ক্রীড়া ডেস্ক
শারফেন রাদারফোর্ডের বল সেন্ট কিটসের গ্যালারিতে আছড়ে পড়তেই ক্যামেরার লেন্স খুঁজে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডাগআউট। উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা তখন হাসছেন এবং একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করছেন।ঘটনাটা আর কিছুই নয়। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হেসেখেলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল উইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অভ্যাস বানিয়ে ফেললেও ওয়ানডে সেটা হচ্ছিল না। ২০১৪ সালের পর উইন্ডিজরা টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। পঞ্চমবারে এসে সেই ডেডলক ভেঙেছে। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয়ে উইন্ডিজের ফুরোল ১০ বছরের অপেক্ষা৷ বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়রা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
২২৮ রানের লক্ষ্যে নেমে সাবলীলভাবে এগোতে থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও এভিন লুইস। পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ১০ ওভারে) কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করে ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য ভাঙতে পারত ৭৪ রানে।১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে পুল করতে যান লুইস। লংঅন থেকে দৌড়ে এসে বলে হাত ছোঁয়ালেও শেষ পর্যন্ত তালুবন্দী করতে পারেননি সৌম্য সরকার।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ভেঙেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। ২১তম ওভারের প্রথম বলে লুইসকে কট এন্ড বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন রিশাদ হোসেন।৬২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ রান করে লুইস ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২০.১ ওভারে ১ উইকেটে ১০৯ রান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫তম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের ওভার থেকে ১৩ রান নিয়েছে উইন্ডিজ। এই ওভারে কিং মারেন একটি ছক্কা ও একটি চার মারেন কিসি কার্টি।
একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল কিংয়ের ৪র্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনি। ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে কিংকে বোল্ড করেন নাহিদ রানা। ৭৬ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রান করেন কিং। দ্বিতীয় উইকেটে কার্টি ও কিংয়ের ৬৬ রানের জুটিটা হয়েছে ৪৮ বলে।
৩০ বল পর কার্টিকে ফিরিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪৭ বলে ৭ চারে কার্টি করেন ৪৫ রান। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পথে সেটা তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ১০১ বলে ৩১ রানের সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ ও শারফেন রাদারফোর্ড। চতুর্থ উইকেটে ২২ বলে ৩৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তাঁরা। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে শরীফুল ইসলামকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন রাদারফোর্ড।
৭৯ বল হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ উইকেটের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন জেইডেন সিলস। ক্যারিবীয় পেসার ৯ ওভারে ২২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। একটা ওভার মেডেনও দিয়েছেন। ম্যাচে উইন্ডিজের সেরা বোলার তিনি।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে উইন্ডিজের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে। একটা পর্যায়ে সফরকারীদের স্কোর হয়ে যায় ২৫.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রান। খাদের কিনারা থেকে তখন বাংলাদেশকে টেনে তোলেন তানজিম সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অষ্টম উইকেটে তানজিম সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ গড়েন ১০৬ বলে ৯২ রানের জুটি।
অষ্টম উইকেটের জুটিটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যেতে এরপর বেশিক্ষণ লাগেনি।২০ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৯২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ চার ও ৪ ছক্কা।
শারফেন রাদারফোর্ডের বল সেন্ট কিটসের গ্যালারিতে আছড়ে পড়তেই ক্যামেরার লেন্স খুঁজে নিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডাগআউট। উইন্ডিজ ক্রিকেটাররা তখন হাসছেন এবং একে অপরের সঙ্গে করমর্দন করছেন।ঘটনাটা আর কিছুই নয়। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হেসেখেলে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল উইন্ডিজ।
টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অভ্যাস বানিয়ে ফেললেও ওয়ানডে সেটা হচ্ছিল না। ২০১৪ সালের পর উইন্ডিজরা টানা চারটি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। পঞ্চমবারে এসে সেই ডেডলক ভেঙেছে। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয়ে উইন্ডিজের ফুরোল ১০ বছরের অপেক্ষা৷ বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়রা এগিয়ে গেল ২-০ ব্যবধানে।
২২৮ রানের লক্ষ্যে নেমে সাবলীলভাবে এগোতে থাকেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও এভিন লুইস। পাওয়ার প্লেতে (প্রথম ১০ ওভারে) কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করে ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য ভাঙতে পারত ৭৪ রানে।১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে পুল করতে যান লুইস। লংঅন থেকে দৌড়ে এসে বলে হাত ছোঁয়ালেও শেষ পর্যন্ত তালুবন্দী করতে পারেননি সৌম্য সরকার।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ভেঙেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি। ২১তম ওভারের প্রথম বলে লুইসকে কট এন্ড বোল্ড করে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দেন রিশাদ হোসেন।৬২ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৯ রান করে লুইস ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ২০.১ ওভারে ১ উইকেটে ১০৯ রান।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর বিধ্বংসী হয়ে ওঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫তম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবের ওভার থেকে ১৩ রান নিয়েছে উইন্ডিজ। এই ওভারে কিং মারেন একটি ছক্কা ও একটি চার মারেন কিসি কার্টি।
একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল কিংয়ের ৪র্থ ওয়ানডে সেঞ্চুরি সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি তিনি। ২৯তম ওভারের চতুর্থ বলে কিংকে বোল্ড করেন নাহিদ রানা। ৭৬ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৮২ রান করেন কিং। দ্বিতীয় উইকেটে কার্টি ও কিংয়ের ৬৬ রানের জুটিটা হয়েছে ৪৮ বলে।
৩০ বল পর কার্টিকে ফিরিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৪৭ বলে ৭ চারে কার্টি করেন ৪৫ রান। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের পথে সেটা তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে ১০১ বলে ৩১ রানের সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ ও শারফেন রাদারফোর্ড। চতুর্থ উইকেটে ২২ বলে ৩৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তাঁরা। ৩৭তম ওভারের পঞ্চম বলে শরীফুল ইসলামকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে তুলির শেষ আঁচড় দিয়েছেন রাদারফোর্ড।
৭৯ বল হাতে রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৭ উইকেটের জয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন জেইডেন সিলস। ক্যারিবীয় পেসার ৯ ওভারে ২২ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। একটা ওভার মেডেনও দিয়েছেন। ম্যাচে উইন্ডিজের সেরা বোলার তিনি।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকে উইন্ডিজের আক্রমণাত্মক বোলিংয়ে। একটা পর্যায়ে সফরকারীদের স্কোর হয়ে যায় ২৫.৩ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রান। খাদের কিনারা থেকে তখন বাংলাদেশকে টেনে তোলেন তানজিম সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অষ্টম উইকেটে তানজিম সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ গড়েন ১০৬ বলে ৯২ রানের জুটি।
অষ্টম উইকেটের জুটিটি ভাঙার পর বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যেতে এরপর বেশিক্ষণ লাগেনি।২০ রানে শেষ ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৯২ বলের ইনিংসে মেরেছেন ২ চার ও ৪ ছক্কা।
লাসিথ মালিঙ্গা অবসর নিলেও তাঁর মতো বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আলোচনায় উঠে আসেন মাতিশা পাতিরানা। এবার গতির ঝড় তুলতে শ্রীলঙ্কা দলে চলে এলেন আরেক ‘মালিঙ্গা’। দেশটির ফাস্ট বোলিং প্রতিযোগিতায় যিনি কিনা প্রথম হয়েছিলেন ঘণ্টায় ১৪১ কিলোমিটার গতিতে বল করে। লঙ্কা দলের নতুন এই পেসারের নাম ঈশান মালিঙ্গা।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রভাব সম্পর্কে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাই সবচেয়ে বেশি বলাবলি করেন সাধারণত। তবে এবার এই বিতর্ক যুক্ত হলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররাও। দুই দিন পরেই বক্সিং ডে টেস্ট—তার আগমুহূর্তে প্যাট কামিন্স-স্টিভেন স্মিথরা
৫ ঘণ্টা আগেজোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। তবে অতিথিদের জয়ের পাশাপাশি ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে আরও ‘ওয়ান্ডারফুল’ ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। খেলা দেখতে আসা এক তরুণী সন্তানের মা হয়েছেন স্টেডিয়ামেই। আরেকজন বান্ধবীকে পরিয়ে দিয়েছেন বিয়ের আংটি।
৬ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়া-ভারত বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফি নিয়ে আলোচনার কোনো শেষ নেই। মাঠের পারফরম্যান্স না যতটা, তার চেয়ে বেশি অন্যান্য ঘটনা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলে।এবার অনুশীলন গ্রাউন্ডের পিচ নিয়ে শোনা গেছে রহস্যময় কথা।
৭ ঘণ্টা আগে