখন খেলা করে বাহারুল তখন দোকানির কাছ থেকে পাইকারি পান কিনে বাজারে খিলি বিক্রি করে।
বাহারুলের মা নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ হলে টাকার জন্য ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। স্বামীর মৃত্যুর আগে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিই। এখন সংসারে অভাব অনটন চলছে। আমাদের সহযোগিতা করার মতো কাউকেই পাশে পাইনি। যদি কোনো সহায়তা পাই তাহলে সন্তানদের পড়ালেখা করাতে চাই।’
বিনা চিকিৎসায় বাবা মারা গেছে। শিশু বাহারুলের মনে সেই করুণ দৃশ্য গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। তাই সে পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চায়। গরিব মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রবল ইচ্ছা তার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা ওই শিশুটিকে শিক্ষা উপবৃত্তির ভাতার আওতায় আনার জন্য কাজ করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল নোমান রাহুল বলেছেন, ‘শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তির পাশাপাশি শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
অভাবের সংসার। করোনার মধ্যে অসুস্থ বাবার উপার্জনও ছিল বন্ধ। গত বছর চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। চিকিৎসার ব্যয় সংকুলান করতে চড়া সুদে নেওয়া ঋণ এখন ঘাড়ে চেপে বসেছে। তিন ভাইবোনের লেখাপড়া এখন শিকেয়। বাহারুল মোকতারের বয়স মাত্র আট বছর। পেটের দায়ে এখন পানের দোকান দিয়েছে সে। বড় ভাইয়ের বয়স ১২ বছর। সেও এক দোকানে কাজ নিয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোতাছিন মোকতারের ছেলে বাহারুল মোকতার। মোতাসিন আসলামপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মাছ বিক্রি করতেন। দীর্ঘদিন যকৃতের জটিলতা ভুগে বিনা চিকিৎসায় গত বছর মারা যান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাহারুলের বাবা মোতাসিন মৃত্যুর আগে চিকিৎসার জন্য একাধিক মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নেন। বাবার মৃত্যুর পরে ঋণের ওই টাকা পরিশোধের চাপ, অন্যদিকে পেটের দায় এখন বাহারুলদের পথে নামিয়েছে।
বাহারুলরা দুই ভাই ও এক বোন। বড় বোন স্থানীয় বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অভাবের কারণে তার পড়াশোনা বন্ধের পথে। বাহারুল সংসারের ছোট ছেলে। বড়ভাই শাহারুল (১২) বাজারের একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করে। বাহারুল স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই বাবার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে পড়াশোনা বন্ধ।
বাবার মৃত্যুর পর স্থানীয় বাজারের অলিগলিতে খিলি পান বিক্রি করে বাহারুল। বন্ধুরা যখন খেলা করে বাহারুল তখন দোকানির কাছ থেকে পাইকারি পান কিনে বাজারে খিলি বিক্রি করে।
বাহারুলের মা নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ হলে টাকার জন্য ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি। স্বামীর মৃত্যুর আগে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে সুদে ঋণ নিই। এখন সংসারে অভাব অনটন চলছে। আমাদের সহযোগিতা করার মতো কাউকেই পাশে পাইনি। যদি কোনো সহায়তা পাই তাহলে সন্তানদের পড়ালেখা করাতে চাই।’
বিনা চিকিৎসায় বাবা মারা গেছে। শিশু বাহারুলের মনে সেই করুণ দৃশ্য গভীরভাবে রেখাপাত করেছে। তাই সে পড়াশোনা করে ডাক্তার হতে চায়। গরিব মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার প্রবল ইচ্ছা তার।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা ওই শিশুটিকে শিক্ষা উপবৃত্তির ভাতার আওতায় আনার জন্য কাজ করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল নোমান রাহুল বলেছেন, ‘শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তির পাশাপাশি শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪