ক্রীড়া ডেস্ক
কদিন আগেই মায়াঙ্ক যাদবকে ‘লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের রোলস রয়েস’ বলেছিলেন জন্টি রোডস। লক্ষ্ণৌর ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা রোডস ‘রেসিং কারের’ গতির সঙ্গে তুলনা করে দিয়েছিলেন এমন উপাধি। সেই ‘রোলস রয়েস’ যে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পাচ্ছেন, সেটা আগেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেটা সত্যি হয়েছে গত রাতেই।
২০২৪ আইপিএলে মায়াঙ্ক দিয়েছেন তাঁর আগমনী বার্তা। লক্ষ্ণৌর জার্সিতে খেলা এই পেসার প্রথম দুই ম্যাচে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)—আইপিএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নেন। উইকেট নেওয়ার চেয়েও ব্যাটারদের যেভাবে গতি দিয়ে ভড়কে দিয়েছেন, সেটা বেশি নজর কেড়েছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে লাগাতার বোলিং করেছেন। কখনো বাউন্সার, কখনো গুড লেংথে বল ফেলতেন তিনি। ব্যাটাররা রীতিমতো আতঙ্কে থাকতেন তাঁর বল মোকাবিলা করতে গিয়ে। যেখানে চিন্নস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে সাড়া ফেলে দেন।
পাঞ্জাব কিংস ও বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের যেভাবে মায়াঙ্ক ভড়কে দিয়েছেন, তাতে তাঁর (মায়াঙ্ক) বিপক্ষে রান করাটাই তো মুশকিল হয়ে যায়। তিনি (মায়াঙ্ক) যেভাবে আরসিবির ক্যামেরন গ্রিনের উইকেট নিয়েছেন, সেটাও অনেক আলোড়ন তুলেছে। গ্রিন কোনোমতে নিজের উইকেট ঠেকাতে চেয়েছিলেন। তবে গতির ঝড় তোলা মায়াঙ্কের বল ঠেকানো কি এতই সহজ! স্টাম্পে আঘাত করে বল পর্যন্ত চলে গেছে বাউন্ডারিতে। সেই ম্যাচে (আরসিবির বিপক্ষে) ৪ ওভারে ১৪ রান খরচ করেন।
প্রথম দুই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের পর হুংকার ছাড়েন মায়াঙ্ক। হুংকার ছাড়বেন নাই বা কেন? রেসিং কারের মতো ছুটতে থাকা এই পেসার (মায়াঙ্ক) তো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ‘পার্পল ক্যাপ’-এর লড়াইয়ে পাল্লা দিচ্ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর মায়াঙ্ক বলেছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে দেশের হয়ে যত দূর সম্ভব খেলতে পারি। এটা তো সবে শুরু। মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন নিয়েই আমি ফোকাসড।’
হুংকার ছেড়েও অবশ্য তখন লাভ হয়নি মায়াঙ্কের। গতির ঝড় তোলা এই পেসার চার ম্যাচ খেলেই চোটে পড়ে ২০২৪ আইপিএল থেকে ছিটকে যান। নিয়েছেন ৭ উইকেট। ইকোনমিও ছিল ৭-এর কম। সেবার মাঝপথে ছিটকে গেলেও এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই সেটা সুদে-আসলে উশুল করতে চাইবেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা কীভাবে মায়াঙ্কের গতির ঝড় সামলান, সেটাই হবে দেখার। যে মোস্তাফিজের সঙ্গে আইপিএলে পাল্লা দিচ্ছিলেন, তাঁর (মোস্তাফিজ) মুখোমুখি হয়তো এবার হতে পারেন তিনি (মায়াঙ্ক)।
বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে আবারও গৌতম গম্ভীর ও মরনে মরকেলকে ডাগআউটে পেতে যাচ্ছেন মায়াঙ্ক। হয়তো এখন অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে, গম্ভীরের সঙ্গে মায়াঙ্কের আগে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল কীভাবে? কারণ ২০২৪ আইপিএলে গম্ভীর যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ‘মেন্টর’ ছিলেন। কিন্তু গম্ভীর যখন ২০২৩ আইপিএলে লক্ষ্ণৌর পরামর্শক ছিলেন, তখন মায়াঙ্ককে ভিত্তিমূল্য ২৩ লাখ রুপিতে নিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি (লক্ষ্ণৌ)। তবে চোটে পড়ায় সেবার একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। তখন লক্ষ্ণৌর বোলিং কোচ ছিলেন মরকেল। এবার গম্ভীর ভারতের প্রধান কোচ এবং বোলিং কোচের দায়িত্বে মরকেল। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
কদিন আগেই মায়াঙ্ক যাদবকে ‘লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের রোলস রয়েস’ বলেছিলেন জন্টি রোডস। লক্ষ্ণৌর ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা রোডস ‘রেসিং কারের’ গতির সঙ্গে তুলনা করে দিয়েছিলেন এমন উপাধি। সেই ‘রোলস রয়েস’ যে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডাক পাচ্ছেন, সেটা আগেই শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেটা সত্যি হয়েছে গত রাতেই।
২০২৪ আইপিএলে মায়াঙ্ক দিয়েছেন তাঁর আগমনী বার্তা। লক্ষ্ণৌর জার্সিতে খেলা এই পেসার প্রথম দুই ম্যাচে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। পাঞ্জাব কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)—আইপিএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনটি করে উইকেট নেন। উইকেট নেওয়ার চেয়েও ব্যাটারদের যেভাবে গতি দিয়ে ভড়কে দিয়েছেন, সেটা বেশি নজর কেড়েছে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে লাগাতার বোলিং করেছেন। কখনো বাউন্সার, কখনো গুড লেংথে বল ফেলতেন তিনি। ব্যাটাররা রীতিমতো আতঙ্কে থাকতেন তাঁর বল মোকাবিলা করতে গিয়ে। যেখানে চিন্নস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ১৫৬.৭ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে সাড়া ফেলে দেন।
পাঞ্জাব কিংস ও বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের যেভাবে মায়াঙ্ক ভড়কে দিয়েছেন, তাতে তাঁর (মায়াঙ্ক) বিপক্ষে রান করাটাই তো মুশকিল হয়ে যায়। তিনি (মায়াঙ্ক) যেভাবে আরসিবির ক্যামেরন গ্রিনের উইকেট নিয়েছেন, সেটাও অনেক আলোড়ন তুলেছে। গ্রিন কোনোমতে নিজের উইকেট ঠেকাতে চেয়েছিলেন। তবে গতির ঝড় তোলা মায়াঙ্কের বল ঠেকানো কি এতই সহজ! স্টাম্পে আঘাত করে বল পর্যন্ত চলে গেছে বাউন্ডারিতে। সেই ম্যাচে (আরসিবির বিপক্ষে) ৪ ওভারে ১৪ রান খরচ করেন।
প্রথম দুই ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জয়ের পর হুংকার ছাড়েন মায়াঙ্ক। হুংকার ছাড়বেন নাই বা কেন? রেসিং কারের মতো ছুটতে থাকা এই পেসার (মায়াঙ্ক) তো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী ‘পার্পল ক্যাপ’-এর লড়াইয়ে পাল্লা দিচ্ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর মায়াঙ্ক বলেছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য হচ্ছে দেশের হয়ে যত দূর সম্ভব খেলতে পারি। এটা তো সবে শুরু। মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন নিয়েই আমি ফোকাসড।’
হুংকার ছেড়েও অবশ্য তখন লাভ হয়নি মায়াঙ্কের। গতির ঝড় তোলা এই পেসার চার ম্যাচ খেলেই চোটে পড়ে ২০২৪ আইপিএল থেকে ছিটকে যান। নিয়েছেন ৭ উইকেট। ইকোনমিও ছিল ৭-এর কম। সেবার মাঝপথে ছিটকে গেলেও এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই সেটা সুদে-আসলে উশুল করতে চাইবেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা কীভাবে মায়াঙ্কের গতির ঝড় সামলান, সেটাই হবে দেখার। যে মোস্তাফিজের সঙ্গে আইপিএলে পাল্লা দিচ্ছিলেন, তাঁর (মোস্তাফিজ) মুখোমুখি হয়তো এবার হতে পারেন তিনি (মায়াঙ্ক)।
বাংলাদেশ সিরিজ দিয়ে আবারও গৌতম গম্ভীর ও মরনে মরকেলকে ডাগআউটে পেতে যাচ্ছেন মায়াঙ্ক। হয়তো এখন অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে, গম্ভীরের সঙ্গে মায়াঙ্কের আগে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল কীভাবে? কারণ ২০২৪ আইপিএলে গম্ভীর যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ‘মেন্টর’ ছিলেন। কিন্তু গম্ভীর যখন ২০২৩ আইপিএলে লক্ষ্ণৌর পরামর্শক ছিলেন, তখন মায়াঙ্ককে ভিত্তিমূল্য ২৩ লাখ রুপিতে নিয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি (লক্ষ্ণৌ)। তবে চোটে পড়ায় সেবার একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। তখন লক্ষ্ণৌর বোলিং কোচ ছিলেন মরকেল। এবার গম্ভীর ভারতের প্রধান কোচ এবং বোলিং কোচের দায়িত্বে মরকেল। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
রোববারের ফাইনাল মানেই ভারতের ‘বিপদ’। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে রোববার সাপ্তাহিক ছুটি। ভারতেও ঠিক তাই। কিন্তু রোববার আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট হলে ভারতীয়দের জন্য দিনটি আর ‘সানডে’ থাকে না, হাসি-আনন্দের ছুটির দিনটি রূপ নেয় বিষাদে। পরিসংখ্যান তা-ই বলে...
৮ মিনিট আগেআজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে দেখা হচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ডের। দুই দলই দারুণ ক্রিকেট খেলছে সম্প্রতি। আজ ফাইনালে কারা জিততে পারে, সাবেকদের সেই ভবিষ্যদ্বাণী দেখে নিন।
৩৪ মিনিট আগেআইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে বরাবরই ভারত ফেবারিট। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছে তারা। তারপরও দলটির জন্য এ এক অপ্রিয় সত্য—২০১৩ সালের পর ভারত কোনো বৈশ্বিক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। এক যুগের এই শিরোপা বন্ধ্যত্ব ঘোচানোর সুযোগ এবার রোহিত-কোহলিদের সামনে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে আজ ভারত...
১ ঘণ্টা আগেনিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার কথা বলা শুরু করেছিলেন বটে। কিন্তু মাইক থেকে কোনো আওয়াজ বের হলো না। কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতি হলেও স্যান্টনার হাসি আটকে রাখতে পারলেন না। তা বুঝিয়ে দেয় আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল নিয়ে অনেকটা নির্ভার তিনি।
১ ঘণ্টা আগে