ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে নিজেদের মাঠে ধবলধোলাই হয়েছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও শান মাসুদ ছিলেন অচেনা। সাবেকদের কড়া সমালোচনার তীরও গেছে তাঁদের দিকে বেশি। সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতেই যেন মুলতানে রান বন্যার দিন উদ্যাপন করলেন দুজনে।
শফিক-মাসুদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩২৮ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। সৌদ শাকিল ৩৫ রানে অপরাজিত, নাসিম শাহ আছেন রানের খাতা খোলার অপেক্ষায়। তার আগে রেকর্ড বুকে ঝড় তুলেছে মাসুদ-শফিকের জুটি।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে অনায়াসে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। শুরুটা অবশ্য প্রত্যাশামতো ছিল না। দলীয় ৮ রানে গাস আটকিনসনের তোপেরমুখে উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব (৪)।
দ্বিতীয় উইকেটেই শুরুর ধাক্কা সামলে বড় সংগ্রহের ভিত পায় পাকিস্তান। দুজনে গড়েন ২৫৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। টেস্টে মুলতানে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। সব মিলিয়ে রানের দ্বিতীয় সেরা জুটি। ২০০৪ সালে বীরেন্দের শেহবাগ ও শচীন টেন্ডুলকার পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়েছিলেন ৩৩৬ রানের জুটি।
ইনিংসের ৬০তম ওভারে শফিককে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রুক-থ্রু এনে দেন আটকিনসন। তার আগে তুলে নেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৮৪ বলে করেছেন ১০২ রান। ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। অথচ বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ৪ ইনিংস মিলিয়ে শফিক রান করেছেন ৪২। অজস্র সমালোচনার পরই যেন ফিরলেন স্বরূপে।
দলীয় ২৬১ রানে ফেরেন শফিক। ২৬৩ রানে ফিরেছেন মাসুদও। পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট দেখে মনে হতে পারে, খেলেছেন যেন কোনো ওয়ানডে ম্যাচ! চার বছর পর মাসুদও পেয়েছেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। ৬৩তম ওভারে মাসুদ ফেরেন ১৭৭ বলে ১৫১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। মেরেছেন ১৩টি চার ও দুটি ছক্কা। সর্বশেষ টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০২০ সালের আগস্টে।
শফিক-মাসুদের জুটিতে ওভারপ্রতি রান ওঠে ৪.৫০। জুটিতে ২০০ এর বেশি রান তুলেছেন, ওভারপ্রতি বেশি হারে রান তোলার রেকর্ড তালিকায় এটি জায়গা করেছে তিন নম্বরে। ২০০৬ সালে লাহোরে ভারতের বিপক্ষে মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনিস খান ৪.৯০ এবং একই বছর ফয়সালাবাদে তাদের বিপক্ষে ৪.৭১ হারে রান তোলেন এই দুই ব্যাটার।
দ্বিতীয় উইকেটে টেস্টে পাকিস্তানের চতুর্থ সেরা জুটিও মাসুদ-শফিকের ২৫৩। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জহির আব্বাস ও মুশতাক মোহাম্মদ দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছিলেন ২৯১ রানের সর্বোচ্চ জুটি। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮৭ রানের জুড়ে গড়েন মোহাম্মদ হাফিজ ও আজহার আলী। ১৯৯৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইজাজ আহমেদ ও সায়েদ আনোয়ার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৬২ রান তুলেছিলেন।
জ্যাক লিচের ঘূর্ণি ফাঁদে ফেরেন মাসুদ। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাসুদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৫৭। দলনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার ঝড় গেছে তাঁর ওপর দিয়েই। চতুর্থ উইকেটে বাবর ও শাকিল গড়েন ৬১ রানের আরেকটি জুটি। ৩০ রানে ক্রিস ওকসের শিকার হন বাবর।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে নিজেদের মাঠে ধবলধোলাই হয়েছিল পাকিস্তান। সেই সিরিজে ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ও শান মাসুদ ছিলেন অচেনা। সাবেকদের কড়া সমালোচনার তীরও গেছে তাঁদের দিকে বেশি। সেই ক্ষত কাটিয়ে উঠতেই যেন মুলতানে রান বন্যার দিন উদ্যাপন করলেন দুজনে।
শফিক-মাসুদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে পাকিস্তান। প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩২৮ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা। সৌদ শাকিল ৩৫ রানে অপরাজিত, নাসিম শাহ আছেন রানের খাতা খোলার অপেক্ষায়। তার আগে রেকর্ড বুকে ঝড় তুলেছে মাসুদ-শফিকের জুটি।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে অনায়াসে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ। শুরুটা অবশ্য প্রত্যাশামতো ছিল না। দলীয় ৮ রানে গাস আটকিনসনের তোপেরমুখে উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার সায়েম আইয়ুব (৪)।
দ্বিতীয় উইকেটেই শুরুর ধাক্কা সামলে বড় সংগ্রহের ভিত পায় পাকিস্তান। দুজনে গড়েন ২৫৩ রানের দুর্দান্ত এক জুটি। টেস্টে মুলতানে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। সব মিলিয়ে রানের দ্বিতীয় সেরা জুটি। ২০০৪ সালে বীরেন্দের শেহবাগ ও শচীন টেন্ডুলকার পাকিস্তানের বিপক্ষে গড়েছিলেন ৩৩৬ রানের জুটি।
ইনিংসের ৬০তম ওভারে শফিককে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্রুক-থ্রু এনে দেন আটকিনসন। তার আগে তুলে নেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। ১৮৪ বলে করেছেন ১০২ রান। ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ২টি ছক্কা। অথচ বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ৪ ইনিংস মিলিয়ে শফিক রান করেছেন ৪২। অজস্র সমালোচনার পরই যেন ফিরলেন স্বরূপে।
দলীয় ২৬১ রানে ফেরেন শফিক। ২৬৩ রানে ফিরেছেন মাসুদও। পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট দেখে মনে হতে পারে, খেলেছেন যেন কোনো ওয়ানডে ম্যাচ! চার বছর পর মাসুদও পেয়েছেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। ৬৩তম ওভারে মাসুদ ফেরেন ১৭৭ বলে ১৫১ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। মেরেছেন ১৩টি চার ও দুটি ছক্কা। সর্বশেষ টেস্টে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০২০ সালের আগস্টে।
শফিক-মাসুদের জুটিতে ওভারপ্রতি রান ওঠে ৪.৫০। জুটিতে ২০০ এর বেশি রান তুলেছেন, ওভারপ্রতি বেশি হারে রান তোলার রেকর্ড তালিকায় এটি জায়গা করেছে তিন নম্বরে। ২০০৬ সালে লাহোরে ভারতের বিপক্ষে মোহাম্মদ ইউসুফ ও ইউনিস খান ৪.৯০ এবং একই বছর ফয়সালাবাদে তাদের বিপক্ষে ৪.৭১ হারে রান তোলেন এই দুই ব্যাটার।
দ্বিতীয় উইকেটে টেস্টে পাকিস্তানের চতুর্থ সেরা জুটিও মাসুদ-শফিকের ২৫৩। ১৯৭১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জহির আব্বাস ও মুশতাক মোহাম্মদ দ্বিতীয় উইকেটে গড়েছিলেন ২৯১ রানের সর্বোচ্চ জুটি। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৮৭ রানের জুড়ে গড়েন মোহাম্মদ হাফিজ ও আজহার আলী। ১৯৯৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইজাজ আহমেদ ও সায়েদ আনোয়ার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৬২ রান তুলেছিলেন।
জ্যাক লিচের ঘূর্ণি ফাঁদে ফেরেন মাসুদ। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাসুদের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৫৭। দলনেতা হিসেবে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার ঝড় গেছে তাঁর ওপর দিয়েই। চতুর্থ উইকেটে বাবর ও শাকিল গড়েন ৬১ রানের আরেকটি জুটি। ৩০ রানে ক্রিস ওকসের শিকার হন বাবর।
খেলা, ক্রিকেট, পাকিস্তান ক্রিকেট, ওয়ানডে ক্রিকেট, ফখর জামান
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং সেটাপে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এলেন প্রায় ১৫ বছর পর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘদিন পর এলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই কোচিং করাচ্ছেন সালাহউদ্দিন। এছাড়াও কোনো ক্রিকেটার ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে সমস্যায় পড়লে তাঁকে নির্দ্বিধায় সাহায্য করেন সালাহউদ্দিন...
২ ঘণ্টা আগেঅ্যান্টিগায় আগামীকাল শুরু বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট। সেই সিরিজের আগে দলীয় কার্যক্রম যেমন চলছে, তেমনি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের মনোরম পরিবেশে সময়টা উপভোগ করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সামাজিক মাধ্যমে ঢুঁ মারলেই দেখা যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাগরপাড়ের ছবি...
৩ ঘণ্টা আগে