হাথুরুর চোখে সৌম্যর ক্লাস ‘পার্মানেন্ট’ 

ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ০৭
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪: ১৬

সৌম্য সরকার—এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে এই নামটি বেশ আলোচিত। সেটা তাঁর পারফরম্যান্সের কারণেই। সৌম্যর পারফরম্যান্স যেমনই হোক, তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে জিজ্ঞেস করা হয়। ‘প্রিয় ছাত্রকে’ প্রশংসায় ভাসানোর উপলক্ষ পেয়ে যেন ‘খুশি’ হাথুরুও।

১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপ। আর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে ১১ নভেম্বর। ব্যর্থ বিশ্বকাপ মিশন শেষে বাংলাদেশ খেলেছে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নিউজিল্যান্ড সফরে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেই সফরের দুই দলেই সুযোগ পেয়ে যান সৌম্য। তবে শুরুটা হয়েছে বিব্রতকর এক রেকর্ডে নাম লিখিয়ে। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৬ ওভার বোলিংয়ে ৬৩ রান দিয়েছেন। কোনো উইকেট পাননি। ব্যাটিংয়েও পারেননি রানের খাতা খুলতে।

বিব্রতকর রেকর্ডে নাম লেখানো সৌম্য ঘুরে দাঁড়ালেন পরের ম্যাচেই। নেলসনের স্যাক্সটন ওভালে ১৫১ বলে ২২ চার ও ২ ছক্কায় ১৬৯ রানের ইনিংস খেললেন। শচীন টেন্ডুলকারকে টপকে নিউজিল্যান্ডের মাঠে ওয়ানডেতে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার রেকর্ড করেন সৌম্য। এরপর নেপিয়ারে তৃতীয় ওয়ানডেতে চোখের সমস্যায় ব্যাটিংয়ে ৪ রান করেই চলে যেতে হয় সৌম্যকে। ১৭৩ রান করে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার। ওয়ানডে সিরিজ শেষে আগামীকাল নেপিয়ারে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আজ সাংবাদিকদের সৌম্য প্রসঙ্গে হাথুরু বলেন, ‘সে (সৌম্য) যেভাবে পারফর্ম করেছে, তাতে আমি খুশি। জানতাম তার ম্যাচ ঘোরানো ইনিংস খেলার সামর্থ্য রয়েছে। যখন এখানে ছিলাম, তখন সে এটা করে দেখিয়েছে। সবাই আমরা বলি, ক্লাস হচ্ছে পার্মানেন্ট।’

২০১৪ সালে হাথুরুসিংহে যখন প্রথম মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আসেন, সৌম্যর তখন শুরু হয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলেছে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দুর্দান্ত খেলেন সৌম্য। তবে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে খুব একটা সময় লাগেনি। ছন্দহীনতায় জাতীয় দলে আছেন আসা-যাওয়ার মধ্যে। এক পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ২০১৪-এর ১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সৌম্যর অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তিন সংস্করণে খেলেছে ৩০৮ ম্যাচ, তিনি (সৌম্য) খেলেছেন ১৫৪ ম্যাচ। এবার যে ১৬৯ রান করেছেন, তা সৌম্যর চার বছর পর ওয়ানডেতে ফিফটি। ১৫৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে ২১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও তেমন পারফর্ম করতে পারেননি সৌম্য। এক ম্যাচে দারুণ খেলেন তো অনেক দিন পর আবার জ্বলে ওঠেন। সৌম্যর ফর্মের ব্যাখ্যায় হাথুরু বলেন, ‘ফর্ম অনেক কিছুর কারণেই প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে আপনার মাথায় কী চলছে। আপনার কাজ যদি বুঝতে পারেন, পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, তাহলে প্রত্যেকেরই সামর্থ্য অনুযায়ী খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। তার (সৌম্য) মাথা পুরো পরিষ্কার। টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর পারফর্ম করতে না পারার কোনো কারণ নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত