মেয়েদের সাফের ফাইনাল আজ

আরও একবার হিমালয় জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১২: ০০
Thumbnail image
মেয়েদের সাফের ফাইনালেআজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। ছবি: বাফুফে

সবুজ পাহাড়ে ঘেরা নেপাল। দূর থেকে ছোট্ট ছোট্ট গ্রামের সারি দেখলে যে কারও প্রাণ ভরে যাওয়ার কথা। যেখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পাহাড়ের চূড়াগুলো থাকে সাদা বরফে ঢাকা। এমন শ্বেত সুন্দর হিমালয়ের বুকে আজ আরেকটি আশাজাগানিয়া ফাইনাল খেলতে নামছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

২০২২ সালে কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় নেপালকে হারিয়ে সাফের সব রং নিজেদের করে নিয়েছিলেন সাবিনারা। এবার একই মঞ্চে একই প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে দ্বিতীয় ট্রফিটা নিয়ে আরও জমকালো উৎসবে মাতবে লাল-সবুজের দেশটি। প্রতিপক্ষ নেপাল হলেও এবারের লড়াইয়ে জেতাটা পিটার বাটলারের দলের জন্য মোটেও সহজ হবে না।

ম্যাচের আগে বাংলাদেশের এই প্রধান কোচকেও কিছুটা চিন্তিত মনে হয়েছে। যদিও তিনি সেই চিন্তা শিষ্যদের গায়ে মাখতে দেননি। ফাইনালের আগে গতকাল মঙ্গলবার প্রস্তুতি নিয়ে পিটার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনো দলের ভেতরে-বাইরে অনেকে সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। এগুলো আমি সূক্ষ্মভাবে টের পাচ্ছি। এটা সাময়িকভাবে আমাকে চিন্তায় ফেললেও দলের মধ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলার সুযোগ নেই। আসলে এবারের ফাইনালটা আমাদের জন্য একটু কঠিনই। নেপাল বেশ গোছানো টিম। তাদের একতাকে সম্মান জানাই। আমাদের দলেও দারুণ কয়েকজন তরুণ খেলোয়াড় আছে, যারা দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে প্রস্তুত। আমি এমন সেরাদের নিয়েই মাঠে নামতে চাই।’

নেপালে পা রাখার পরই দলের ভেতর শুরু হয় গৃহদাহ। গত কদিনে সেই জল কম দূর গড়ায়নি। কোচ বাটলারের কথায় মনে হচ্ছে, এখনো ড্রেসিংরুমে শান্তির সুবাতাস ফেরেনি। সে জন্যই চ্যালেঞ্জটা একটু বেশি। তা ছাড়া নেপালও এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছে। গতবারের ভুল এবার আর করতে চায় না তারা। তা ছাড়া সাফের সামগ্রিক পরিসংখ্যানও নেপালের পক্ষে। এখন পর্যন্ত চারবার এই প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর মধ্যে ২০২২ সালের ফাইনাল বাদে আগের তিনবারই নেপালের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।

স্বাগতিক কোচ রাজেন্দ্রা তামাংও ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে চান না। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে তামাং বললেন, ‘গতবার আমরা তাদের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছিলাম, আমাদের কিছু ট্যাকটিক্যাল ভুল হয়েছিল বলে হেরেছিলাম। আশা করি, এবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না। অতীত অতীতই। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েছি আমরা।’

এবার সাবিত্রা ভান্ডারিকে আটকানোও হবে বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গতবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। এবার পুরোপুরি প্রস্তুত সাবিত্রা। সেমিফাইনালে যার ঝলকে ঝলসে যায় পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। দক্ষিণ এশিয়া থেকে সাবিত্রাই প্রথম নারী ফুটবলার, যিনি ইউরোপের কোনো ক্লাবে খেলছেন। এবার এই তারকাই সাবিনাদের স্বপ্ন জয়ের পথে হতে পারেন অন্যতম বাধা। তাই বলে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়ার মতো দলও বাংলাদেশ নয়। নেপালের কোচ তামাং তেমনটা মেনে নিয়েছেন, ‘ইংলিশ কোচের অধীনে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল, তাদের খেলার ধরন এখন ইংলিশদের মতো। তাই এ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের মাঠে খেলা বলে যদিও সমর্থকদের পাশে পাওয়ার সুবিধা আমাদের পক্ষে থাকবে, কিন্তু টেকনিক্যালি এবং ট্যাকটিক্যালি এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

হয়তো হোমের সুবিধাটা পুরোপুরি পাচ্ছে নেপাল। যেমনটা নেপালের কোচও বললেন। তবে তাদের এ-ও ভুললে চলবে না, চাপটা তাদের ওপরই বেশি থাকবে। দশরথ রঙ্গশালায় উপস্থিত হাজারো সমর্থকের চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে কোনো কারণে কক্ষচ্যুত হলেই সব আশা চুরমার। বাংলাদেশের চাওয়া তো সেটাই!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত