আহমেদ রিয়াদ, দিল্লি থেকে
চেন্নাই, কানপুর ও গোয়ালিয়রে টানা পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দল এখন দিল্লিতে। আগামীকাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। ভিন্ন ভেন্যুতে নতুন এক ম্যাচে নতুন করেই শুরু করতে চাইবে বাংলাদেশ। কিন্তু চাইলেই কি গোয়ালিয়রে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাজে হারের দুঃস্মৃতি ভুলতে পারবে দল!
গোয়ালিয়রের সেই ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে মাঠে ছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সাবা করিম ও বাংলাদেশের তামিম ইকবাল। শান্তদের পারফরম্যান্সে হতাশ তাঁরাও। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতেও যেন বিরক্তি তামিমের, ‘দেখছেন তো খেলা, কী বলব?’ আর সাবা করিমের কণ্ঠে তো বিস্ময় ঝরে পড়ল, ‘বাংলাদেশের অনেক মেধাবী ক্রিকেটার রয়েছে, কিন্তু তারা কেন যেন নিজেদের মেধার পুরোটা দিতে পারছে না।’ আর তামিম বললেন, ‘ক্রিকেট স্কিলের খেলা। কিন্তু আমাদের কোনো স্কিলই কাজ করেনি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছি।’
গোয়ালিয়র থেকে দিল্লিতে আসার পথে একই চার্টার্ড ফ্লাইটে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা। সেই ফ্লাইটেই ছিলেন তামিম ইকবাল ও সাবা করিম। বিমানবন্দরে কিছুক্ষণের জন্য তাঁরা বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাবা করিম মনে করেন, সমস্যার দ্রুতই সমাধান খুঁজে পেতে হবে বাংলাদেশকে, ‘অনুশীলনের ঘাটতি কিংবা কৌশলগত কোনো ত্রুটির কারণে এটা (সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারা) হতে পারে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। এই পর্যায়ে এসে ব্যক্তিগত অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোনো সিরিজ থাকে না, তখন একজন ক্রিকেটার কীভাবে নিজের প্রস্তুতি নেবে, তা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। ম্যাচের আগের প্রস্তুতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। একজন ক্রিকেটার যখন ছন্দে থাকে, তখন অল্প সময়ের অনুশীলনও কাজে আসে। তবে নিজের স্কিলে উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যক্তিগত প্রস্তুতিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
শান্ত-লিটনরা বরুণ চক্রবর্তী, মায়াঙ্ক যাদব, আর্শদীপ সিংয়ের বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় উইকেট হারিয়েছে। বলের মেরিট না বুঝেই খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হতে ব্যর্থ বলে মনে করেন সাবা, ‘সূর্যকুমার, অভিষেক, হার্দিকরা শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী নয়। কিন্তু তাদের কবজির জোর এবং ব্যাট সুইংয়ের ক্ষমতা বিশেষ প্রস্তুতিরই ফল। বাংলাদেশও এই জায়গায় কাজ করতে পারে। পাওয়ার হিটিংয়ের নিবিড় অনুশীলন করা জরুরি। কোন বলে শট খেলতে হবে, কীভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে, এসব নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। প্রতিপক্ষ বোলারদের লেন্থ পড়ার দক্ষতাও খুব জরুরি।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টেকনিক্যালি ভালো বললেও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতার অভাব দেখছেন সাবা, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন ১৫-২০ রান যথেষ্ট নয়। বড় রান করার লক্ষ্য থাকতে হবে। ক্রিকেট হচ্ছে রানের খেলা। এই জায়গার ঘাটতি পূরণ না হলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে পড়বে।’
হতাশার মধ্যেও আশার দিক—পরের ম্যাচ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, যেটি বাংলাদেশের জন্য বেশ পয়মন্ত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই মাঠেই শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে ২০১৯ সালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকেও ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সুখস্মৃতির এই ভেন্যুতে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
চেন্নাই, কানপুর ও গোয়ালিয়রে টানা পরাজয়ের পর বাংলাদেশ দল এখন দিল্লিতে। আগামীকাল দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। ভিন্ন ভেন্যুতে নতুন এক ম্যাচে নতুন করেই শুরু করতে চাইবে বাংলাদেশ। কিন্তু চাইলেই কি গোয়ালিয়রে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাজে হারের দুঃস্মৃতি ভুলতে পারবে দল!
গোয়ালিয়রের সেই ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে মাঠে ছিলেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সাবা করিম ও বাংলাদেশের তামিম ইকবাল। শান্তদের পারফরম্যান্সে হতাশ তাঁরাও। বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতেও যেন বিরক্তি তামিমের, ‘দেখছেন তো খেলা, কী বলব?’ আর সাবা করিমের কণ্ঠে তো বিস্ময় ঝরে পড়ল, ‘বাংলাদেশের অনেক মেধাবী ক্রিকেটার রয়েছে, কিন্তু তারা কেন যেন নিজেদের মেধার পুরোটা দিতে পারছে না।’ আর তামিম বললেন, ‘ক্রিকেট স্কিলের খেলা। কিন্তু আমাদের কোনো স্কিলই কাজ করেনি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছি।’
গোয়ালিয়র থেকে দিল্লিতে আসার পথে একই চার্টার্ড ফ্লাইটে ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের ক্রিকেটাররা। সেই ফ্লাইটেই ছিলেন তামিম ইকবাল ও সাবা করিম। বিমানবন্দরে কিছুক্ষণের জন্য তাঁরা বাংলাদেশের পারফরম্যান্স নিয়ে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সাবা করিম মনে করেন, সমস্যার দ্রুতই সমাধান খুঁজে পেতে হবে বাংলাদেশকে, ‘অনুশীলনের ঘাটতি কিংবা কৌশলগত কোনো ত্রুটির কারণে এটা (সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারা) হতে পারে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে। এই পর্যায়ে এসে ব্যক্তিগত অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোনো সিরিজ থাকে না, তখন একজন ক্রিকেটার কীভাবে নিজের প্রস্তুতি নেবে, তা কিন্তু অত্যন্ত জরুরি। ম্যাচের আগের প্রস্তুতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। একজন ক্রিকেটার যখন ছন্দে থাকে, তখন অল্প সময়ের অনুশীলনও কাজে আসে। তবে নিজের স্কিলে উন্নতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যক্তিগত প্রস্তুতিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
শান্ত-লিটনরা বরুণ চক্রবর্তী, মায়াঙ্ক যাদব, আর্শদীপ সিংয়ের বলে বড় শট খেলার চেষ্টায় উইকেট হারিয়েছে। বলের মেরিট না বুঝেই খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা উইকেটে থিতু হতে ব্যর্থ বলে মনে করেন সাবা, ‘সূর্যকুমার, অভিষেক, হার্দিকরা শারীরিকভাবে খুব শক্তিশালী নয়। কিন্তু তাদের কবজির জোর এবং ব্যাট সুইংয়ের ক্ষমতা বিশেষ প্রস্তুতিরই ফল। বাংলাদেশও এই জায়গায় কাজ করতে পারে। পাওয়ার হিটিংয়ের নিবিড় অনুশীলন করা জরুরি। কোন বলে শট খেলতে হবে, কীভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে, এসব নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। প্রতিপক্ষ বোলারদের লেন্থ পড়ার দক্ষতাও খুব জরুরি।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টেকনিক্যালি ভালো বললেও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতার অভাব দেখছেন সাবা, ‘টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন ১৫-২০ রান যথেষ্ট নয়। বড় রান করার লক্ষ্য থাকতে হবে। ক্রিকেট হচ্ছে রানের খেলা। এই জায়গার ঘাটতি পূরণ না হলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে পড়বে।’
হতাশার মধ্যেও আশার দিক—পরের ম্যাচ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, যেটি বাংলাদেশের জন্য বেশ পয়মন্ত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই মাঠেই শ্রীলঙ্কাকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এই মাঠে ২০১৯ সালে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকেও ৭ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সুখস্মৃতির এই ভেন্যুতে কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
বুলাওয়েতে পাকিস্তান ২১ ওভার ব্যাটিং করলেই শুরু হয় বৃষ্টি। তারপর আর ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায়নি তারা। ফলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তান শেষ লড়াইয়ের সুযোগ পায়নি। ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে তারা। তিন ওয়ানডের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগ
১০ ঘণ্টা আগেবগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ছিল সুমন খানের তোপ, গতকাল দ্বিতীয় দিন দাগলেন সতীর্থ এনামুল হক। দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দেড় দিনেই ঢাকার কাছে ষষ্ঠ রাউন্ডে ইনিংস ও ১১ রানে হেরেছে রাজশাহী। ইনিংস ব্যবধানে জিতে শিরোপার লড়াই জমিয়ে তুলল ঢাকা। এ ম্যাচে বোনাসসহ ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ছয় ম্যা
১০ ঘণ্টা আগেজেদ্দায় চলছে আইপিএলের নিলাম। সেখানে চমকে দিয়েছেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার, তাঁর দাম উঠেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রূপিতে। তাঁর ভিত্তি মূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। নিলামের টেবিলে ২৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডারকে পেতে বেঙ্গালুরু ও কলকাতার মধ্যে বেশ লড়াই হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর পুরোনো দল কলকাতাই দলে নিয়েছে বড় অঙ্কে। ভেঙ্কাটেশকে দিয়ে
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলের ১৭ তম আসর শুরু ২৯ নভেম্বর থেকে। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস ও রানারআপ মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
১২ ঘণ্টা আগে