মনিরুল ইসলাম, শালিখা (মাগুরা)
ভ্যানে শুয়ে আছেন ৮০ বছর বয়সী রাবেয়া বেগম। ভ্যান চালান তাঁর ৮৫ বছর বয়সী স্বামী খলিল শেখ। এভাবে ঘুরে যখন যেখানে রাত হয় সেখানে খোলা আকাশের নিচেই ঘুমিয়ে যান। ৫ বছর ধরে এভাবে ভ্যানে ঘুরে ঘুরেই চলছে তাঁদের জীবন; এটিই তাঁদের সংসার।
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় ছয়ঘরিয়া বাসস্ট্যান্ডে ১ নভেম্বর সোমবার তাঁদের দেখা মেলে। জানা যায়, ভূমিহীন খলিল শেখ রামপাল এলাকায় অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর করে থাকতেন। সেখানে বসেই চার মেয়ে বিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। পরে একদিন স্ত্রীকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে আর ফিরে যাননি। সেখান থেকে একটি ভ্যান কিনে চলে আসেন কালিগঞ্জ এলাকায়। সেখানে কোন ঠাঁই না পেয়ে কালিগঞ্জের পথে পথে ও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো শুরু। ৫ বছর ধরে চলছে এমন জীবন।
সবশেষ, শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মো. ইলিয়াসের বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানে থাকা শুরু করেন। পরে ইলিয়াসের স্ত্রী রাফেজা খাতুনের সহযোগিতায় মেহগনি বাগান থেকে ঠাঁই হয় গোয়াল ঘরে। সেখানে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাত যাপন করছেন খলিল।
সারা দিন স্ত্রীকে ভ্যানে শুইয়ে শালিখা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও মানুষের বাড়িতে ঘুরে পুরোনো কাপড় বিক্রি করেন। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে স্বামী-স্ত্রীর জীবিকা। বাকি টাকা শেষ হয়ে যায় নিজের ও অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধ বাবদ।
প্রবীণ খলিল শেখ ও তাঁর স্ত্রী রাবেয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, চার মেয়েকে কোন মতে বিয়ে দিয়েছেন। এখন দুজনের জীবন ভ্যানেই চলছে। প্রতিদিন দুজনের প্রায় ২০০ টাকার ওষুধ লাগে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও কারও কাছে হাত না পেতে পুরোনো কাপড় বিক্রি করেই জীবন চালান। তবে কেউ কেউ সাহায্য করেন বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। এই শেষ বয়সে এসে এভাবে জীবন কাটাতে তাঁদের অনেক কষ্ট হয়। তাঁরা থাকার জায়গা চান, খাবার চান, ওষুধ কেনার টাকা চান।
এরই মধ্যে মহম্মদপুর এলাকার বণি আদম নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট দেখে মালটা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মশিয়ার রহমান এই অসহায় দম্পতির পরিবারের কাহিনি জানতে পারেন। এর পরেই তিনি শতখালী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের মাধ্যমে ওই অসহায় বৃদ্ধ দম্পতিকে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করেন।
জাকির হোসেন জানান, এই অসহায় প্রবীণ পরিবারের থাকা ও খাওয়া ব্যবস্থা মালটা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মশিয়ার রহমানের মাধ্যমে করা হবে। যে যেখান থেকে পারেন তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
ভ্যানে শুয়ে আছেন ৮০ বছর বয়সী রাবেয়া বেগম। ভ্যান চালান তাঁর ৮৫ বছর বয়সী স্বামী খলিল শেখ। এভাবে ঘুরে যখন যেখানে রাত হয় সেখানে খোলা আকাশের নিচেই ঘুমিয়ে যান। ৫ বছর ধরে এভাবে ভ্যানে ঘুরে ঘুরেই চলছে তাঁদের জীবন; এটিই তাঁদের সংসার।
মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলায় ছয়ঘরিয়া বাসস্ট্যান্ডে ১ নভেম্বর সোমবার তাঁদের দেখা মেলে। জানা যায়, ভূমিহীন খলিল শেখ রামপাল এলাকায় অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর করে থাকতেন। সেখানে বসেই চার মেয়ে বিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। পরে একদিন স্ত্রীকে নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে আর ফিরে যাননি। সেখান থেকে একটি ভ্যান কিনে চলে আসেন কালিগঞ্জ এলাকায়। সেখানে কোন ঠাঁই না পেয়ে কালিগঞ্জের পথে পথে ও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানো শুরু। ৫ বছর ধরে চলছে এমন জীবন।
সবশেষ, শালিখা উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের মো. ইলিয়াসের বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানে থাকা শুরু করেন। পরে ইলিয়াসের স্ত্রী রাফেজা খাতুনের সহযোগিতায় মেহগনি বাগান থেকে ঠাঁই হয় গোয়াল ঘরে। সেখানে তাঁর অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাত যাপন করছেন খলিল।
সারা দিন স্ত্রীকে ভ্যানে শুইয়ে শালিখা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ও মানুষের বাড়িতে ঘুরে পুরোনো কাপড় বিক্রি করেন। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়েই চলে স্বামী-স্ত্রীর জীবিকা। বাকি টাকা শেষ হয়ে যায় নিজের ও অসুস্থ স্ত্রীর ওষুধ বাবদ।
প্রবীণ খলিল শেখ ও তাঁর স্ত্রী রাবেয়া বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, চার মেয়েকে কোন মতে বিয়ে দিয়েছেন। এখন দুজনের জীবন ভ্যানেই চলছে। প্রতিদিন দুজনের প্রায় ২০০ টাকার ওষুধ লাগে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও কারও কাছে হাত না পেতে পুরোনো কাপড় বিক্রি করেই জীবন চালান। তবে কেউ কেউ সাহায্য করেন বলেও তাঁরা উল্লেখ করেন। এই শেষ বয়সে এসে এভাবে জীবন কাটাতে তাঁদের অনেক কষ্ট হয়। তাঁরা থাকার জায়গা চান, খাবার চান, ওষুধ কেনার টাকা চান।
এরই মধ্যে মহম্মদপুর এলাকার বণি আদম নামের একজনের ফেসবুক পোস্ট দেখে মালটা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মশিয়ার রহমান এই অসহায় দম্পতির পরিবারের কাহিনি জানতে পারেন। এর পরেই তিনি শতখালী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের মাধ্যমে ওই অসহায় বৃদ্ধ দম্পতিকে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সহযোগিতা করেন।
জাকির হোসেন জানান, এই অসহায় প্রবীণ পরিবারের থাকা ও খাওয়া ব্যবস্থা মালটা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. মশিয়ার রহমানের মাধ্যমে করা হবে। যে যেখান থেকে পারেন তাঁদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
ভোরের আলো ফোটার আগেই রাজধানীর আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শ্রমজীবীদের হাটে জড়ো হন শত শত শ্রমজীবী মানুষ। বিভিন্ন বয়সের পুরুষ ও নারী শ্রমিকেরা এই হাটে প্রতিদিন ভিড় করেন একটু কাজ পাওয়ার আশায়। তবে দিন যত যাচ্ছে, তাঁদের জীবনের লড়াই ততই কঠিন হয়ে উঠছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জীবনকে দুর্বিষ
২৬ অক্টোবর ২০২৪ফেলুদার দার্জিলিং জমজমাট বইয়ে প্রথম পরিচয় দার্জিলিংয়ের সঙ্গে। তারপর অঞ্জন দত্তের গানসহ আরও নানাভাবে হিল স্টেশনটির প্রতি এক ভালোবাসা তৈরি হয়। তাই প্রথমবার ভারত সফরে ওটি, শিমলা, মসুরির মতো লোভনীয় হিল স্টেশনগুলোকে বাদ দিয়ে দার্জিলিংকেই বেছে নেই। অবশ্য আজকের গল্প পুরো দার্জিলিং ভ্রমণের নয়, বরং তখন পরিচয়
২৩ অক্টোবর ২০২৪কথায় আছে না—‘ঘরপোড়া গরু, সিঁদুরেমেঘ দেখলেই ডরায়’! আমার হইছে এই অবস্থা। বাড়িতে এখন বাড়িআলী, বয়স্ক বাপ-মা আর ছোট মেয়ে। সকাল থেকে চার-পাঁচবার কতা বলিচি। সংসার গোচাচ্ছে। আইজকা সন্ধ্যার দিকে ঝড় আসপি শুনতিছি। চিন্তায় রাতে ভালো ঘুমাতে পারিনি...
২৬ মে ২০২৪প্রতিদিন ভোরে ট্রেনের হুইসেলে ঘুম ভাঙে রাকিব হাসানের। একটু একটু করে গড়ে ওঠা রেলপথ নির্মাণকাজ তাঁর চোখে দেখা। এরপর রেলপথে ট্রেন ছুটে চলা, ট্রেন ছুঁয়ে দেখা—সবই হলো; কিন্তু এখনো হয়নি চড়া। রাকিবের মুখে তাই ভারতীয় সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লার বিখ্যাত গান। ‘আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম, তুমি চলে
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪