Ajker Patrika

‘ভারত সাবধান, তেড়েফুঁড়ে আসছে বাংলাদেশ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬: ০৩
‘ভারত সাবধান, তেড়েফুঁড়ে আসছে বাংলাদেশ’

বাংলাদেশ দলের সাবেক কোচ শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কুশলাদি বিনিময় শেষ না হতেই নিজ থেকে বললেন, ‘গ্রেট উইন’। কোন ‘উইনে’র কথা বলছেন, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। পাকিস্তানকে পাকিস্তানের মাঠেই বাংলাদেশ যেভাবে ধবলধোলাই করে এসেছে, সেটি শুধু ক্রিকেটীয় দৃষ্টিতেই ভারতের ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বড় করে দেখতেন। তাঁদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কোনো প্রতিপক্ষ নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে, সেটি গুরুত্ব তো দিতেই হয়। তবে ভারত আরও একটি কারণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আতশি কাচ দিয়ে দেখছে। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে কদিন পর ভারতে খেলতে যাবে বাংলাদেশ। টেস্টে দুই দলের লড়াইয়ের পরিসংখ্যান যতই একপেশে থাক, এবার বাংলাদেশকে যে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না, সেটি কদিন আগে সুরেশ রায়না ভারতীয় দলকে সতর্ক করেছেন। আরেক সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার দীপ দাশগুপ্ত অপেক্ষায় একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজের। আজকের পত্রিকাকে কাল তিনি বললেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ভালোই হবে সিরিজটা। বাংলাদেশের একটি ইতিবাচক দিক, তারা একটি সিরিজ জিতে এসেছে। পাকিস্তান ভালো দল, তাদের ওদেরই বাড়িতে গিয়ে হারানো, তা-ও দেশের বাইরে গিয়ে। সে হিসেবে (ভারতের বিপক্ষে সিরিজ) ইন্টারেস্টিং হওয়াই উচিত।’ 

শ্রীরামও মনে করেন, এবার ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাঠে বাংলাদেশ অসহায় আত্মসমর্পণ করবে না, ‘বলতে পারি, এটা দারুণ একটা সিরিজ হবে। ভারত অনেক অভিজ্ঞ এবং ঘরের মাঠে দুর্দান্ত দল। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এটি অন্য রকম চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।’ 

শ্রীরাম ঘরের মাঠে ভারতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের যে কথাটা বললেন, দীপ দাশগুপ্ত মনে করেন, মূলত সফরকারী ব্যাটাররা এতটাই সংগ্রাম করেন, ওটাই স্বাগতিকদের সঙ্গে পার্থক্য গড়ে দেয়। বললেন, ‘দেখুন, বোলাররা ভালো করেছে, পাকিস্তানে কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান করেছে। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ২৫০ রান অন্তত করতে হবে। শুধু বাংলাদেশের কথাই বলছি না, এখানেই অনেক দলের সমস্যা হয়ে যায় ভারতের মাঠে, রান অতটা বাড়ে না, যতটা দরকার।’ ব্যাটারদের কথা বললেও দীপের বিশেষ নজর কেড়েছে বাংলাদেশের তরুণ পেসাররা। ‘তিন-চার বছর ধরে বলছি, নতুন প্রজন্মের যে পেস বোলাররা বেরিয়ে আসছে বাংলাদেশে, ওরা খুবই ভালো। হাসান মাহমুদ তো আজ থেকে না, এশিয়া কাপেও খেলেছিল, তখন থেকে সে খুব ভালো বোলার। তিন-চার বছর ধরে জোরে বোলাররাই ভালো করছে’—বলছিলেন দীপ। 

বাংলাদেশের বর্তমান পারফরম্যান্স দেখে ভারতের সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক ও বিশ্লেষক গৌতম ভট্টাচার্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভালোভাবে তৈরি হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন, ‘আমি যদি গৌতম গম্ভীর হতাম, অধিনায়ক ও ছেলেদের জড়ো করে খরগোশ আর কচ্ছপের গল্পটা বলতাম। বলতাম যে আমার মনে হচ্ছে, খুব আত্মতুষ্টিতে ভুগছ! দুজন ক্রিকেটার ইতিমধ্যে বলেছেন, দলিপ ট্রফি খেলবেন না—রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি; বোর্ড সেটা মেনেও নিয়েছে। কিন্তু তারা যেন একটু ভেবে দেখে, সবশেষ কবে লম্বা সংস্করণে খেলেছে। যত দূর মনে পড়ছে, মার্চ মাসে সবশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তারা লম্বা সংস্করণের ম্যাচ খেলেছে, এরপর আর খেলেনি।’ 

পাকিস্তানের বিপক্ষে সাফল্য আর বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সামনে রেখে রোহিতদের সতর্কবার্তাই দিলেন গৌতম, ‘তারা যদি মনে করে যে এত লম্বা বিরতিতেও বাংলাদেশের বিপক্ষে নেমেই রান করতে পারবে, তাহলে ভালো কথা। কিন্তু এই বাংলাদেশ নতুন বাংলাদেশ এবং এমন একটা রাজনৈতিক আবহ রয়েছে, তারা আরও বেশি তেড়েফুঁড়ে আসছে। এখন যদি তোমাদের এখনো (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জেতার হানিমুন না শেষ হয়, তাহলে তোমরা কিন্তু পস্তাবে।’ 

আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দল সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলবে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে, আর কানপুরে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ২৭ সেপ্টেম্বর। দুটি ভেন্যুর উইকেট-কন্ডিশন নিয়ে দীপের বিশ্লেষণ, ‘চেন্নাইয়ে সাধারণত যেমন উইকেট হয়, সে রকমই থাকবে, আলাদা কিছু করবে না। যে রকমই টার্ন চেন্নাইতে দেখা যায়, সে রকম টার্ন দেখা যাবে। আর বাউন্সও থাকবে চেন্নাইয়ে। কানপুরের যে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়াম, ওটার উইকেটে বল একটু নিচে থাকে সাধারণত।’ 

টেস্টের পর ৬,৯ ও ১২ অক্টোবর ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত