রানা আব্বাস, নিউইয়র্ক থেকে
ম্যাচের পর দুই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর রোহিত শর্মা অপেক্ষা করছিলেন সম্প্রচারকারী কর্তৃপক্ষকে সাক্ষাৎকার দিতে। ওই মুহূর্তে সাকিব আল হাসান প্রায় মাঝমাঠ থেকে ছুটে এলেন রোহিতের দিকে। ভারতীয় অধিনায়ককে জড়িয়ে ধরলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। দুজন মেতে উঠলেন খোশগল্পে।
সাকিব ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজারকে দিয়ে একটা ছবিও তোলালেন। এক ফ্রেমে সাকিব-রোহিত। এক ফ্রেমে গত ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাত্র দুজন খেলোয়াড়ই আছেন এই বিশ্বকাপে, যাঁদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে প্রতিটি বিশ্বকাপে খেলার। মাঠের বাইরে সাকিবের হাসিখুশি ছবি অবশ্য তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স তুলে ধরে না। গতকাল নিউইয়র্কের আলোচিত নাসাউ স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খুব বাজেভাবে হেরেছে ভারতের কাছে। নেহাতই একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচে জয়-পরাজয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলছে, সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
নতুন স্টেডিয়াম, নতুন উইকেট। যতই গা গরমের ম্যাচ হোক, ভারত টস জিতে বোলিং না নিয়ে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুই বড় স্কোর গড়তে। বাংলাদেশ তাদের আদৌ বড় কোনো লক্ষ্য দিতে পারবে কি না, এই সংশয়ে ভারতের আগে ব্যাটিং নেওয়া পাহাড়সম স্কোর গড়তে। ভারত সেটা শতভাগ করতে না পারলেও দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আর তানভীর ইসলামকে আচ্ছা পিটুনি দিয়ে স্কোরটা ৫ উইকেটে ১৮২ পর্যন্ত নিতে পেরেছে।
৩২ বলে ৫৩ রান করা ঋষভ পন্ত অবসর না নিলে বাংলাদেশের বোলারদের আরও দুর্ভোগ ছিল। আইপিএলে ব্যর্থ হার্দিক পান্ডিয়া ২৩ বলে ৪০ করে জানান দিলেন, বিশ্বকাপ মঞ্চে এসে পড়েছেন তিনি। নতুন ড্রপ-ইন উইকেটে বাউন্স থাকলেও ভারতীয় ব্যাটারদের প্রস্তুতি নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। নতুন আউটফিল্ডে হালকা ধুলো উড়লেও নিউইয়র্কের মাঠ নিয়ে চিন্তার বেশি কিছু নেই।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশকে কখনো মনে হয়নি, তারা ম্যাচটা জিততে নেমেছে। অর্শদীপ সিংয়ের অফ স্টাম্পের বাইর হালকা বাঁক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল অহেতুক ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিলেন সৌম্য সরকার কোনো রান না করেই। ছন্দ হারিয়ে ফেলা লিটন দাস (৬) ধুঁকতে ধুঁকতে ফিরলেন ওই অর্শদীপের ভেতরে ঢোকা বল কাট করতে গিয়ে। ছন্দ হারিয়ে ফেলা আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত কাল কোনো রানই করতে পারেননি।
সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহর ষষ্ঠ উইকেটে ৭০ রানের জুটিই বাংলাদেশ দলের ইনিংসে একমাত্র উল্লেখযোগ্য দিক। সাকিব জসপ্রিত বুমরার উইকেটের পেছনে পন্তের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করতে পারলেন ৩৪ বলে ২৮ রান। ২৮ বলে ৪০ রান করা মাহমুদউল্লাহ ছাড়া এই ম্যাচ থেকে বাকি ব্যাটাররা তেমন ঝালিয়েই নিতে পারলেন না। মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাকি সবারই স্ট্রাইকরেট ১০০-এর নিচে। এই ব্যাটিং আদৌ বর্তমান সময়ের টি-টোয়েন্টির সঙ্গে কি মানানসই? ২০ ওভারে একটা দলের ১১ জন মিলে করছে ১২২ রান। প্রস্তুতি ম্যাচের ফল নিয়ে চিন্তা না করলেও খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ব্যাটিং দুর্দশার মধ্যে আরেক দুঃসংবাদ, হাতে চোট পেয়েছেন শরীফুল ইসলাম। তাসকিন আহমেদকে নিয়ে অনিশ্চয়তা, এখন শরীফুলের চোটও যদি গুরুতর হয়, ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরীক্ষাটা আরও কঠিন হবে নিশ্চিত।
ম্যাচের পর দুই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর রোহিত শর্মা অপেক্ষা করছিলেন সম্প্রচারকারী কর্তৃপক্ষকে সাক্ষাৎকার দিতে। ওই মুহূর্তে সাকিব আল হাসান প্রায় মাঝমাঠ থেকে ছুটে এলেন রোহিতের দিকে। ভারতীয় অধিনায়ককে জড়িয়ে ধরলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। দুজন মেতে উঠলেন খোশগল্পে।
সাকিব ভারতীয় দলের মিডিয়া ম্যানেজারকে দিয়ে একটা ছবিও তোলালেন। এক ফ্রেমে সাকিব-রোহিত। এক ফ্রেমে গত ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাত্র দুজন খেলোয়াড়ই আছেন এই বিশ্বকাপে, যাঁদের খেলার অভিজ্ঞতা আছে প্রতিটি বিশ্বকাপে খেলার। মাঠের বাইরে সাকিবের হাসিখুশি ছবি অবশ্য তাঁর মাঠের পারফরম্যান্স তুলে ধরে না। গতকাল নিউইয়র্কের আলোচিত নাসাউ স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খুব বাজেভাবে হেরেছে ভারতের কাছে। নেহাতই একটা প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচে জয়-পরাজয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলছে, সেটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়।
নতুন স্টেডিয়াম, নতুন উইকেট। যতই গা গরমের ম্যাচ হোক, ভারত টস জিতে বোলিং না নিয়ে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুধুই বড় স্কোর গড়তে। বাংলাদেশ তাদের আদৌ বড় কোনো লক্ষ্য দিতে পারবে কি না, এই সংশয়ে ভারতের আগে ব্যাটিং নেওয়া পাহাড়সম স্কোর গড়তে। ভারত সেটা শতভাগ করতে না পারলেও দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আর তানভীর ইসলামকে আচ্ছা পিটুনি দিয়ে স্কোরটা ৫ উইকেটে ১৮২ পর্যন্ত নিতে পেরেছে।
৩২ বলে ৫৩ রান করা ঋষভ পন্ত অবসর না নিলে বাংলাদেশের বোলারদের আরও দুর্ভোগ ছিল। আইপিএলে ব্যর্থ হার্দিক পান্ডিয়া ২৩ বলে ৪০ করে জানান দিলেন, বিশ্বকাপ মঞ্চে এসে পড়েছেন তিনি। নতুন ড্রপ-ইন উইকেটে বাউন্স থাকলেও ভারতীয় ব্যাটারদের প্রস্তুতি নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। নতুন আউটফিল্ডে হালকা ধুলো উড়লেও নিউইয়র্কের মাঠ নিয়ে চিন্তার বেশি কিছু নেই।
১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশকে কখনো মনে হয়নি, তারা ম্যাচটা জিততে নেমেছে। অর্শদীপ সিংয়ের অফ স্টাম্পের বাইর হালকা বাঁক নিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল অহেতুক ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিলেন সৌম্য সরকার কোনো রান না করেই। ছন্দ হারিয়ে ফেলা লিটন দাস (৬) ধুঁকতে ধুঁকতে ফিরলেন ওই অর্শদীপের ভেতরে ঢোকা বল কাট করতে গিয়ে। ছন্দ হারিয়ে ফেলা আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত কাল কোনো রানই করতে পারেননি।
সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহর ষষ্ঠ উইকেটে ৭০ রানের জুটিই বাংলাদেশ দলের ইনিংসে একমাত্র উল্লেখযোগ্য দিক। সাকিব জসপ্রিত বুমরার উইকেটের পেছনে পন্তের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করতে পারলেন ৩৪ বলে ২৮ রান। ২৮ বলে ৪০ রান করা মাহমুদউল্লাহ ছাড়া এই ম্যাচ থেকে বাকি ব্যাটাররা তেমন ঝালিয়েই নিতে পারলেন না। মাহমুদউল্লাহ ছাড়া বাকি সবারই স্ট্রাইকরেট ১০০-এর নিচে। এই ব্যাটিং আদৌ বর্তমান সময়ের টি-টোয়েন্টির সঙ্গে কি মানানসই? ২০ ওভারে একটা দলের ১১ জন মিলে করছে ১২২ রান। প্রস্তুতি ম্যাচের ফল নিয়ে চিন্তা না করলেও খেলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
ব্যাটিং দুর্দশার মধ্যে আরেক দুঃসংবাদ, হাতে চোট পেয়েছেন শরীফুল ইসলাম। তাসকিন আহমেদকে নিয়ে অনিশ্চয়তা, এখন শরীফুলের চোটও যদি গুরুতর হয়, ডালাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের পরীক্ষাটা আরও কঠিন হবে নিশ্চিত।
সব সময় যে আক্রমণভাগের খেলোয়াড়েরা ম্যাচ জেতালেন তেমনটা নয়। দলের প্রয়োজনে ডিফেন্ডাররাও হতে পারেন ‘কান্ডারি’। আজ প্রিমিয়ার লিগে যেমন রহমতগঞ্জের বিপক্ষে সেই ভূমিকায় আবাহনীর শাকিল হোসেন। মুন্সিগঞ্জে তাঁর গোলেই গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠে ছেড়েছে মারুফুল হকের শিষ্যরা।
২০ মিনিট আগেএর চেয়ে ভালো একটা দিন আর কী হতে পারত মনফিলস-সভিতোলিনা দম্পতির জন্য! অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আজ দুজনেই জিতেছেন। আর তাঁদের জেতাটা চলতি টুর্নামেন্টের বড় দুটি অঘটনও!
২ ঘণ্টা আগেজসপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়াকে রেখেই আজ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে ভারত। এই তিন ক্রিকেটার একই সঙ্গে ভারতীয় ওয়ানডে দলে সবশেষ খেলেছিলেন ঘরের মাঠে ২০২৩ বিশ্বকাপে।
৩ ঘণ্টা আগেঅনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে জামাল ভূঁইয়া। প্রিমিয়ার লিগে পাননি কোনো দলও। শেষ পর্যন্ত ডেনমার্কেই ফিরে যান। সেখানে লম্বা সময় ছুটির আমেজে থাকলেও অনুশীলন ছাড়েননি জামাল, ‘এত দিন আমি ডেনমার্কে ছিলাম, ওখানে স্থানীয় পর্যায়ে খেলেছি ক্লাবে অনুশীলন করেছি।’
৪ ঘণ্টা আগে