ক্রীড়া ডেস্ক
সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে প্রথম দুই দিন সমানে সমানে লড়াই হয়েছিল। কখনো ম্যাচের পাল্লা ভারতের দিকে, কখনোবা অস্ট্রেলিয়ার দিকে পাল্লা ঝুঁকে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা জিতল হেসেখেলে। এই জয়ে অজিদের ফুরোল ১০ বছরের অপেক্ষা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিডনি টেস্ট শুরু করে। তিন দিনে শেষ হওয়া টেস্টে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অজিরা। তাতে ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর অস্ট্রেলিয়া জিতল বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। ভারত এবার সিরিজটা হারল ৩-১ ব্যবধানে। তাতে টানা দুইবার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ফাইনাল খেলার শেষ সুযোগটুকু হলো নষ্ট।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটাই ছিল ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ভারতের শেষ সিরিজ। এই সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় ভারতের সাফল্যের হার হয়েছে ৫০ শতাংশ। এই চক্রে ভারত ১৯ টেস্ট খেলে জিতেছে ৯ ম্যাচ। হেরেছে ৮ ম্যাচ এবং ২ টেস্ট ড্র হয়েছে। ৬৬.৬৭ শতাংশ সাফল্যের হার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে শীর্ষে। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের হার ৬৩.৭৩ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার কাছে বাকি থাকা দুই টেস্ট হারলে অজিদের সাফল্যের হার হবে ৫৭.০২ শতাংশ। অন্যদিকে পাকিস্তান যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায়, প্রোটিয়াদের ক্ষেত্রে সেটা তখন হবে ৬১.১১ শতাংশ। তিনে থাকা ভারতের ফাইনাল খেলার কোনো সুযোগই নেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৪১ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। তবে স্কোরবোর্ডে এই দিন যোগ করতে পেরেছে কেবল ১৬ রান। যার মধ্যে ১০ রানে হারিয়েছে শেষ ৪ উইকেট। ৩৯.৫ ওভারে ১৫৭ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন ঋষভ পন্ত। ৩৩ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোল্যান্ড ৪৫ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে এটাসহ দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অজি এই পেসার। প্যাট কামিন্স ও বিউ ওয়েবস্টার নিয়েছেন ৩ ও ১ উইকেট।
১৬২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ হাজার রান থেকে ১ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন। সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৪ রান। দশম ওভারের শেষ বলে স্মিথকে গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের ক্যাচে পরিণত করেন প্রসিধ কৃষ্ণা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন উসমান খাজা। চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ৪৯ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন খাজা।
খাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙে ভারতকে আবারও ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। কারণ, খাজা ফেরার পর তখনো লাগে ৫৮ রান। হাতে ৬ উইকেট থাকা সত্ত্বেও অজিরা যে অলআউট হতো না, সেটার কী নিশ্চয়তা ছিল! তবে এরপর স্বাগতিকদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পঞ্চম উইকেটে ৫৩ বলে ৫৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন হেড ও ওয়েবস্টার। ২৭তম ওভারের শেষ বলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে চার মেরে অজিদের জিতিয়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয় ওয়েবস্টারের।
৭৬ রানে ১০ উইকেট নিয়ে সিডনি টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বোল্যান্ড। টেস্টে এবারই তিনি প্রথমবার এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। সিরিজসেরা জসপ্রীত বুমরা ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে করেছেন ৪২ রান। সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছেন বুমরা। তবে পিঠের চোটে পড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি।
সিডনিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ভারত ১৮৫ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন পন্ত। ভারতের বোলারদের তোপ দাগানো বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া সুবিধা করতে পারেনি। অজিরা অলআউট ১৮১ রানে। অজিদের এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে ওয়েবস্টারের ব্যাটে।
সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের পঞ্চম টেস্টে প্রথম দুই দিন সমানে সমানে লড়াই হয়েছিল। কখনো ম্যাচের পাল্লা ভারতের দিকে, কখনোবা অস্ট্রেলিয়ার দিকে পাল্লা ঝুঁকে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটা জিতল হেসেখেলে। এই জয়ে অজিদের ফুরোল ১০ বছরের অপেক্ষা।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিডনি টেস্ট শুরু করে। তিন দিনে শেষ হওয়া টেস্টে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অজিরা। তাতে ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর অস্ট্রেলিয়া জিতল বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। ভারত এবার সিরিজটা হারল ৩-১ ব্যবধানে। তাতে টানা দুইবার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ফাইনাল খেলার শেষ সুযোগটুকু হলো নষ্ট।
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিটাই ছিল ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে ভারতের শেষ সিরিজ। এই সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় ভারতের সাফল্যের হার হয়েছে ৫০ শতাংশ। এই চক্রে ভারত ১৯ টেস্ট খেলে জিতেছে ৯ ম্যাচ। হেরেছে ৮ ম্যাচ এবং ২ টেস্ট ড্র হয়েছে। ৬৬.৬৭ শতাংশ সাফল্যের হার নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে শীর্ষে। দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের হার ৬৩.৭৩ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার কাছে বাকি থাকা দুই টেস্ট হারলে অজিদের সাফল্যের হার হবে ৫৭.০২ শতাংশ। অন্যদিকে পাকিস্তান যদি দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায়, প্রোটিয়াদের ক্ষেত্রে সেটা তখন হবে ৬১.১১ শতাংশ। তিনে থাকা ভারতের ফাইনাল খেলার কোনো সুযোগই নেই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৪১ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। তবে স্কোরবোর্ডে এই দিন যোগ করতে পেরেছে কেবল ১৬ রান। যার মধ্যে ১০ রানে হারিয়েছে শেষ ৪ উইকেট। ৩৯.৫ ওভারে ১৫৭ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছেন ঋষভ পন্ত। ৩৩ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৪ ছক্কা মেরেছেন। অস্ট্রেলিয়ার স্কট বোল্যান্ড ৪৫ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। টেস্টে এটাসহ দুইবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন অজি এই পেসার। প্যাট কামিন্স ও বিউ ওয়েবস্টার নিয়েছেন ৩ ও ১ উইকেট।
১৬২ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে অস্ট্রেলিয়া। স্টিভ স্মিথ টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ হাজার রান থেকে ১ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন। সিডনিতে দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৪ রান। দশম ওভারের শেষ বলে স্মিথকে গালিতে দাঁড়িয়ে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের ক্যাচে পরিণত করেন প্রসিধ কৃষ্ণা। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন উসমান খাজা। চতুর্থ উইকেটে ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ৪৯ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন খাজা।
খাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভেঙে ভারতকে আবারও ম্যাচে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ। কারণ, খাজা ফেরার পর তখনো লাগে ৫৮ রান। হাতে ৬ উইকেট থাকা সত্ত্বেও অজিরা যে অলআউট হতো না, সেটার কী নিশ্চয়তা ছিল! তবে এরপর স্বাগতিকদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। পঞ্চম উইকেটে ৫৩ বলে ৫৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েন হেড ও ওয়েবস্টার। ২৭তম ওভারের শেষ বলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে চার মেরে অজিদের জিতিয়ে উচ্ছ্বাস শুরু হয় ওয়েবস্টারের।
৭৬ রানে ১০ উইকেট নিয়ে সিডনি টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বোল্যান্ড। টেস্টে এবারই তিনি প্রথমবার এক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন। সিরিজসেরা জসপ্রীত বুমরা ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩২ উইকেট। ব্যাটিংয়ে করেছেন ৪২ রান। সিডনিতে সিরিজের পঞ্চম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্বও দিয়েছেন বুমরা। তবে পিঠের চোটে পড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি।
সিডনিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে ভারত ১৮৫ রানে গুটিয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন পন্ত। ভারতের বোলারদের তোপ দাগানো বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া সুবিধা করতে পারেনি। অজিরা অলআউট ১৮১ রানে। অজিদের এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৭ রান আসে ওয়েবস্টারের ব্যাটে।
এই না হলে ডার্বি! ম্যাচের আগে কথার উত্তাপ, মাঠের লড়াইয়ে পাল্টাপাল্টি আক্রমণের পসরা। এরপর গোল করে ব্যতিক্রমী উদ্যাপন। গতকাল কুমিল্লায় হয়ে যাওয়া আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথে উত্তাপের যেন কমতি ছিল না।
৩১ মিনিট আগেবল হাতে দারুণ সময় পার করছেন নাহিদ রানা। জাতীয় দলের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) তাঁর গতির ঝড়ে কাবু হচ্ছেন ব্যাটাররা। নাহিদের দল রংপুর রাইডার্সও এরই মধ্যে পেয়েছে টানা ৫ জয়। দলের জয়ে অবদান তো রাখছেনই, সঙ্গে দুর্ভাবনার শঙ্কাও যেন বাড়ছে। ৯ দিনের মধ্যে তাঁরা খেলেছেন পাঁচ ম্যাচ।
১ ঘণ্টা আগেদুই বছর আগে পেশাদার ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন তিনি। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ড্যান ক্রিস্টিয়ান বর্তমানে কাজ করছেন বিগ ব্যাশের দল সিডনি থান্ডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে। তবে দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের হঠাৎ চোটে পড়ায় অবসর ভেঙে মাঠে নেমে গেলেন সেই ক্রিস্টিয়ানই!
১ ঘণ্টা আগেসিলেটের প্রথম ম্যাচটা খেলা হয়নি তাঁর। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই চিনিয়েছেন নিজেকে। পরশু রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দলকে জেতাতে না পারলেও ১৯ বলে ২০০.০০ স্ট্রাইকরেটে করেছেন অপরাজিত ৩৮। এমন মারকুটে ব্যাটিং দিয়েই গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে