বিসিবি পরিচালনায় তবে অন্তর্বর্তী কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২৪, ১০: ২৩
Thumbnail image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মেয়াদ আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত থাকার কথা। তবে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবির এই পরিচালনা পরিষদ কবে ভেঙে যাচ্ছে, সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন। 

সূত্র জানায়, নিয়মের মধ্যে থেকে বর্তমান পরিচালনা পরিষদ ভেঙে দিয়ে কীভাবে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করা যায়, সেই চেষ্টা করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে তারা বেশ কয়েকজন সংগঠক, সাবেক ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদও। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফারুক আহমেদ গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করেছে। ওরকম সুযোগ হলে আসব। যে জন্য ছেড়েছিলাম, সেই সমস্যা তো এখন আর নেই। এটা হলে একটা নতুন শুরু হবে। নীতিনির্ধারণে যদি আসতে পারি, অসুবিধা তো নেই।’ কীভাবে বোর্ডের পরিবর্তন হবে, সে বিষয় অবশ্য এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলেননি ফারুক, ‘যা করার, নিয়মের মধ্যে করতে হবে। তারা (সরকার) সংস্কারের চিন্তা করছে। যে গঠনতন্ত্র আছে, ওটার মধ্যেই করতে হবে। কিছু পরিবর্তন তো আসবেই। ধীরে ধীরে হয়তো (সংস্কার) করবে। অনেকে দেশে নেই, এটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। অনেকে আবার বোর্ডে আসতে চায় না।’ 

যদি গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে অন্তর্বর্তী কমিটি হয়েই যায়, সেখানে বর্তমান পরিচালনা পরিষদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পরিচালকেরা জায়গা পেতে পারেন কি না, এ বিষয়ে ফারুকের অভিমত, ‘বর্তমান পরিচালনা পরিষদের মধ্যে কেউ কেউ হয়তো থাকবেন। পরিবর্তন দরকার, তবে পুরো সিস্টেম হুট করে ওলটপালট করা যাবে না।’ 

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে যোগাযোগ করেছে। ওরকম সুযোগ হলে আসব। যে জন্য ছেড়েছিলাম, সেই সমস্যা তো এখন আর নেই। এটা হলে একটা নতুন শুরু হবে। নীতিনির্ধারণে যদি আসতে পারি, অসুবিধা তো নেই।’

ফারুক আহমেদ, সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক প্রধান নির্বাচক

অন্তর্বর্তী সরকারের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ, অক্টোবরে দেশের মাঠে নারী বিশ্বকাপ আয়োজন ঠিকঠাকভাবে করা। কিন্তু বাংলাদেশে কয়েকটি দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিশ্বকাপ আয়োজনের আশা ধীরে ধীরে কমে আসছে। এই দেশগুলো যেভাবে তাদের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশের পাশে ‘ডু নট ট্রাভেল’ দিয়ে রেখেছে, তাতে বিসিবির কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমেই বাড়ছে। তবে বিসিবির জন্য স্বস্তির খবর, নিরাপত্তার ব্যাপারে তারা সরকারের কাছ থেকে শতভাগ নিশ্চয়তা পাচ্ছে। নিরাপত্তার পুরো বিষয়টির দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিরপুর ও সিলেট ভেন্যুর দায়িত্ব বুঝে নিতেও প্রস্তুত সেনাবাহিনী। 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ নারী বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা বিসিবি মূলত দেখছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে। তবু বিষয়টি শুধুই আমাদের ওপর নির্ভর করে না। নির্দিষ্ট দেশগুলোর (ভ্রমণ নিয়ে) পর্যবেক্ষণ আছে।’ 

আরও একটি বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। এত বড় আয়োজন সফল করতে এ সময়ে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের একটি বৈঠকও খুব জরুরি ছিল। কিন্তু সেই বৈঠক হবে কী করে, যেখানে বর্তমান পরিচালনা পরিষদের ভবিষ্যতের পাশে বিরাট এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে আছে! 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত