লাইছ ত্বোহা
প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেমন কেটেছে, নিজেও কি ভেবেছিলেন এত অসাধারণ যাবে?
রিশাদ হোসেন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে একটা বিষয়ে বলেছিলাম, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। বাকিটা কী হয়, সেটা দেখা যাবে পরে। আমি শুধু আমার সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছি, এই তো আলহামদুলিল্লাহ।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে অন্য রকম ভালো লাগা নিশ্চয়ই কাজ করে?
রিশাদ: জি, অবশ্যই ভালো তো লাগেই (রেকর্ড)। দেশকে অনেক কিছু দিতে পারছি, ভালো লাগছে। চেষ্টা থাকবে বিশ্বকাপ শিরোপাটাই ঘরে নিয়ে আসার, শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়।
প্রশ্ন: যদি আত্মমূল্যায়ন করেন, গত কয়েক মাসে বোলিংয়ে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন কোথায় এসেছে বলে মনে করেন?
রিশাদ: গত কয়েক মাসে বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি, শুধু যেটা করে এসেছি এত দূর পর্যন্ত, সেটাতেই বেশি নজর দিয়েছি। আর যেটা করেছি, নিজের প্রতি বিশ্বাসটা হারাইনি। ভালো কিছু দেশকে দিতে গেলে আমাকেই ভালো করতে হবে, এ রকম তাড়া ছিল।
প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও মুশতাক আহমেদের সঙ্গে কোন জায়গাটা নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
রিশাদ: কথাবার্তার ভিত্তিতে, কাজ তো বেশি করার সুযোগ পাইনি খেলার ব্যস্ততায়। তিনি শুধু তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো ভাগাভাগি করেছেন আমার সঙ্গে। বড় মঞ্চে কীভাবে খেলতে হয়, আত্মবিশ্বাস কেমন রাখতে হয়—এসব আরকি।
প্রশ্ন: আপনার গুগলি বেশ কার্যকর হচ্ছে। তবু কেউ কেউ মনে করেন, আপনার গুগলি নিয়ে আরও কাজ করার আছে। আপনিও কি তাই মনে করেন?
রিশাদ: ভালোর তো শেষ নেই, একসঙ্গে যদি সবকিছু চান, তাহলে সব আউলা-ঝাউলা হয়ে যাবে! সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে করি, মানুষ কী বলল, তা শুনি না। দিনে দিনে ১ পারসেন্ট, ২ পারসেন্ট করে উন্নতির চেষ্টা করি। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য খুব ভালো।
প্রশ্ন: ব্যাট হাতে সীমিত ওভারে আপনার হিটিং অ্যাবিলিটি দেখেছে সবাই। ব্যাটিংয়ে কি আরেকটু ওপরে খেললে আরও ব্যাটিং দক্ষতাও দেখাতে পারেন বলে মনে হয়?
রিশাদ: দলে আমাকে যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই নামানো হয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি। সব সময় বলব, দল যেখানে চাইবে, আমি সেখানেই খেলব ইনশা আল্লাহ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই নিজের সেরাটা দিতে চাই। ব্যাটিংয়ে আমার আলাদা কিছু থাকবে না, আমি সাধারণভাবে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে অনেক দূর যেতে চাই।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা কী হলো?
রিশাদ: বাংলাদেশ দলে এখন যে পর্যায়ে আছি আমরা, অনেক ভালো শেপে আছি সবাই। আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অনেক ভালো পর্যায়ে আছি। দু-একটা ভুলের জন্য হয়তো ভালো ফল অর্জন করতে পারিনি। এবারই হতে পারত বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অনেক কাছাকাছি গিয়ে আমরা ফিরে এসেছি। আমার মনে হয় বেশি দূর নেই, আমরা বিশ্বকাপ জিতব।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশের লেগ স্পিনাররা পর্যাপ্ত সুযোগ পান না। আপনিও এমন সময় পার করে এসেছেন। এখন হয়তো আপনাকে দেখে অনেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে, কী বলেন?
রিশাদ: অবশ্যই। গতবার যখন আবাহনীতে খেলি, প্রিমিয়ার লিগের সময় একটা কথা বলেছিলাম, এটা হচ্ছে আমাদেরই ব্যর্থতা। কারণ, আমাদের যে সুযোগ দেওয়া হয় দু-তিনটা ম্যাচ, কেউই চাইবে না যে কারও খারাপ হোক। আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে, সেটা আমি হই বা যে লেগ স্পিনারই হোক। সুযোগ তো ১০-১২টা আসে না, সুযোগ এক-দুইটাই আসে। অতটুকুর মধ্যেই আমাকে কাজে লাগাতে হবে, সেটা ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। অন্যদের তুলনায় আমাদের (লেগ স্পিনার) সুযোগ আরও কম। সীমিত সুযোগের মধ্যেই ভালো করতে হবে। বেশি কিছু না, শুধু প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে এমনিই ভালো করা সহজ সবার জন্য। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সুযোগ সব সময় সীমিতই থাকে।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, রিশাদ এখনই টেস্টের জন্য তৈরি নয়। আপনি আসলে লাল বলের সংস্করণ নিয়ে কী ভাবছেন?
রিশাদ: আসলে এই মুহূর্তে কোনো কিছু ভাবছি না (টেস্ট নিয়ে), যেহেতু আমি এক সেটআপে আছি, জানি না ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে। শান্ত ভাই মনে করেছেন, যেটা বলা ভালো, বলছেন আরকি। আমারও মনে হয় না আমি এখনো প্রস্তুত। কারণ, টেস্ট ক্রিকেট অনেক লম্বা সময়ের খেলা। হঠাৎ করে এক সংস্করণে ভালো খেলে অন্য সংস্করণে যাওয়া কঠিন। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে আমার মনে হয় ভালো।
প্রশ্ন: কদিন আগে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন, জীবনের নতুন অধ্যায় কেমন কাটছে?
রিশাদ: নতুন জীবন তো এক বছর আগে থেকেই শুরু করেছি।
প্রশ্ন: স্ত্রীর কঠিন কোনো আবদার রাখতে কি গুগলি ব্যবহার করতে হয়?
রিশাদ: (হাসি) নাহ্, এ রকম কিছুর মুখোমুখি হতে হয়নি। ওরকম কোনো আবদার করেনি, তাই ফেরাইনি। যা বলে, চেষ্টা করি পূরণ করার।
প্রশ্ন: ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেমন কেটেছে, নিজেও কি ভেবেছিলেন এত অসাধারণ যাবে?
রিশাদ হোসেন: বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে একটা বিষয়ে বলেছিলাম, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। বাকিটা কী হয়, সেটা দেখা যাবে পরে। আমি শুধু আমার সামর্থ্য দিয়ে চেষ্টা করেছি, এই তো আলহামদুলিল্লাহ।
প্রশ্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হয়ে অন্য রকম ভালো লাগা নিশ্চয়ই কাজ করে?
রিশাদ: জি, অবশ্যই ভালো তো লাগেই (রেকর্ড)। দেশকে অনেক কিছু দিতে পারছি, ভালো লাগছে। চেষ্টা থাকবে বিশ্বকাপ শিরোপাটাই ঘরে নিয়ে আসার, শুধু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নয়।
প্রশ্ন: যদি আত্মমূল্যায়ন করেন, গত কয়েক মাসে বোলিংয়ে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন কোথায় এসেছে বলে মনে করেন?
রিশাদ: গত কয়েক মাসে বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি, শুধু যেটা করে এসেছি এত দূর পর্যন্ত, সেটাতেই বেশি নজর দিয়েছি। আর যেটা করেছি, নিজের প্রতি বিশ্বাসটা হারাইনি। ভালো কিছু দেশকে দিতে গেলে আমাকেই ভালো করতে হবে, এ রকম তাড়া ছিল।
প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও মুশতাক আহমেদের সঙ্গে কোন জায়গাটা নিয়ে বেশি কাজ করেছেন?
রিশাদ: কথাবার্তার ভিত্তিতে, কাজ তো বেশি করার সুযোগ পাইনি খেলার ব্যস্ততায়। তিনি শুধু তাঁর অভিজ্ঞতাগুলো ভাগাভাগি করেছেন আমার সঙ্গে। বড় মঞ্চে কীভাবে খেলতে হয়, আত্মবিশ্বাস কেমন রাখতে হয়—এসব আরকি।
প্রশ্ন: আপনার গুগলি বেশ কার্যকর হচ্ছে। তবু কেউ কেউ মনে করেন, আপনার গুগলি নিয়ে আরও কাজ করার আছে। আপনিও কি তাই মনে করেন?
রিশাদ: ভালোর তো শেষ নেই, একসঙ্গে যদি সবকিছু চান, তাহলে সব আউলা-ঝাউলা হয়ে যাবে! সবকিছু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে করি, মানুষ কী বলল, তা শুনি না। দিনে দিনে ১ পারসেন্ট, ২ পারসেন্ট করে উন্নতির চেষ্টা করি। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য খুব ভালো।
প্রশ্ন: ব্যাট হাতে সীমিত ওভারে আপনার হিটিং অ্যাবিলিটি দেখেছে সবাই। ব্যাটিংয়ে কি আরেকটু ওপরে খেললে আরও ব্যাটিং দক্ষতাও দেখাতে পারেন বলে মনে হয়?
রিশাদ: দলে আমাকে যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই নামানো হয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি। সব সময় বলব, দল যেখানে চাইবে, আমি সেখানেই খেলব ইনশা আল্লাহ। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই নিজের সেরাটা দিতে চাই। ব্যাটিংয়ে আমার আলাদা কিছু থাকবে না, আমি সাধারণভাবে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে অনেক দূর যেতে চাই।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষাটা কী হলো?
রিশাদ: বাংলাদেশ দলে এখন যে পর্যায়ে আছি আমরা, অনেক ভালো শেপে আছি সবাই। আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে অনেক ভালো পর্যায়ে আছি। দু-একটা ভুলের জন্য হয়তো ভালো ফল অর্জন করতে পারিনি। এবারই হতে পারত বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অনেক কাছাকাছি গিয়ে আমরা ফিরে এসেছি। আমার মনে হয় বেশি দূর নেই, আমরা বিশ্বকাপ জিতব।
প্রশ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলাদেশের লেগ স্পিনাররা পর্যাপ্ত সুযোগ পান না। আপনিও এমন সময় পার করে এসেছেন। এখন হয়তো আপনাকে দেখে অনেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে, কী বলেন?
রিশাদ: অবশ্যই। গতবার যখন আবাহনীতে খেলি, প্রিমিয়ার লিগের সময় একটা কথা বলেছিলাম, এটা হচ্ছে আমাদেরই ব্যর্থতা। কারণ, আমাদের যে সুযোগ দেওয়া হয় দু-তিনটা ম্যাচ, কেউই চাইবে না যে কারও খারাপ হোক। আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে, সেটা আমি হই বা যে লেগ স্পিনারই হোক। সুযোগ তো ১০-১২টা আসে না, সুযোগ এক-দুইটাই আসে। অতটুকুর মধ্যেই আমাকে কাজে লাগাতে হবে, সেটা ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও হতে পারে। অন্যদের তুলনায় আমাদের (লেগ স্পিনার) সুযোগ আরও কম। সীমিত সুযোগের মধ্যেই ভালো করতে হবে। বেশি কিছু না, শুধু প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকলে এমনিই ভালো করা সহজ সবার জন্য। তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু সুযোগ সব সময় সীমিতই থাকে।
প্রশ্ন: অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, রিশাদ এখনই টেস্টের জন্য তৈরি নয়। আপনি আসলে লাল বলের সংস্করণ নিয়ে কী ভাবছেন?
রিশাদ: আসলে এই মুহূর্তে কোনো কিছু ভাবছি না (টেস্ট নিয়ে), যেহেতু আমি এক সেটআপে আছি, জানি না ম্যানেজমেন্ট কী ভাবছে। শান্ত ভাই মনে করেছেন, যেটা বলা ভালো, বলছেন আরকি। আমারও মনে হয় না আমি এখনো প্রস্তুত। কারণ, টেস্ট ক্রিকেট অনেক লম্বা সময়ের খেলা। হঠাৎ করে এক সংস্করণে ভালো খেলে অন্য সংস্করণে যাওয়া কঠিন। প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে আমার মনে হয় ভালো।
প্রশ্ন: কদিন আগে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন, জীবনের নতুন অধ্যায় কেমন কাটছে?
রিশাদ: নতুন জীবন তো এক বছর আগে থেকেই শুরু করেছি।
প্রশ্ন: স্ত্রীর কঠিন কোনো আবদার রাখতে কি গুগলি ব্যবহার করতে হয়?
রিশাদ: (হাসি) নাহ্, এ রকম কিছুর মুখোমুখি হতে হয়নি। ওরকম কোনো আবদার করেনি, তাই ফেরাইনি। যা বলে, চেষ্টা করি পূরণ করার।
আইপিএলের মতো ‘হটকেক’ টুর্নামেন্ট নিয়ে আগ্রহ থাকে বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারেরই। এবারেরটা যেহেতু মেগা নিলাম ছিল, তাতে অন্যান্যদের মতো বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের আশা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেনদের কেউই কোনো দল পাননি ২০২৫ আইপিএলে।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের পঞ্চপাণ্ডবদের মধ্যে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই। তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নেই এক বছর ধরে। মাশরাফি বিন মর্তুজা তো নেই ২০২০ সাল থেকে। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমরা কোনো না কোনো সংস্করণ থেকে অবসর নিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগেবসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় খেলতে চায় না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আজ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারের বরাবর লেখা এক চিঠিতে এমনটাই জানিয়েছে দর্শকনন্দিত ক্লাবটি।
৭ ঘণ্টা আগে২০২৩ সাল থেকে দেখা যাচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সূচির সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে ধাক্কা লাগছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএল টি-টোয়েন্টি)। ২০২৫ সালেও সমান্তরালে চলবে বিপিএল ও আইএল টি-টোয়েন্টি।
৮ ঘণ্টা আগে