ক্রীড়া ডেস্ক
স্যাম কনস্টাসকে বিরাট কোহলির ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত গতকাল থেকেই। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার কড়া সমালোচনা করছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। কোহলির শাস্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) ‘কাঠতড়ায়’ তুলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
কোহলিকে গতকাল অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন শেষেই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। ভারতীয় ব্যাটারের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। নামের পাশে জুটেছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে কোহলিকে এমন শাস্তি দেওয়ায় আইসিসির আইনই প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মার্ক ওয়াহ ফক্স ক্রিকেটকে বলেন, ‘আপনি কে, তাতে কিছু যায় আসে না। এমন আচরণ সত্যিই অগ্রহণযোগ্য। সে খুবই ভাগ্যবান যে সামান্য শাস্তি পেয়েছে। এটা খুব সহজেই লেভেল টুয়ের আচরণ বিধি ভাঙার মতো অপরাধ হতে পারত। আর্থিক শাস্তি যদি দিতেই হয়, তাহলে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে খেলোয়াড় এমনকি দর্শকেরাও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমন কাজ করবেন বেশি করে। এই ধরনের শারীরিত সংঘর্ষ সত্যিই অগ্রহণযোগ্য।’
লেভেল টুয়ের আচরণবিধি ভাঙার শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ জরিমানা। তাতে জুটবে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট। চার ডিমেরিট পয়েন্ট দিলে দুটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট পাবেন সেই ক্রিকেটার। অনেকেই কোহলির ব্যাপারে ভেবেছিলেন, সিডনিতে পঞ্চম টেস্টে তাঁকে দেখা নাও যেতে পারে। কিন্তু কোহলিকে নামমাত্র জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়ে ছেড়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না পন্টিং। চ্যানেল সেভেনকে পন্টিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না শাস্তিটি কড়া হয়েছে। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে এবং সাধারণত ১৫–২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি বিস্তারিত চিন্তা করে দেখেন। বছরের এ দিনটিতেই ক্রিকেট দেখেছেন অনেকে। এখন তাঁরা ভাববেন, ব্যাপারটি তো তেমন কিছুই না।’ অস্ট্রেলিয়ার নাইন নেটওয়ার্কের সাংবাদিক টম মরিস আইসিসির দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আইসিসি কোহলিকে যে শাস্তি দিয়েছে, সেটি বিশ্ব ক্রিকেট ও আইসিসির জন্যই বিব্রতকর।’
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) গতকাল শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ১০ ওভার শেষের ঘটনা। মোহাম্মদ সিরাজের করা সেই ওভার শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন কনস্টাস। গ্লাভস খুলতে খুলতে কনস্টাস যাচ্ছেন তাঁর সঙ্গী উসমান খাজার কাছে। উল্টো দিক থেকে সেই মুহূর্তে বল হাতে এগিয়ে আসতে থাকেন কোহলি। এরপর কনস্টাসের কাঁধে কোহলি ধাক্কা মেরেছেন। ধাক্কা লাগার পর কনস্টাস-কোহলির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে খাজার সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারদেরও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
আইসিসির আচরণবিধির (সিওসি) ২.১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে শাস্তি দেওয়া হয়েছে কোহলিকে। এই আইন বলছে, ‘ক্রিকেটে অহেতুক ধাক্কাধাক্কি ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। সীমা পেরিয়ে খেলোয়াড়েরা যদি ইচ্ছে করে নিয়ম ভঙ্গ করেন, বেপরোয়া হয়ে কোনো খেলোয়াড় বা আম্পায়ারের কাঁধে ধাক্কা মারা যাবে না।’ সিওসির ২.১২ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন কতটা গুরুতর, সেটার শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে: ১.কোনো বাঁধা ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারা, ২. কতটুকু বল প্রয়োগ করে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, ৩.যাঁর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, তিনি কতটা ব্যথা পেয়েছেন, ৪. যিনি ধাক্কা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
স্যাম কনস্টাসকে বিরাট কোহলির ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত গতকাল থেকেই। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার কড়া সমালোচনা করছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা। কোহলির শাস্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থাকে (আইসিসি) ‘কাঠতড়ায়’ তুলছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
কোহলিকে গতকাল অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন শেষেই শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। ভারতীয় ব্যাটারের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। নামের পাশে জুটেছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে কোহলিকে এমন শাস্তি দেওয়ায় আইসিসির আইনই প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন মার্ক ওয়াহ, রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মার্ক ওয়াহ ফক্স ক্রিকেটকে বলেন, ‘আপনি কে, তাতে কিছু যায় আসে না। এমন আচরণ সত্যিই অগ্রহণযোগ্য। সে খুবই ভাগ্যবান যে সামান্য শাস্তি পেয়েছে। এটা খুব সহজেই লেভেল টুয়ের আচরণ বিধি ভাঙার মতো অপরাধ হতে পারত। আর্থিক শাস্তি যদি দিতেই হয়, তাহলে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে খেলোয়াড় এমনকি দর্শকেরাও বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে এমন কাজ করবেন বেশি করে। এই ধরনের শারীরিত সংঘর্ষ সত্যিই অগ্রহণযোগ্য।’
লেভেল টুয়ের আচরণবিধি ভাঙার শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ জরিমানা। তাতে জুটবে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট। চার ডিমেরিট পয়েন্ট দিলে দুটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট পাবেন সেই ক্রিকেটার। অনেকেই কোহলির ব্যাপারে ভেবেছিলেন, সিডনিতে পঞ্চম টেস্টে তাঁকে দেখা নাও যেতে পারে। কিন্তু কোহলিকে নামমাত্র জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়ে ছেড়ে দেওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না পন্টিং। চ্যানেল সেভেনকে পন্টিং বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না শাস্তিটি কড়া হয়েছে। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে এবং সাধারণত ১৫–২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাটি বিস্তারিত চিন্তা করে দেখেন। বছরের এ দিনটিতেই ক্রিকেট দেখেছেন অনেকে। এখন তাঁরা ভাববেন, ব্যাপারটি তো তেমন কিছুই না।’ অস্ট্রেলিয়ার নাইন নেটওয়ার্কের সাংবাদিক টম মরিস আইসিসির দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘আইসিসি কোহলিকে যে শাস্তি দিয়েছে, সেটি বিশ্ব ক্রিকেট ও আইসিসির জন্যই বিব্রতকর।’
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) গতকাল শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের ১০ ওভার শেষের ঘটনা। মোহাম্মদ সিরাজের করা সেই ওভার শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন কনস্টাস। গ্লাভস খুলতে খুলতে কনস্টাস যাচ্ছেন তাঁর সঙ্গী উসমান খাজার কাছে। উল্টো দিক থেকে সেই মুহূর্তে বল হাতে এগিয়ে আসতে থাকেন কোহলি। এরপর কনস্টাসের কাঁধে কোহলি ধাক্কা মেরেছেন। ধাক্কা লাগার পর কনস্টাস-কোহলির মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে খাজার সঙ্গে মাঠের আম্পায়ারদেরও হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।
আইসিসির আচরণবিধির (সিওসি) ২.১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে শাস্তি দেওয়া হয়েছে কোহলিকে। এই আইন বলছে, ‘ক্রিকেটে অহেতুক ধাক্কাধাক্কি ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। সীমা পেরিয়ে খেলোয়াড়েরা যদি ইচ্ছে করে নিয়ম ভঙ্গ করেন, বেপরোয়া হয়ে কোনো খেলোয়াড় বা আম্পায়ারের কাঁধে ধাক্কা মারা যাবে না।’ সিওসির ২.১২ অনুচ্ছেদের অধীনে নিয়ম লঙ্ঘন কতটা গুরুতর, সেটার শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে: ১.কোনো বাঁধা ছাড়াই যেকোনো পরিস্থিতিতে ইচ্ছে করে ধাক্কা মারা, ২. কতটুকু বল প্রয়োগ করে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, ৩.যাঁর সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে, তিনি কতটা ব্যথা পেয়েছেন, ৪. যিনি ধাক্কা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
লক্ষ্যটা একটু বড়ই ছিল খুলনা টাইগার্সের। গ্রাহাম ক্লার্কের সেঞ্চুরির সুবাদে চিটাগং কিংস জয়ের জন্য ২০১ রানের রক্ষ্য দিয়েছিল খুলনাকে। যে ব্যাটিংয়ে এসে ৯ উইকেটে তারা তুলতে পারে ১৫৫ রান। তাতে চিটাগংয়ের জয় ৪৫ রানে।
৪ ঘণ্টা আগেবয়স মাত্র ২৩। এই বয়সেই খেলে ফেলেছেন ১১টি গ্র্যান্ড স্লাম। অবশ্য ইভা লিসের গ্র্যান্ড স্লাম মানেই প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নেওয়া। শুধু একবারই প্রথম রাউন্ডের বৈতরণি পেরিয়ে উঠেছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। এবং সেটি ২০২৩ সালে ইউএস ওপেনে।
৫ ঘণ্টা আগেখো খো বিশ্বকাপে ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগ থেকেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল শুক্রবার ভারতের নয়াদিল্লিতে হবে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই। যেখানে পুরুষ দলের প্রতিপক্ষ নেপাল এবং নারী বিভাগে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত।
৫ ঘণ্টা আগেঢাকা ক্যাপিটালকে সহজেই হারিয়ে ছেলে আরহামকে নিয়ে তামিম ইকবাল ঠিক সময়েই চলে গিয়েছিলেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান মঞ্চে। সেই ভিডিও এরই মধ্যে রিলস হিসেবে ফেসবুক নিজেদের পেজে প্রকাশও করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম কোথায়?
৭ ঘণ্টা আগে