ক্রীড়া ডেস্ক
২০২৩ বিশ্বকাপে চলছে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ও দ্রুততম সেঞ্চুরি-বিশ্বকাপ ইতিহাসে দুটো রেকর্ডই গড়া হয়েছে নতুন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানও আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ২৭২ রান করেছে আফগানিস্তান। যা ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে আফগানদের সর্বোচ্চ স্কোর।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন। তবে প্রথম ১০ ওভারের আগেই ভেঙে যায় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে জসপ্রীত বুমরাহকে খোঁচা দিতে যান ইব্রাহিম জাদরান। আউটসাইড এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ২৮ বলে ৪ চারে ২২ রান করেন ইব্রাহিম। যেখানে উদ্বোধনী জুটিটি ছিল ৪০ বলে ৩২ রানের।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন রহমত শাহ। দ্বিতীয় উইকেটেও রহমত শাহর সঙ্গে জুটি বড় করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গুরবাজ। একের পর এক বাউন্ডারিও মারছিলেন গুরবাজ। তবে আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে পুল করেন গুরবাজ। ডিপ ফাইন লেগে দাড়িয়ে থাকা শার্দুল ঠাকুর নিশ্চিত ছক্কা হওয়া বল প্রথমে ফিরিয়েছেন। এরপর দারুণ ক্যাচ ধরেছেন শার্দুল। ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে গুরবাজ-রহমতের জুটি ছিল ৩৭ বলে ৩১ রানের।
গুরবাজ আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে গেছেন রহমতও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে রহমতকে এলবিডব্লু করেন শার্দুল। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি রহমত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগস্ট্যাম্পে লাগায় তা ছিল আম্পায়ার্স কল। ১৩.১ ওভারে আফগানদের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান। এরপরই উইকেটে এসে হাল ধরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অধিনায়ক শাহিদীকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন ওমরজাই। ভারতীয় বোলারদের বেশ সাবলীলভাবেই খেলতে থাকেন আফগান এই দুই ব্যাটার। যেখানে এবারের বিশ্বকাপের ১০০তম ছক্কা এসেছে ওমরজাইয়ের ব্যাটে। ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে সোজা ছক্কা মারেন ওমরজাই। শাহিদী, ওমরজাই-দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওমরজাইকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পান্ডিয়া। ওমরজাই ৬৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬২ রান। চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই-শাহিদীর জুটি ছিল ১২৫ বলে ১২১ রানের
ওমরজাইয়ের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ নবী। নবীকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান শাহিদী। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তো বটেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসে আফগানদের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে পারতেন শাহিদী। তবে আফগান অধিনায়ক তা করতে পারেননি। ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে কুলদীপকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন শাহিদী। আফগান অধিনায়ক রিভিউ নিলেও তা নষ্ট হয়ে যায়। ৮৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮০ রান। পঞ্চম উইকেটে নবীর সঙ্গে ৫০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন শাহিদী। আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ৪২.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৫ রান। শাহিদীর বিদায়ের পর দ্রুত আরও দুই উইকেট নিয়ে আফগানদের হালকা ধাক্কা দিয়েছেন বুমরা। ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। একই ওভারের শেষ বলে নবীকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন বুমরা। ২৭ বলে ১৯ রান করেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ৫ উইকেটে ২২৫ রান থেকে ৪৫ ওভার শেষে স্কোর হয় ৭ উইকেটে ২৩৫ রান।
শাহিদী থেকে নবী-দ্রুত ৩ উইকেট হারানোয় আফগানিস্তানের ব্যাটারদের মনে হয়তো গত ম্যাচের ধসের শঙ্কা জেগেছিল। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪৪ রানে তারা হারায় শেষ ৮ উইকেট। তবে রশিদ খান এসে ধস সামাল দিয়েছেন। ১২ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রশিদ। আফগান এই অলরাউন্ডারের উইকেটও নিয়েছেন বুমরা। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে উড়িয়ে মারেন রশিদ। ডিপ পয়েন্ট থেকে দৌড়ে এসে প্রথমবার মিস করলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্যাচ ধরেন কুলদীপ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রান করে আফগানিস্তান। আফগান অধিনায়কের ৮০ রানই তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। ২ উইকেট নিয়েছেন পান্ডিয়া। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ও কুলদীপ।
২০২৩ বিশ্বকাপে চলছে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ও দ্রুততম সেঞ্চুরি-বিশ্বকাপ ইতিহাসে দুটো রেকর্ডই গড়া হয়েছে নতুন করে। সেই ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানও আজ রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ২৭২ রান করেছে আফগানিস্তান। যা ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে আফগানদের সর্বোচ্চ স্কোর।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন। তবে প্রথম ১০ ওভারের আগেই ভেঙে যায় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি। সপ্তম ওভারের চতুর্থ বলে জসপ্রীত বুমরাহকে খোঁচা দিতে যান ইব্রাহিম জাদরান। আউটসাইড এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুল। ২৮ বলে ৪ চারে ২২ রান করেন ইব্রাহিম। যেখানে উদ্বোধনী জুটিটি ছিল ৪০ বলে ৩২ রানের।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন রহমত শাহ। দ্বিতীয় উইকেটেও রহমত শাহর সঙ্গে জুটি বড় করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গুরবাজ। একের পর এক বাউন্ডারিও মারছিলেন গুরবাজ। তবে আফগান উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৩তম ওভারের চতুর্থ বলে হার্দিক পান্ডিয়াকে পুল করেন গুরবাজ। ডিপ ফাইন লেগে দাড়িয়ে থাকা শার্দুল ঠাকুর নিশ্চিত ছক্কা হওয়া বল প্রথমে ফিরিয়েছেন। এরপর দারুণ ক্যাচ ধরেছেন শার্দুল। ২৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২১ রান। দ্বিতীয় উইকেটে গুরবাজ-রহমতের জুটি ছিল ৩৭ বলে ৩১ রানের।
গুরবাজ আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে গেছেন রহমতও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে রহমতকে এলবিডব্লু করেন শার্দুল। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি রহমত। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগস্ট্যাম্পে লাগায় তা ছিল আম্পায়ার্স কল। ১৩.১ ওভারে আফগানদের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৩ রান। এরপরই উইকেটে এসে হাল ধরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অধিনায়ক শাহিদীকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরেন ওমরজাই। ভারতীয় বোলারদের বেশ সাবলীলভাবেই খেলতে থাকেন আফগান এই দুই ব্যাটার। যেখানে এবারের বিশ্বকাপের ১০০তম ছক্কা এসেছে ওমরজাইয়ের ব্যাটে। ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপকে সোজা ছক্কা মারেন ওমরজাই। শাহিদী, ওমরজাই-দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওমরজাইকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন পান্ডিয়া। ওমরজাই ৬৯ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬২ রান। চতুর্থ উইকেটে ওমরজাই-শাহিদীর জুটি ছিল ১২৫ বলে ১২১ রানের
ওমরজাইয়ের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ নবী। নবীকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান শাহিদী। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তো বটেই, বিশ্বকাপ ইতিহাসে আফগানদের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান হতে পারতেন শাহিদী। তবে আফগান অধিনায়ক তা করতে পারেননি। ৪৩তম ওভারের চতুর্থ বলে কুলদীপকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লু হয়েছেন শাহিদী। আফগান অধিনায়ক রিভিউ নিলেও তা নষ্ট হয়ে যায়। ৮৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৮০ রান। পঞ্চম উইকেটে নবীর সঙ্গে ৫০ বলে ৪১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন শাহিদী। আফগানদের স্কোর দাঁড়ায় ৪২.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৫ রান। শাহিদীর বিদায়ের পর দ্রুত আরও দুই উইকেট নিয়ে আফগানদের হালকা ধাক্কা দিয়েছেন বুমরা। ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিরিয়েছেন নাজিবুল্লাহ জাদরানকে। একই ওভারের শেষ বলে নবীকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন বুমরা। ২৭ বলে ১৯ রান করেন আফগান এই অলরাউন্ডার। ৫ উইকেটে ২২৫ রান থেকে ৪৫ ওভার শেষে স্কোর হয় ৭ উইকেটে ২৩৫ রান।
শাহিদী থেকে নবী-দ্রুত ৩ উইকেট হারানোয় আফগানিস্তানের ব্যাটারদের মনে হয়তো গত ম্যাচের ধসের শঙ্কা জেগেছিল। যেখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪৪ রানে তারা হারায় শেষ ৮ উইকেট। তবে রশিদ খান এসে ধস সামাল দিয়েছেন। ১২ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রশিদ। আফগান এই অলরাউন্ডারের উইকেটও নিয়েছেন বুমরা। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে উড়িয়ে মারেন রশিদ। ডিপ পয়েন্ট থেকে দৌড়ে এসে প্রথমবার মিস করলেও দ্বিতীয় চেষ্টায় ক্যাচ ধরেন কুলদীপ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রান করে আফগানিস্তান। আফগান অধিনায়কের ৮০ রানই তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। ভারতের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন বুমরা। ২ উইকেট নিয়েছেন পান্ডিয়া। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন শার্দুল ও কুলদীপ।
দিনের শুরুতেই উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেই ফেরাতে পারতেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে। কিন্তু প্রথম স্লিপে উইন্ডিজ অধিনায়কের ক্যাচ ছাড়েন শাহাদাত হোসেন দিপু।
৭ ঘণ্টা আগেরাজিন সালেহের অধীনে সবশেষ মৌসুমে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পূর্বাঞ্চল। এবার তাঁর অধীনে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএলে) প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের সুবাস পাচ্ছে সিলেট বিভাগ।
৮ ঘণ্টা আগেবিহারের ছোট্ট এক গ্রাম থেকে উঠে আসা ১৩ বছর বয়সী ক্রিকেটার বৈভব সূর্যবংশীকে ১ কোটি ১০ লাখ রুপিতে কিনে হইচই ফেলে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। জেদ্দায় আজ আইপিএলের মেগা নিলামের শেষ দিনে সবচেয়ে আলোচিত নাম এই বৈভব। আইপিএল নিলামে সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটারের বিক্রি হওয়ার ঘটনা এটি। সেটিও আবার কোটি রুপিতে।
৮ ঘণ্টা আগেধারাভাষ্য কক্ষে আতাহার আলী খান বেশ অবাক কণ্ঠে বললেন, ‘বাংলাদেশকে সকালে ব্যাটিং না করতে দেখে বেশ অবাক হয়েছি।’ তাঁর মতো অবাক হয়েছেন বাংলাদেশের অনেক দর্শকই।
৯ ঘণ্টা আগে