Ajker Patrika

‘মাহমুদউল্লাহর অ্যাপ্রোচই লঙ্কানদের চাপে ফেলেছে’ 

ক্রীড়া ডেস্ক
‘মাহমুদউল্লাহর অ্যাপ্রোচই লঙ্কানদের চাপে ফেলেছে’ 

ইনিংসে হঠাৎ করে ধস নামলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাটাররা কুঁকড়ে যান, ঢুকে যান খোলসের মধ্যে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যে অন্য ধাতুতে গড়া। ঘাবড়ে না গিয়ে উল্টো চড়াও হয়ে খেলেন প্রতিপক্ষের ওপর। মাহমুদউল্লার এমন ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান সিরিজেও মাহমুদউল্লাহ উদ্ধারকর্তা হিসেবে কাজ করছেন বারবার। যার সর্বশেষ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে। ২৫৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫.৩ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট। এমন পরিস্থিতিতে মাহমুদউল্লাহ পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুতই মানিয়ে নিয়েছেন উইকেটের সঙ্গে। নবম ওভারে বোলিংয়ে আসা দিলশান মাদুশঙ্ককে তিনটি চার মারেন মাহমুদউল্লাহ। ৩৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৭ রান। চতুর্থ উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত-মাহমুদউল্লাহর ৬২ বলে ৬৯ রানের জুটি বাংলাদেশকে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

লঙ্কানদের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর পাল্টা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন হেম্প। বিসিবির প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘বল সুইং করছিল। লঙ্কানরা স্টাম্প লক্ষ্য করে বল করছিল। রিয়াদ খুব বুঝে শুনে খেলছিল। তার অ্যাপ্রোচ লঙ্কানদের চাপে ফেলে দেয়। শান্তর সঙ্গে তার ৬৯ রানের জুটিই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। তার অ্যাপ্রোচ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে আমাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের তিন সংস্করণের অধিনায়ক হয়েছেন শান্ত। চলমান সিরিজে বাংলাদেশ একটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে এবং দুটোতেই ম্যাচসেরা শান্ত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন গতকাল চট্টগ্রামে। ১২৯ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৭৫ বলে ১৬৫ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন শান্ত। শান্তর বন্দনা করে হেম্প বলেন, ‘১৬৫ রানের জুটি আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে। শান্ত ও মুশফিক ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছে দেখে খুব ভালো লাগল। অধিনায়ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে, এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সে (শান্ত) নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছে। খেলোয়াড় হিসেবে তো বটেই, অধিনায়ক হিসেবেও এমন ইনিংস মুগ্ধকর। ব্যাটাররা নিজেদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলছে। আমিও ওদের বলেছি, নিজের শক্তির জায়গা বুঝে খেল।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত