প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বছর আগে কেনিয়ার লেক তুরকাণের কাছের একটি অঞ্চল জীববৈচিত্র্যে পরিপূর্ন ছিল। এসময় ‘হোমিনিন’ নামের দুই প্রজাতি একই সঙ্গে বিচরণ করছিল। প্রাচীন এই হ্রদের তীরে একই সময়ে তৈরি হওয়া দুটি আলাদা হোমিনিন প্রজাতির পদচিহ্নের জীবাশ্মগুলো পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে এই তথ্য জানতে পারেন বিজ্ঞানীরা।
প্রায় এক শতাব্দী আগে সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দিয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। এবার মহাবিশ্বের বৃহত্তম পরিমণ্ডলে তত্ত্বটি যাচাই করেছেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, মহাকাশ জুড়ে কোটি কোটি গ্যালাক্সির বিবর্তন এবং গত কয়েক শ কোটি বছরে এগুলো যেভাবে গুচ্ছ তৈরি করেছে, তা আইনস্টাইনের তত্ত্বের সঙ্গে মিলে গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জিপিএসের সাহায্য ছাড়াই এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া থেকে কোনো ব্যক্তির সাম্প্রতিক অবস্থান চিহ্নিত করা যাবে।
সূর্যালোক থেকে শক্তি সংগ্রহ করতে পারে এমন প্রাণী কোষ তৈরি করেছেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। শৈবালের ক্লোরোপ্লাস্ট প্রাণী কোষে প্রবেশ করিয়ে এই কোষ তৈরি করেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই ধরনের কোষ তৈরি করা আগে অসম্ভব বলে মনে করা হতো। এই নতুন পদ্ধতি কৃত্রিম টিস্যু উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। বিশেষ কর
মানুষের বর্তমান প্রজাতি হোমো সেপিয়েন্সের আগের প্রজাতিটি ছিল নিয়ান্ডারথাল। প্রায় ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল নিয়ান্ডারথালেরা। ফ্রান্সের একটি গুহা থেকে আবিষ্কৃত একটি নিয়ান্ডারথাল জিনোম বিশ্লেষণ করে প্রজাতিটির হারিয়ে যাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা।
বিশ্বের শুষ্কতম জায়গাগুলোর একটি সাহারা মরুভূমি। যেখানে বৃষ্টির দেখা মেলে কালেভদ্রে। আর তাই সেখানে সবুজ প্রকৃতি গড়ে ওঠারও সুযোগ খুব একটা হয় না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা দেখতে পেয়েছে, এই মরুভূমিতে সবুজ উদ্ভিদ
অ্যান্টার্কটিকায় যেসব বড় বড় গ্লেসিয়ার বা হিমবাহ আছে—সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো থোয়াইটস গ্লেসিয়ার। যা ডুমসডে গ্লেসিয়ার নামেও পরিচিত। দীর্ঘ ছয় বছরের গবেষণা শেষে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে হারে এই গ্লেসিয়ার গলে যাচ্ছে, তাতে আগামী ২০০ বছরের মধ্যেই এটি নিঃশেষ হয়ে যাবে। যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে অন্তত ২
খুব শিগগির পৃথিবীর কাছে আসছে ‘দ্বিতীয় চাঁদ’। সাদা চোখেই এই ‘চাঁদের’ দেখা মিলবে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে নভেম্বর মাসের শেষ দিক পর্যন্ত এই চাঁদের দেখা পাওয়া যাবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের
ব্যাকটেরিয়াসহ বিভিন্ন জীবাণু প্রচলিত ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার কারণে আগামী ২৫ বছরে বিশ্বে প্রায় ৪ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। এই অবস্থার কারণে পরোক্ষভাবে আরও ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার তিন জনবহুল দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে ১ কোটি ১৮ লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে
২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত কেপ কড উপদ্বীপ অঞ্চলে সন্তানসম্ভবা পোরবিগল হাঙরের শরীরে শনাক্তকরণ যন্ত্র স্থাপন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। মূলত এর বাসস্থান এবং গতিবিধি জানাই ছিল এর লক্ষ্য।
গবেষণাগারে তৈরি কৃত্রিম জীবন্ত ত্বক রোবটে বসিয়ে সেটিতে হাসি ফুটিয়ে তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। টোকিও ইউনিভার্সিটির বায়োহাইব্রিড সিস্টেম ল্যাবরেটরির অধ্যাপক শোজি তাকেউচির নেতৃত্বে বিজ্ঞানীরা মানুষের মুখের অনুরূপ একটি অ্যাকচুয়েটর
দলবদ্ধ প্রাণীদের মধ্যে আলাদাভাবে অন্যদের নামকরণের বিষয়টি অত্যন্ত উন্নত জ্ঞানের চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হয়। গবেষকেরা ভাবতেন, মানুষ ছাড়া বিশেষ এই ক্ষমতাটি আছে শুধু বটলনোজ ডলফিন এবং আফ্রিকান হাতিদের। তবে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন আরেক প্রজাতির প্রাণী।
শহর কিংবা গ্রামের রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের জন্য সড়কবাতি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। তবে গাছের পাতার ওপর নির্ভরশীল পতঙ্গদের বিশাল ক্ষতি করছে এসব সড়কবাতি। কৃত্রিম বাতির আলো গাছের পাতাকে শক্ত করে তোলে। এর পোকামাকড় এগুলো সহজে চিবিয়ে খেতে পারে না। এ জন্য খাদ্য খুঁজে পেতে এরা অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হয়। এমনক
নতুন একটি গবেষণা দেখা গেছে, আড়াই হাজার বছর আগে আনুমানিক ৭ দশমিক ৫ কিংবা ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ভারতীয় উপমহাদেশ। প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উৎস হিসেবে পরিচিত ভারতীয় গঙ্গা নদীর গতিপথই বদলে গিয়েছিল।
সমাজে ‘আত্মপ্রেম’ বা ‘নার্সিসিজমে’ নিমগ্ন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ ধরনের মানুষেরা নিজের চিন্তা, রুচি এবং কাজকে সবার চেয়ে সেরা বলে মনে করেন। নিজের চেহারা কিংবা শক্তিমত্তা নিয়েও অনেকের গর্বের সীমা নেই।
আমরা যেমন মলা–ঢেলার মতো ছোট মাছ খেতে অভ্যস্ত, তেমনি দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের অধিবাসীরা বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ খেয়ে থাকে। তাদের মধ্যে হোয়াইট বেট, আটলান্টিক ক্যাপেলিন কিংবা ছোট শুকনো সার্ডিন মাছ খাওয়ার অভ্যাস আছে। মাথা, হাড় কিংবা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোনো কিছু না ফেলে সম্পূর্ণ ছোট মাছ খাওয়া যায়। বলা হয়ে থাকে, ম
বুনো পরিবেশে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ানো ঘোড়াকে বশে আনার মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছিল তা অন্য কোনো প্রাণীর বেলায় ঘটেনি। যুদ্ধ, বাণিজ্য এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই ঘোড়ার ব্যবহার করে আসছে মানুষ।