Ajker Patrika

বাংলাদেশ ম্যাচের ১৭ বছর পর ক্রিকেট ফিরছে যে মাঠে

ক্রীড়া ডেস্ক    
২০০৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজের পর ডারউইনে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি। ছবি: ক্রিকইনফো
২০০৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজের পর ডারউইনে কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়নি। ছবি: ক্রিকইনফো

২০০৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। ডারউইনের ম্যারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তামিম ইকবাল লড়েছিলেন ‘ওয়ান ম্যান আর্মির’ মতো। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ম্যাচটি। ডারউইনে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার এই ম্যাচটিই সবশেষ কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।

১৭ বছর পর ম্যারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফিরতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ডারউইনে এ বছরের আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সিরিজের সূচি এ মাসের শেষে ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার পরিকল্পনা করছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হতে পারে ডারউইনে। কেয়ার্নসে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ও প্রথম ওয়ানডে হতে পারে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাকেতে আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে।

স্থানীয় কর্মকর্তারা অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দুই টি-টোয়েন্টি আয়োজন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। নর্দার্ন টেরিটরি (এনটি) ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী গ্যাভিন ডোভে এএপিকে বলেন, ‘২০২৩ সালে এখানে আসার পর থেকেই স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলাম যে উত্তরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে আমাদের অনেক আগ্রহ রয়েছে। ২০০৮ সালে সবশেষ আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করেছি। অনেক দিন আগে হয়েছে এটা।’

২০১৫ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ইতিহাসে প্রথম দিবারাত্রির ম্যাচ চালু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৩টি গোলাপি বলের টেস্ট হয়েছে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও গোলাপি বলের ম্যাচ দেখেছে বিশ্ব ক্রিকেট। ডোভে বলেন, ‘২০০৮ সালের পর থেকে ক্রিকেট অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কদিন আগে শেষ হওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির দিকে তাকান। এছাড়া ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তনই খেলাটার শক্তি ও মান বৃদ্ধির উদাহরণ।’

২০০৮ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের তিনটি ওয়ানডেই হয়েছিল ডারউইনের ম্যারারা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছিল। শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশ ২৯.৫ ওভারে ১২৫ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল। ৬৯ বলে ৬৩ রান করেছিলেন তামিম। বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও তিনিই ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নবরাত্রির জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষা, পিরিয়ডের কারণে পালন করতে না পেরে আত্মহত্যা

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আরাকান আর্মির আপত্তি ও শর্ত

আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, খই-মুড়ির মতো বোমা ফুটছে জাজিরায়

অটোতে ফেলে যাওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার ফিরিয়ে দিলেন কলেজছাত্র

পরকীয়া নিয়ে ঝগড়া, স্ত্রীর কাঠের আঘাতে স্বামী নিহত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত