ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট ম্যাচ কীভাবে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়, কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট দেখলে আরও স্পষ্ট বোঝা যাবে। গ্রিন পার্কে সব মিলে খেলা হয়নি আড়াই দিনও। তবু ভারত হেসেখেলে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতীয়রা জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।
কানপুরে গতকাল চতুর্থ দিনে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশস্বী জয়সওয়ালরা বেধড়ক পিটুনি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলারদের। ওভারপ্রতি ৮-এর বেশি রানরেটে ব্যাটিংয়ে টেস্ট ইতিহাসের অনেক রেকর্ড ওলটপালট করে দিয়েছিল ভারত। সেখানে আজ পঞ্চম দিনে তেমন আক্রমণাত্মক না হলেও স্বাগতিকেরা খেলেছে ওয়ানডে মেজাজে। ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে করে ফেলে ৯৮ রান। সব মিলিয়ে কানপুর টেস্টে খেলা হয়েছে ১৭৩.২ ওভার। যা দুই দিনের সমানও নয়।
৯৫ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ২ ওভারে ১৮ রান করে ফেলে ভারত। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ করতে যান রোহিত শর্মা। ঠিকমতো টাইমিং না হওয়া বল লং লেগে সহজেই তালুবন্দী করেন হাসান মাহমুদ। ভারতীয় অধিনায়ক ৭ বলে করেছেন ৮ রান। তিনে ব্যাটিংয়ে নামেন শুবমান গিল। তিনি অবশ্য চড়াও হওয়ার সুযোগ পাননি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে গিলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। গিলও আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে (৬ রান)।
রোহিত-গিলের বিদায়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশের বোলারদের জেঁকে বসতে দেননি জয়সওয়াল। পাল্টা আক্রমণে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ভারতীয় এই ব্যাটারের টেস্টে এটা সপ্তম ফিফটি।
জয় থেকে যখন শুধু একটা চারের দূরত্বে ভারত, সেই সময় জয়সওয়াল হারিয়েছেন উইকেট। ১৬তম ওভারের শেষ বলে তাইজুল ইসলামকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান জয়সওয়াল। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল এক্সট্রা কাভারে ধরেছেন সাকিব আল হাসান। ৪৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন জয়সওয়াল। তৃতীয় উইকেটে ৬৭ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন জয়সওয়াল ও কোহলি।
এই তাইজুলেরই ফিরতি ওভারে খেলা শেষ করে দেয় ভারত। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লং অন দিয়ে তাইজুলকে উড়িয়ে চার মারেন পন্ত। তাতেই নিশ্চিত হয় বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই।
পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে আজ ২ উইকেটে ২৬ রানে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ৩৬ ওভারেই বাকি ৮ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। তাতে যতটা না ভারতের কৃতিত্ব, সেটার চেয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায়ই বেশি। ৫২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৬ রানে। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন সাদমান ইসলাম। তাতে সাদমান ভারতের মাঠে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ওপেনার হিসেবে ফিফটি করেন।
কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। তবে বৃষ্টির বাগড়া, আলোক স্বল্পতার কারণে সেদিন খেলা হয়েছিল ৩৫ ওভার। বাংলাদেশ করেছিল ৩ উইকেটে ১০৭ রান। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়-টানা দুই দিন কোনো খেলা হয়নি। চতুর্থ দিন থেকেই ম্যাচের ভোল পাল্টানো শুরু। শান্তর দল অলআউট প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২৩৩ রানে।
চতুর্থ দিনে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বেধড়ক পিটুনি দেয় বাংলাদেশের বোলারদের। দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০—১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এই সব কটির রেকর্ড ভারত নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ৩৪.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৯ রান। সাকিব ও মিরাজ নেন ৪টি করে উইকেট।
১২৩ রান করে কানপুর টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়সওয়াল। দুই ইনিংসেই করেন ফিফটি। যেখানে প্রথম ইনিংসে ৫১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অলরাউন্ড নৈপুন্যে সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১১৪ রান ও ১১ উইকেট নিয়েছেন। যেখানে চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে ১১৩ রান ও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ঘরের মাঠে সেই টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন অশ্বিন।
টেস্ট ম্যাচ কীভাবে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়, কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট দেখলে আরও স্পষ্ট বোঝা যাবে। গ্রিন পার্কে সব মিলে খেলা হয়নি আড়াই দিনও। তবু ভারত হেসেখেলে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ভারতীয়রা জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।
কানপুরে গতকাল চতুর্থ দিনে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশস্বী জয়সওয়ালরা বেধড়ক পিটুনি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলারদের। ওভারপ্রতি ৮-এর বেশি রানরেটে ব্যাটিংয়ে টেস্ট ইতিহাসের অনেক রেকর্ড ওলটপালট করে দিয়েছিল ভারত। সেখানে আজ পঞ্চম দিনে তেমন আক্রমণাত্মক না হলেও স্বাগতিকেরা খেলেছে ওয়ানডে মেজাজে। ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে করে ফেলে ৯৮ রান। সব মিলিয়ে কানপুর টেস্টে খেলা হয়েছে ১৭৩.২ ওভার। যা দুই দিনের সমানও নয়।
৯৫ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম ২ ওভারে ১৮ রান করে ফেলে ভারত। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ করতে যান রোহিত শর্মা। ঠিকমতো টাইমিং না হওয়া বল লং লেগে সহজেই তালুবন্দী করেন হাসান মাহমুদ। ভারতীয় অধিনায়ক ৭ বলে করেছেন ৮ রান। তিনে ব্যাটিংয়ে নামেন শুবমান গিল। তিনি অবশ্য চড়াও হওয়ার সুযোগ পাননি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বলে গিলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। গিলও আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরে (৬ রান)।
রোহিত-গিলের বিদায়ে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৪.৫ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশের বোলারদের জেঁকে বসতে দেননি জয়সওয়াল। পাল্টা আক্রমণে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ভারতীয় এই ব্যাটারের টেস্টে এটা সপ্তম ফিফটি।
জয় থেকে যখন শুধু একটা চারের দূরত্বে ভারত, সেই সময় জয়সওয়াল হারিয়েছেন উইকেট। ১৬তম ওভারের শেষ বলে তাইজুল ইসলামকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে যান জয়সওয়াল। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল এক্সট্রা কাভারে ধরেছেন সাকিব আল হাসান। ৪৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রান করেন জয়সওয়াল। তৃতীয় উইকেটে ৬৭ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন জয়সওয়াল ও কোহলি।
এই তাইজুলেরই ফিরতি ওভারে খেলা শেষ করে দেয় ভারত। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লং অন দিয়ে তাইজুলকে উড়িয়ে চার মারেন পন্ত। তাতেই নিশ্চিত হয় বাংলাদেশকে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই।
পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে আজ ২ উইকেটে ২৬ রানে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ৩৬ ওভারেই বাকি ৮ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। তাতে যতটা না ভারতের কৃতিত্ব, সেটার চেয়ে বাংলাদেশের ব্যাটারদের দায়ই বেশি। ৫২ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৪৬ রানে। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন সাদমান ইসলাম। তাতে সাদমান ভারতের মাঠে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ওপেনার হিসেবে ফিফটি করেন।
কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। তবে বৃষ্টির বাগড়া, আলোক স্বল্পতার কারণে সেদিন খেলা হয়েছিল ৩৫ ওভার। বাংলাদেশ করেছিল ৩ উইকেটে ১০৭ রান। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়-টানা দুই দিন কোনো খেলা হয়নি। চতুর্থ দিন থেকেই ম্যাচের ভোল পাল্টানো শুরু। শান্তর দল অলআউট প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২৩৩ রানে।
চতুর্থ দিনে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বেধড়ক পিটুনি দেয় বাংলাদেশের বোলারদের। দ্রুততম ৫০, ১০০, ১৫০, ২০০, ২৫০—১৪৭ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এই সব কটির রেকর্ড ভারত নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ৩৪.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৯ রান। সাকিব ও মিরাজ নেন ৪টি করে উইকেট।
১২৩ রান করে কানপুর টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছেন জয়সওয়াল। দুই ইনিংসেই করেন ফিফটি। যেখানে প্রথম ইনিংসে ৫১ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অলরাউন্ড নৈপুন্যে সিরিজসেরার পুরস্কার জেতেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১১৪ রান ও ১১ উইকেট নিয়েছেন। যেখানে চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে ১১৩ রান ও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ঘরের মাঠে সেই টেস্টে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন অশ্বিন।
পেপ গার্দিওলাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কদিন আগে রোনালদো নাজারিও জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের আগামী নির্বাচনে সভাপতি হলে সেলেসাওদের জন্য নিয়ে আসবেন স্প্যানিশ কোচকে। তবে আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না গার্দিওলা। থাকছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই।
১৩ মিনিট আগেউয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। মুখোমুখি হবে চারবারের দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি-জার্মানি।
১৮ মিনিট আগে২০২৪ থেকে ২০৩১ সাল পর্যন্ত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সকল টুর্নামেন্টের একক মিডিয়া স্বত্ব কিনে নিয়েছে ভারতীয় টেলিভিশন মিডিয়া সনি পিকচার্স নেটওয়ার্কস ইন্ডিয়া (এসপিএনআই)। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ ঘোষণা দিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেএগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলে হারল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তাতে আজ কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ ২.০ চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপাটা উঠল বসুন্ধরা কিংসের হাতেই।
২ ঘণ্টা আগে