আরও সুযোগ-সুবিধা চান হাথুরু

ক্রীড়া ডেস্ক
Thumbnail image

পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের ছন্দ ভারত গিয়ে পথ হারাল। ধবলধোলাই তো হলোই, দুই দিনের কম সময়ে কানপুর টেস্ট অসহায় আত্মসমর্পণ যেন খানিকটা বেশি অবাক করেছে। অন্তত দুই দিন খেলা হয়নি, তারপরও হেরে যাওয়া তালিকায় কানপুর টেস্ট অষ্টম। এই টেস্টে খেলা হয়নি আড়াই দিনের বেশি। এরপরও এমন হার, মানতে পারছেন না কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। সমর্থকদের কাছে সে হার তো অষ্টম আশ্চর্যই মনে হওয়ার কথা!

একটু সহজ করে ভাবলে টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেও কানপুর টেস্টে ফলের পক্ষের লোকসংখ্যা কমই পাওয়া যেত। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করে রোহিত শর্মারা দেখালেন বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁদের ক্রিকেটীয় পার্থক্য। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৫২ ওভারে ৩৮৩ রান করেছে ভারত। ওভারপ্রতি রান তোলার হার ৭.৩৬। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দুই ইনিংস মিলিয়ে ওভারপ্রতি কোনো দলের রান তোলার সর্বোচ্চ হার এটি।

জয়ের প্রেষণায় ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ‘বাজবল’ টনিকও হার মানল জয়েসওয়ালদের তাণ্ডবের কাছে। ২০০৫ সালে কেপ টাউনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওভারপ্রতি ৬.৮০ হারে রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২২ সালে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড তুলেছিল ৬.৭৩ হারে। ম্যাচ শেষে তাই বাংলাদেশ কোচ হাথুরুসিংহে অকপটে স্বীকার করলেন, ‘এই হার আমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছে। ভারতের এমন অ্যাপ্রোচ আমরা আগে দেখিনি। রোহিত ও ওর দলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, এমন অ্যাপ্রোচে ম্যাচ জয়ের জন্য। আমাদের পারফরম্যান্স মেনে নেওয়া কঠিন।’ 

মুমিনুল হকের ১৩ তম টেস্ট সেঞ্চুরির (১০৭) কল্যাণে প্রথম ইনিংসে টেনেটুনে ২৩৩ রান তোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমান ইসলামের ফিফটির (৫০) পরও বুমরা-অশ্বিনদের অসাধারণ বোলিংয়ের মুখে ১৪৬ রানে থেমে যায় সফরকারীদের ইনিংস। বোলিংয়ের অর্জন ব্যাটারদের ধসে অনেকবারই তো ভেসে গেছে বাংলাদেশের। এবারও হলো তাই।

সংবাদ সম্মেলনে হারের ব্যাখ্যায় সেই ব্যাটিং ব্যর্থতাই টানলেন হাথুরুসিংহে, ‘এই সিরিজে ব্যাটিং খুব হতাশাজনক। সর্বশেষ সিরিজে কয়েকজন ভালো খেলেছিল। তবে আমরা গত কয়েক সিরিজ ধরেই আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যাট করতে পারছি না। এমন ব্যাটিংয়ের আরেক কারণ হতে পারে প্রতিপক্ষের বোলিং কোয়ালিটি। ভারত খুবই ভালো দল। আমরা শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। সেরা দলের বিপক্ষে খেলাগুলো এমনই হয়।’

ভারত ও বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে দক্ষতার ব্যাপক পার্থক্য দেখছেন হাথুরু। বললেন সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়ানোর কথা, ‘ভারত আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে। স্কিল লেভেলেও অনেক পার্থক্য চোখে পড়েছে। আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। ২০১৭ সালে ভারতে এসেছিলাম, এর চেয়ে এখন আরও উন্নত। আমরাও উন্নতি করছি। এখনো অনেক কিছু করার আছে। ভারতের সিস্টেম, সুযোগ-সুবিধারও উন্নতি হয়েছে। সঠিক সাপোর্ট না পেলে আমাদের উন্নতি করা কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

দেওয়ানি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে একগুচ্ছ সুপারিশ কমিশনের

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত