Ajker Patrika

বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে বাঁচালেন জাকের-মিরাজ

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৪: ২৬
বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাংলাদেশকে বাঁচালেন জাকের-মিরাজ

টেস্টে দিনের শুরুতে বাংলাদেশের কাঁপাকাঁপি খুবই পরিচিত দৃশ্য। মিরপুরে আজ তৃতীয় দিনের সকালেও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি। লাঞ্চের আগেই বাংলাদেশের গুটিয়ে যাওয়ার তুমুল আশঙ্কা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাগতিকদের ত্রাতা হয়ে কাজ করছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। তাঁদের প্রতিরোধেই বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াল বাংলাদেশ।

২০২ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ গতকাল দ্বিতীয় দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে যায়। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ দুই  দিনেই হেরে বসে কি না, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। সেখান থেকে ম্যাচটা তৃতীয় দিনে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। আজ তৃতীয় দিনের সকালেও দেখা যায় উইকেট হারানোর মিছিলে ব্যস্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। কতক্ষণ টিকবে বাংলাদেশ, এটাই তখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। তবে জাকের-মিরাজ যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুললেন, তাতে ইনিংস হারের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সপ্তম উইকেটে ৮৯ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়েছেন তাঁরা।৬ উইকেটে ২০১ রানে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গেল বাংলাদেশ। কত রানের লিড স্বাগতিকেরা নিতে পারে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

২৭.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০১ রানে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিনের খেলা শুরু হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পরই কাগিসো রাবাদার জোড়া ধাক্কা। ৩২তম ওভারের প্রথম বলে মাহমুদুল হাসান জয়কে ফেরান রাবাদা। ৯২ বলে ৫ চারে জয় করেন ৪০ রান। তাতে ভেঙে যায় চতুর্থ উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও জয়ের ৭৪ বলে ৪৬ রানের জুটি। একই ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিককেও ফেরান রাবাদা। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল কীভাবে স্টাম্পে আঘাত হানল, সেটা ভেবেই যেন অবাক মুশফিক। ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা মুশফিক আউট হয়েছেন ৩৩ রান করে। ৩৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৩ চার। 

ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা লিটন দাসও উইকেটে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৫ বলে ১ চারে ৭ রান করেছেন তিনি। তাঁর আউটে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এইডেন মার্করাম দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে কেশব মহারাজকে ডিফেন্স করতে গিয়ে পরাস্ত হয়েছেন লিটন। উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনসহ দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকেই জোরালো আবেদন করেন। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন মার্করাম। আল্ট্রা এজে স্পাইক ধরা পড়লে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় লিটনকে।  

৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের স্কোর পরিণত হয় ৬ উইকেটে ১১২ রানে। ইনিংস পরাজয় তখন চোখ রাঙাচ্ছিল প্রবলভাবে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের উপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা যেভাবে বোলিং করতে থাকেন, তাতে টিকে থাকাই অনেক কঠিন মনে হচ্ছিল। এমন অবস্থাতে বিচলিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গেছেন জাকের ও মিরাজ। কোনো রকম তাড়াহুড়ো করেননি তাঁরা। লাঞ্চের আগে এই জুটি খেলেছেন ১৭২ বল। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। ১০৭ বল খেলে ৫৫ রানে অপরাজিত বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। জাকের ব্যাটিং করছেন ৩০ রানে।

 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত