রানা আব্বাস, ঢাকা
দেশের শহর, গ্রামগঞ্জ এখন ঘুমিয়ে পড়েছে কঠোর লকডাউনের মোড়কে। অদৃশ্য ভয়ংকর অণুজীবটির সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতিময় জীবনটা আবারও থমকে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাপিত জীবন আবারও আটকে গেছে চার দেয়ালের মাঝে। নিজেদের আটকে রাখলেও নানা মাধ্যম হয়ে ঠিকই ঘরে ঢুকে পড়ছে মন খারাপের সব খবর।
এই মন খারাপের দিনগুলোয় এক ঝটকা স্বস্তির ‘অক্সিজেন’ হয়ে এসেছে খেলা। রাতভর ইউরো-রোমাঞ্চের পর কাকডাকা ভোরে মিলছে লাতিন ফুটবলের সৌরভ। রঙিন ফুটবল উৎসবের ফাঁকেই চোখ রাখতে হচ্ছে আফ্রিকার দেশটিতে। আট বছর পর জিম্বাবুয়েতে পূর্ণাঙ্গ সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগামীকাল থেকে হারারেতে শুরু হচ্ছে সফরের একমাত্র টেস্ট। এই ক্রীড়া উৎসবটা আরও রঙিন করে তুলেছে উইম্বলডন। অল ইংল্যান্ডের সবুজ কোর্টে শৈল্পিক টেনিসে মুগ্ধ করে চলেছেন রজার ফেদেরার-নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে আরও চেনা-অচেনা সব মুখ।
রোমাঞ্চকর এইসব খেলাই সুযোগ করে দিচ্ছে করোনার দুর্ভোগ সাময়িক ভুলে থাকার। টিভি পর্দায় ইউরোতে চোখ রাখলে মনে হতে পারে, এই পৃথিবীতে কোভিড বলে কিছু নেই! একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষের ওপর এভাবে দিনের দিন ছড়ি ঘোরাবে; জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, অর্থ, প্রযুক্তিতে সব সময়ই এগিয়ে থাকা ইউরোপ কি তা সহজে মেনে নিতে পারে? মানেনি তারা। মহামারির শুরুর দিকে ভুগলেও ধীরে ধীরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় ঠিকই বের করে ফেলেছে। সাধারণ মানুষের কাছে টিকা সহজলভ্য করে জীবনটা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তুলেছে। শূন্য মাঠে খেলা ফিরিয়েছে। ফিরিয়েছে মাঠের ‘প্রাণ’ দর্শকদেরও। এবারের ইউরো ১০ দেশের ১১ শহরে আয়োজন করে তারা আবারও প্রমাণ করেছে অন্য মহাদেশের চেয়ে কেন ব্যতিক্রম ইউরোপ। গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনালের বিরাট কর্মযজ্ঞ শেষে টুর্নামেন্ট এখন চলে এসেছে শেষ চারে। সেমিফাইনাল-ফাইনাল হচ্ছে শুধুই লন্ডনে। বিখ্যাত ওয়েম্বলিতে লড়াইটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড আর ডেনমার্কের মধ্যে।
ঝকঝকে সম্প্রচার, ব্যাপক আয়োজন, রোমাঞ্চকর ফুটবলের সঙ্গে গ্যালারিভর্তি দর্শকদের গর্জন—এই দৃশ্য যতই সহস্র মাইলে থেকে দেখা যাক, এই দেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও হয়তো তা আশাবাদী করে তুলছে। হয়তো মনে মনে তারাও স্বপ্ন দেখছে, এখানেও স্বাভাবিক হয়ে যাবে সবকিছু। কিন্তু সময়টা কবে আসবে—এ নিয়ে যদি বুক চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস, সান্ত্বনা নেওয়ার সুযোগ থাকছে কোপা আমেরিকা থেকে। করোনায় এখনো জবুথবু লাতিন আমেরিকা। মহামারি ধাক্কায় কোপার আয়োজকের নাম পর্যন্ত শেষ মুহূর্তে বদলে গেছে। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন আগ্রহী না হলে এবারও কোপা আমেরিকা হতে পারত স্থগিত। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও খেলোয়াড়–কোচরা অসন্তুষ্ট নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, করোনায় জীবন যখন সংকটে, তখন কীভাবে স্বস্তিতে ফুটবল খেলা সম্ভব?
প্রশ্নটা পেছনে সরিয়ে মেসি–নেইমাররা হাসিমুখেই খেলে যাচ্ছেন। তাঁদের লক্ষ্য অবশ্যই শিরোপা জেতার। এই দুঃসময়ে ফুটবল জাদুতে মানুষকে কিছুটা সময় আনন্দে দেওয়াও মেসি–নেইমারদের উদ্দেশ্য। ইউরোর মতো কোপা আমেরিকাও চলে এসেছে শেষ দিকে। আজ প্রথম সেমিফাইনালে পেরুকে হারিয়ে ব্রাজিল যদি যায় ফাইনালে আর কাল কলম্বিয়া বাধা পেরোতে পারে আর্জেন্টিনা, আরেকটি ‘সুপার ক্লাসিকো’র অপেক্ষা করতেই পারেন ফুটবল রোমান্টিকরা!
সেটিই যদি হয়, ১১ জুলাই তারিখটা ক্যালেন্ডারে গোল করে রাখতেই হবে। সকালে কোপা, রাতে ইউরো। বিকেলে উইম্বলডনের ফাইনাল। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারারে টেস্ট যদি শেষ দিনে ফল দেখে—ফুটবল, টেনিস, ক্রিকেট মিলিয়ে এমন খেলাময় দিন আমাদের জীবনে কবার এসেছে!
দেশের শহর, গ্রামগঞ্জ এখন ঘুমিয়ে পড়েছে কঠোর লকডাউনের মোড়কে। অদৃশ্য ভয়ংকর অণুজীবটির সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গতিময় জীবনটা আবারও থমকে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাপিত জীবন আবারও আটকে গেছে চার দেয়ালের মাঝে। নিজেদের আটকে রাখলেও নানা মাধ্যম হয়ে ঠিকই ঘরে ঢুকে পড়ছে মন খারাপের সব খবর।
এই মন খারাপের দিনগুলোয় এক ঝটকা স্বস্তির ‘অক্সিজেন’ হয়ে এসেছে খেলা। রাতভর ইউরো-রোমাঞ্চের পর কাকডাকা ভোরে মিলছে লাতিন ফুটবলের সৌরভ। রঙিন ফুটবল উৎসবের ফাঁকেই চোখ রাখতে হচ্ছে আফ্রিকার দেশটিতে। আট বছর পর জিম্বাবুয়েতে পূর্ণাঙ্গ সফরে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগামীকাল থেকে হারারেতে শুরু হচ্ছে সফরের একমাত্র টেস্ট। এই ক্রীড়া উৎসবটা আরও রঙিন করে তুলেছে উইম্বলডন। অল ইংল্যান্ডের সবুজ কোর্টে শৈল্পিক টেনিসে মুগ্ধ করে চলেছেন রজার ফেদেরার-নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে আরও চেনা-অচেনা সব মুখ।
রোমাঞ্চকর এইসব খেলাই সুযোগ করে দিচ্ছে করোনার দুর্ভোগ সাময়িক ভুলে থাকার। টিভি পর্দায় ইউরোতে চোখ রাখলে মনে হতে পারে, এই পৃথিবীতে কোভিড বলে কিছু নেই! একটা অদৃশ্য ভাইরাস মানুষের ওপর এভাবে দিনের দিন ছড়ি ঘোরাবে; জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, অর্থ, প্রযুক্তিতে সব সময়ই এগিয়ে থাকা ইউরোপ কি তা সহজে মেনে নিতে পারে? মানেনি তারা। মহামারির শুরুর দিকে ভুগলেও ধীরে ধীরে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় ঠিকই বের করে ফেলেছে। সাধারণ মানুষের কাছে টিকা সহজলভ্য করে জীবনটা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তুলেছে। শূন্য মাঠে খেলা ফিরিয়েছে। ফিরিয়েছে মাঠের ‘প্রাণ’ দর্শকদেরও। এবারের ইউরো ১০ দেশের ১১ শহরে আয়োজন করে তারা আবারও প্রমাণ করেছে অন্য মহাদেশের চেয়ে কেন ব্যতিক্রম ইউরোপ। গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনালের বিরাট কর্মযজ্ঞ শেষে টুর্নামেন্ট এখন চলে এসেছে শেষ চারে। সেমিফাইনাল-ফাইনাল হচ্ছে শুধুই লন্ডনে। বিখ্যাত ওয়েম্বলিতে লড়াইটা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে ইতালি, স্পেন, ইংল্যান্ড আর ডেনমার্কের মধ্যে।
ঝকঝকে সম্প্রচার, ব্যাপক আয়োজন, রোমাঞ্চকর ফুটবলের সঙ্গে গ্যালারিভর্তি দর্শকদের গর্জন—এই দৃশ্য যতই সহস্র মাইলে থেকে দেখা যাক, এই দেশের ফুটবলপ্রেমীদেরও হয়তো তা আশাবাদী করে তুলছে। হয়তো মনে মনে তারাও স্বপ্ন দেখছে, এখানেও স্বাভাবিক হয়ে যাবে সবকিছু। কিন্তু সময়টা কবে আসবে—এ নিয়ে যদি বুক চিরে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস, সান্ত্বনা নেওয়ার সুযোগ থাকছে কোপা আমেরিকা থেকে। করোনায় এখনো জবুথবু লাতিন আমেরিকা। মহামারি ধাক্কায় কোপার আয়োজকের নাম পর্যন্ত শেষ মুহূর্তে বদলে গেছে। ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন আগ্রহী না হলে এবারও কোপা আমেরিকা হতে পারত স্থগিত। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে টুর্নামেন্ট এগিয়ে যাচ্ছে। যদিও খেলোয়াড়–কোচরা অসন্তুষ্ট নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, করোনায় জীবন যখন সংকটে, তখন কীভাবে স্বস্তিতে ফুটবল খেলা সম্ভব?
প্রশ্নটা পেছনে সরিয়ে মেসি–নেইমাররা হাসিমুখেই খেলে যাচ্ছেন। তাঁদের লক্ষ্য অবশ্যই শিরোপা জেতার। এই দুঃসময়ে ফুটবল জাদুতে মানুষকে কিছুটা সময় আনন্দে দেওয়াও মেসি–নেইমারদের উদ্দেশ্য। ইউরোর মতো কোপা আমেরিকাও চলে এসেছে শেষ দিকে। আজ প্রথম সেমিফাইনালে পেরুকে হারিয়ে ব্রাজিল যদি যায় ফাইনালে আর কাল কলম্বিয়া বাধা পেরোতে পারে আর্জেন্টিনা, আরেকটি ‘সুপার ক্লাসিকো’র অপেক্ষা করতেই পারেন ফুটবল রোমান্টিকরা!
সেটিই যদি হয়, ১১ জুলাই তারিখটা ক্যালেন্ডারে গোল করে রাখতেই হবে। সকালে কোপা, রাতে ইউরো। বিকেলে উইম্বলডনের ফাইনাল। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারারে টেস্ট যদি শেষ দিনে ফল দেখে—ফুটবল, টেনিস, ক্রিকেট মিলিয়ে এমন খেলাময় দিন আমাদের জীবনে কবার এসেছে!
ইন্টারনেট ভেঙে দেবেন, এমন কাউকে আনতে যাচ্ছেন বলে আলোড়ন তুলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের অতিথি কে হতে পারেন, সেটা নিয়ে চলছিল অনেক জল্পনা-কল্পনা।
১ ঘণ্টা আগেডিসেম্বরে মধ্যে ফ্লাডলাইট বাদে বাকি কাজ শেষ হয়ে যাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের। তবে পরিপূর্ণভাবে পেতে আগামী জুন পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। সে জন্য সাফ অনূর্ধ্ব-২০ আয়োজনে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে কক্সবাজারকে পছন্দ বাফুফের।
২ ঘণ্টা আগেপার্থে সকালে শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম টেস্ট। রাতে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের ম্যাচ রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন টিভিতে কী কী খেলা রয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেখেলা, ক্রিকেট, বাংলাদেশ ক্রিকেট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট, টেস্ট ক্রিকেট
২ ঘণ্টা আগে