সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে আইপিএলের বাকি অংশে খেলতে অনাপত্তি দেওয়ার বিষয়ে বিসিবি ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন আকরাম খান। 

বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আইপিএলে খেলতে মোস্তাফিজ কিছুদিন আগেই আবেদন করেছে। গতকাল সাকিবও এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। বোর্ড তাদের ব্যাপারে ইতিবাচক আছে। মনে হয় না সমস্যা হবে। ১ সেপ্টেম্বরের বোর্ড সভায় এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’ 

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের বাকি অংশ শুরু হবে। সাকিব–মোস্তাফিজের আইপিএলে খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও ইংল্যান্ড সিরিজ স্থগিত হওয়ায় দুজনের খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবেদন করার পর বিসিবিও ইতিবাচক থাকায় নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে দুজনেই ছুটতে পারেন আরব আমিরাতে। অক্টোবর–নভেম্বরে আরব আমিরাত ও ওমানেই হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে আরব আমিরাতের কন্ডিশনে আগে সাকিব–মোস্তাফিজ আইপিএলে খেললে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে কাজে আসবে। এটিকেই বড় করে দেখছেন আকরাম খান, ‘আমাদের জন্য বড় সুযোগ। আমাদের  ক্রিকেটাররা যদি আইপিএলের মতো সর্বোচ্চ মানের টুর্নামেন্টে খেলতে পারে, সেখানে যদি তারা ভালো করতে পারে তাহলে দল উপকৃত হবে। ওই কন্ডিশনেই আমরা (আরব আমিরাত) বিশ্বকাপ খেলব।’

১৭ মাস আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে তামিমকে দেখা না গেলেও বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক যে বিশ্বকাপের দলে থাকছেন, তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন আকরাম খান। তিনি বলেছেন,‘তামিমের সমস্যা হচ্ছে চোট। সেটি নিয়ে ফিজিওরা কাজ করছে। আল্লাহর রহমতে যদি ঠিক হয়ে যায়, সে তো প্রমাণিত ক্রিকেটার। ওর সেরে ওটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে আগামী বোর্ড সভায় কিংবা এর আগে চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন আকরাম খান। চুক্তিতে নতুন কেউ সংযুক্ত হবে কিনা এমন প্রশ্নে আকরাম বলেছেন, ‘গত তিন-চার বছর যেভাবে আমরা (চুক্তি) করেছি সেভাবেই হবে। পারফরম্যান্স অবশ্যই বিবেচনা করা হবে এবং ধারাবাহিকতাটাও গুরুত্বপূর্ণ। যারা ধারাবাহিক আছে এবং খেলছে সেটা একটা বাড়তি পাওয়া। সব চিন্তা ভাবনা করেই কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করব।’

আকরাম খান কথা বলেছেন বিশ্বকাপের আগে ওমানের ক্যাম্প, ক্রিকেটারদের ক্লান্তি নিয়েও। বলেছেন, ‘ক্রিকেটাররা অনেক ক্লান্ত, গত সাত-আট মাসে ওরা অনেক ক্রিকেট খেলেছে। ক্যাম্পের ব্যাপারটা পুরোপুরি নির্ভর করছে টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর। খুব সম্ভবত ওরা (ক্রিকেটাররা) একটা বিরতি চাইবে। যেহেতু ওখানে গিয়েও বায়ো-বাবলের ব্যাপার আছে।’

শুধু টি–টোয়েন্টি নয়, বাংলাদেশ তিন সংস্করণেই উন্নতি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আকরাম খান, ‘তিন সংস্করণ নিয়েই কাজ করছি। এটা ইতিবাচক যে আমরা কিছু ভালো বোলার-ব্যাটসম্যান পেয়েছি। ফিল্ডিংও এখন চোখে পড়ার মতো হচ্ছে। তবু আমাদের উন্নতির আরও সুযোগ আছে। এখন যেভাবে এগোচ্ছি সেভাবে যদি চলে ভবিষ্যতে আরও ভালো ক্রিকেটার তুলে আনা সম্ভব।’