পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে যা ঘটেনি, সেটি করলেন রউফ-শাহিনরা

ক্রীড়া ডেস্ক   
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২০: ৪৯
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২১: ০৯
একটি রানআউট ছাড়া সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার সবগুলো উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের চার পেসার। ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবি। তারপর নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই। সাবেকরা তুলোধুনো করে বাবর-রিজওয়ানদের সম্মানকে মিশিয়ে দিলেন মাটির সঙ্গে! সেখান থেকেই পরিশ্রম, দৃঢ়তা ও আত্মবিশ্বাসে যেন বদলে যাওয়া পাকিস্তান। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে টেস্টে সিরিজে উড়িয়ে দেওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ২২ বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের মধুর স্বাদ পেল তারা।

পুরো সিরিজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেন ২০০২ সালে জেতা সেই ঐতিহাসিক সিরিজের প্রতিচ্ছবি। অস্ট্রেলিয়া সফরে যেটি ছিল পাকিস্তানের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ। সেবারও মেলবোর্নে দারুণ জয়ে সিরিজ শুরু করেছিল অজিরা। তারপর টানা দুই ম্যাচে ওয়াকার-ওয়াসিম-শোয়েবদের তোপে বিধ্বস্ত হয়েছিল পন্টিং-ম্যাকগ্রারা।

২২ বছর পর সেই মেলবন্ধন! মেলবোর্নেই প্রথম ওয়ানডেতে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইনের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে পুড়েছে অজিরা।

পাকিস্তানের পেস চতুষ্টয়ের তোপের মুখে আজ শেষ ম্যাচেও এলোমেলো হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। অজিদের সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের চার পেসার—শাহিন ও নাসিম তিনটি করে, রউফ দুটি ও হাসনাইন নেন একটি উইকেট। পুরো সিরিজের চিত্রই তো ছিল এমন। প্রথম ওয়ানডেতে প্যাট কামিন্সের দৃঢ়তায় হারতে হারতে বেঁচে গিয়েছিল তারা।

সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়েছে ২৭টি, একটি রানআউট ছাড়া ২৬টি উইকেটই নিয়েছেন পাকিস্তানের চার পেসার। এ যেন কিছুটা বিস্ময়ও! পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন নজির আগে কখনো ঘটেনি, সিরিজের সবগুলো উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা। এর মধ্যে সিরিজ সেরা রউফ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ১০ উইকেট। তাঁর গতির তোপে যেন ২০০২ সালের শোয়েব আখতারের স্মৃতি ফেরে অস্ট্রেলিয়ায়। শাহিন ৮টি, নাসিম ৫টি ও হাসনাইন শিকার করেছেন ৩ উইকেট।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে কোনো দলের পেসারদের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারও এটি। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত