নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ আয়োজন করার প্রস্তাব দিয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তবে ২০২২ সালে দেওয়া ইসিবির সেই প্রস্তাব সরাসরি না করে দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

এবার দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজনের আরেকটি প্রস্তাব পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ভারত-পাকিস্তান চাইলে নিজেদের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন করতে চায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। সিএয়ের দেওয়া প্রস্তাবটি অবশ্য নতুন নয়, এর আগেও একবার দিয়েছিল প্যাট কামিন্স-স্টিভেন স্মিথদের ক্রিকেট বোর্ড। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সিএ এবং ভিক্টোরিয়ান সরকার এমসিজিতে সিরিজ আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেছিল।

পুনরায় প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকে উৎসাহ জুগিয়েছে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মেলবোর্নের ম্যাচ। ২৩ অক্টোবরের ম্যাচে রেকর্ড ৯০,২৯৩ দর্শক স্টেডিয়ামে বসে ম্যাচ দেখেছিলেন। পুনরায় বিপুলসংখ্যক দর্শকের হাতছানির সুযোগই নিতে চায় সিএ। কেননা, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের ম্যাচ মানে অর্থের ঝনঝনানি। এর সঙ্গে আবার একই সময় অস্ট্রেলিয়া সফর করবে দুই দল। দুইয়ে দুইয়ে তাই চার মেলাতে চায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এখন ভারত-পাকিস্তান  ‘অভিমান’ ভেঙে তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেবে কি না সেটাই দেখার বিষয়।

গতকাল ঘরের মাঠের গ্রীষ্মের সূচি প্রকাশ করেছে সিএ। সূচি অনুযায়ী দেখা যায়, আগামী নভেম্বরে ভারত-পাকিস্তান দুই দলই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে। প্রথমে পাকিস্তান সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি ৪ নভেম্বর শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ নভেম্বর। তাদের সিরিজটি শেষ হওয়ার পরেই ভারত অস্ট্রেলিয়ায় যাবে ৫ টেস্ট সিরিজ খেলতে। যে সিরিজ দিয়ে ৩৩ বছরের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে দুই দলের। ১৯৯১-৯২ সালের পর পুনরায় পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলার অপেক্ষা। সিরিজটি শুরু হবে ২২ নভেম্বর আর শেষ হবে ৩ জানুয়ারি।

সব সংস্করণ মিলিয়ে সর্বশেষ ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে ভারত-পাকিস্তান। এর পর থেকেই দুই দলের ম্যাচ দেখার জন্য এখন আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টের ওপর চাতক পাখির মতো মুখ করে থাকেন দর্শকেরা। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দর্শকদের সেই ঢল দেখা গেছে মেলবোর্নে। ভারতের ৪ উইকেটের জয় পাওয়া সেদিনের ম্যাচটিও হয়েছিল রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের।

সেই রোমাঞ্চ স্মরণ করেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এমসিজিতে ভারত-পাকিস্তান লড়াই যাঁরা দেখেছেন, তাঁদের কাছে ম্যাচটা অন্যতম সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে। শুধু খেলাধুলার দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়। দর্শকেরা এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চায়। সুযোগ পেলে আমরা দ্বিপক্ষীয় সিরিজটি আয়োজন করতে চাই।’