বাংলাদেশ-ভারত টেস্টই কি তবে কানপুরে শেষ ম্যাচ

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৯
Thumbnail image

কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে থেকেই আলোচনা। হিন্দু মহাসভার হামলার হুমকি, মাঠের বিপজ্জনক অবস্থা—আরও কত কী! ম্যাচ শুরুর পর থেকে গণহারে সমালোচনা হচ্ছে কানপুরের এই ভেন্যু নিয়ে। ভবিষ্যতে আর কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না-ও হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। 

আলোচনাটা মূলত কানপুরে গতকাল তৃতীয় দিনের ঘটনা নিয়ে। সারা দিনে বৃষ্টি হয়নি এক ফোঁটাও। তবু গতকাল ম্যাচ শুরু করা যায়নি কানপুরে। তিন দফা মাঠ পর্যবেক্ষণের পর অবশেষে বেলা আড়াইটার সময় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়াররা। ঠিক কী কারণে এমনটা হয়েছিল, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এমনটা দেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) অসন্তুষ্ট। বোর্ডের একটি সূত্র ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই গ্রিন পার্কে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন না-ও করতে পারে বিসিসিআই। 

ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো ও দুই আম্পায়ার মিলে দফায় দফায় মাঠ পর্যবেক্ষণের পর দিনের খেলা পরিত্যক্ত করায় হতাশা প্রকাশ করেন উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউপিসিএ) পিচ কিউরেটর শিব কুমার। স্পষ্ট কোনো কারণ না জানিয়ে ম্যাচ কর্মকর্তারা এমনটা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে আইএএনএসকে শিব কুমার বলেন, ‘আমাদের মাঠ পর্যবেক্ষণের জন্য তারা তিনটা ভিন্ন সময় দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা যে কোথায়, সেটা বলেননি। মাঠের কোন জায়গায় ভেজা বা অন্য কোনো সমস্যা আছে কি না, কিছুই জানানো হয়নি। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম চাইলে এখন ম্যাচ শুরু করতে পারেন। যদি কোনো সমস্যা থাকে, বলতে পারেন।’

প্রথম দুই দফা পর্যবেক্ষণে সকাল ও লাঞ্চ দুই সেশনের খেলা নষ্ট হওয়ার পর তৃতীয় দফা পর্যবেক্ষণ চালানো হয় বেলা আড়াইটায়। রিজার্ভ আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা, টিভি আম্পায়ার রড টাকারকে নিয়ে ক্রো মাঠ পরিদর্শন করে খুঁজে পান কয়েকটা জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে প্যাভিলিয়ন সি-এর কাছে ডিপ মিড উইকেটের অংশটা দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন ক্রো। 

পিচ কিউরেটর সংবাদমাধ্যমে সমস্যার কথা জানতে পারেননি বললেও বাংলাদেশ দলকে ভেজা আউটফিল্ডের কথাই বলেছিলেন রেফারি। অথচ প্রেসবক্সে বিসিসিআইয়ের স্কোরার জানিয়েছিলেন, খেলা বন্ধ আলোকস্বল্পতার কারণে। তৃতীয় পর্যবেক্ষণের আগে গ্রিন পার্কের সিনিয়র এক মাঠ কর্মকর্তা আইএএনএসকে বলেছিলেন, ‘ম্যাচ কর্মকর্তারা আমাদের স্বাভাবিক আলোর জন্য অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। তারা বলেছিলেন, তখনই আমরা খেলা শুরু করতে পারি। পিচ ও অন্যান্য অংশ অনেক ভালো। কিছু অংশে দুশ্চিন্তার জায়গা আছে। তবে আমরা খেলা শুরু করতে পারি।’

বিসিসিআইয়ের সূত্র কানপুরের পরিবর্তে লক্ষ্ণৌর একানা স্টেডিয়ামে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের কথা ভাবছে। কারণ হিসেবে সূত্র জানিয়েছে, গ্রিন পার্কের ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই আছে সব সুযোগ–সুবিধাসংবলিত আধুনিক অবকাঠামোর একানা স্টেডিয়াম। ২০১৯-এর নভেম্বরে এই মাঠে আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচ খেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এই স্টেডিয়ামেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারত–ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া–দক্ষিণ আফ্রিকাসহ মোট ৫ ম্যাচ হয়েছে।  আর লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তাদের আইপিএলের হোম ম্যাচ তো এখানে খেলেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত