হাসনাত শােয়েব
ঢাকা: মাত্র ১০ বছর বয়সে চিহ্নিত হয়েছিল হরমোনের সমস্যা। অন্য কেউ হলে ফুটবল ক্যারিয়ার সেখানেই থেমে যেত! কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ে যে ফুটবল–দেবতা বর দিয়ে রেখেছেন! ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে চলে আসেন লা মাসিয়ায়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খুদে জাদুকর থেকে হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা। এরপর বিশ্বসেরা থেকে সর্বকালের অন্যতম সেরা। নামটা লিওনেল মেসি না বললেও চলছে!
ফুটবল ইতিহাসে মেসি অমরত্ব পেয়েছেন আরও আগে। তবে সব ভালোই নাকি একসময় শেষ হতে হয়। সকালের সোনালি আভা পেরিয়ে এখন গোধূলিলগ্নে প্রবেশ করেছেন মেসিও। তবে মেসির চেয়েও যেন বেশি বুড়িয়ে গেছে তাঁর দল। তাই মেসি–জাদুও আর কাজে আসছে না। চলতি মৌসুমেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে পিছিয়ে ছিলেন না মেসি, কিন্তু দলীয় সাফল্য প্রায় শূন্য। একমাত্র কোপা দেল রে ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের পর লা লিগা শিরোপার সম্ভাবনাও শেষ। প্রশ্ন হচ্ছে, এর পরও কি মেসি বার্সায় থেকে যাবেন? নাকি নতুন কোনো ঠিকানা খুঁজে নেবেন? কী হতে পারে সেই ঠিকানা?
গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮–২ গোলের হারের পর বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেসি। ক্লাব সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউর সঙ্গেও বিরোধ চরমে উঠেছিল। উত্থান–পতনের নানা নাটকীয়তা শেষে বার্সায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। এরপর বার্তেমেউকে সরিয়ে হুয়ান লাপোর্তা ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হলে ক্লাবের পরিবেশও মেসির জন্য কিছুটা সহনীয় হয়। কিন্তু দলীয় সাফল্যের জন্য তা মোটেই যথেষ্ট ছিল না। আরও একটি মৌসুম শেষ হয়েছে হতাশায়।
মেসির জন্য সবচেয়ে বড় হতাশা চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতা। ২০১৪–১৫ মৌসুমের পর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও আর পরা হয়নি। কেবল স্প্যানিশ ফুটবলের সামান্য কিছু অর্জন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এখন নতুন করে চ্যাম্পিয়নস লিগের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারে মেসিকে নতুন কোনো ফরমেশন খুঁজে নিতে হবে। বার্সায় মেসির কারিকুরিও বেশির ভাগই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের মুখস্থ। তাই বার্সার রণ পরিকল্পনাও বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে।
বার্সায় মেসির সঙ্গে জুটি গড়ে তুলতে ব্যর্থ বাকিরা। যেমনটা দেখা গিয়েছিল মেসি–আলভেজ ও মেসি–সুয়ারেজ জুটির ক্ষেত্রে। বার্সায় দারুণ সফল ছিল জাভি–ইনিয়েস্তা–মেসির ত্রয়ীতেও। এমনকি মেসি–নেইমার–সুয়ারেজের সমন্বয়েও বার্সা জিতেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। এমন কার্যকর ও ফলদায়ী সমন্বয়ের অভাব বার্সার বর্তমান দলে স্পষ্ট। অতীতের সাফল্য যেন দলেও নিয়ে এসেছে ক্লান্তি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য পেতে হলে তাই মেসিরও নতুন কিছু সন্ধান করা প্রয়োজন। নতুন পরিবেশ ও মানুষ হয়তো এলএম টেনকে ভিন্নভাবে অনুপ্রাণিত করবে। সে ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার সিটি হতে পারে মেসির জন্য উপযুক্ত ঠিকানা, যেখানে গুরু গার্দিওলার অধীনে নিজের সহজাত ফুটবল ধরে রেখে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে মেসির।
বর্তমান সময়ে মেসি যেমন বার্সার ওপর অতিনির্ভরশীল, বার্সাও তাই। এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতাও দুই পক্ষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দলের অন্য তারকাদের সক্ষমতাকেও সীমায়িত করে রেখেছে। মেসি–ভাবনা মাথা থেকে ফেলে এখন বার্সারও উচিত সাফল্যের নতুন পথ খুঁজে বের করা। কেবল মেসি–জাদু দিয়ে যে আর সাফল্য মিলবে না, তা তো স্পষ্ট।
ঢাকা: মাত্র ১০ বছর বয়সে চিহ্নিত হয়েছিল হরমোনের সমস্যা। অন্য কেউ হলে ফুটবল ক্যারিয়ার সেখানেই থেমে যেত! কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ে যে ফুটবল–দেবতা বর দিয়ে রেখেছেন! ন্যাপকিন পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে চলে আসেন লা মাসিয়ায়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খুদে জাদুকর থেকে হয়ে ওঠেন বিশ্বসেরা। এরপর বিশ্বসেরা থেকে সর্বকালের অন্যতম সেরা। নামটা লিওনেল মেসি না বললেও চলছে!
ফুটবল ইতিহাসে মেসি অমরত্ব পেয়েছেন আরও আগে। তবে সব ভালোই নাকি একসময় শেষ হতে হয়। সকালের সোনালি আভা পেরিয়ে এখন গোধূলিলগ্নে প্রবেশ করেছেন মেসিও। তবে মেসির চেয়েও যেন বেশি বুড়িয়ে গেছে তাঁর দল। তাই মেসি–জাদুও আর কাজে আসছে না। চলতি মৌসুমেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে পিছিয়ে ছিলেন না মেসি, কিন্তু দলীয় সাফল্য প্রায় শূন্য। একমাত্র কোপা দেল রে ছাড়া আর কোনো অর্জন নেই। চ্যাম্পিয়নস লিগের পর লা লিগা শিরোপার সম্ভাবনাও শেষ। প্রশ্ন হচ্ছে, এর পরও কি মেসি বার্সায় থেকে যাবেন? নাকি নতুন কোনো ঠিকানা খুঁজে নেবেন? কী হতে পারে সেই ঠিকানা?
গত মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৮–২ গোলের হারের পর বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেসি। ক্লাব সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমেউর সঙ্গেও বিরোধ চরমে উঠেছিল। উত্থান–পতনের নানা নাটকীয়তা শেষে বার্সায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেসি। এরপর বার্তেমেউকে সরিয়ে হুয়ান লাপোর্তা ক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হলে ক্লাবের পরিবেশও মেসির জন্য কিছুটা সহনীয় হয়। কিন্তু দলীয় সাফল্যের জন্য তা মোটেই যথেষ্ট ছিল না। আরও একটি মৌসুম শেষ হয়েছে হতাশায়।
মেসির জন্য সবচেয়ে বড় হতাশা চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতা। ২০১৪–১৫ মৌসুমের পর ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটও আর পরা হয়নি। কেবল স্প্যানিশ ফুটবলের সামান্য কিছু অর্জন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এখন নতুন করে চ্যাম্পিয়নস লিগের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারে মেসিকে নতুন কোনো ফরমেশন খুঁজে নিতে হবে। বার্সায় মেসির কারিকুরিও বেশির ভাগই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের মুখস্থ। তাই বার্সার রণ পরিকল্পনাও বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে।
বার্সায় মেসির সঙ্গে জুটি গড়ে তুলতে ব্যর্থ বাকিরা। যেমনটা দেখা গিয়েছিল মেসি–আলভেজ ও মেসি–সুয়ারেজ জুটির ক্ষেত্রে। বার্সায় দারুণ সফল ছিল জাভি–ইনিয়েস্তা–মেসির ত্রয়ীতেও। এমনকি মেসি–নেইমার–সুয়ারেজের সমন্বয়েও বার্সা জিতেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। এমন কার্যকর ও ফলদায়ী সমন্বয়ের অভাব বার্সার বর্তমান দলে স্পষ্ট। অতীতের সাফল্য যেন দলেও নিয়ে এসেছে ক্লান্তি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সাফল্য পেতে হলে তাই মেসিরও নতুন কিছু সন্ধান করা প্রয়োজন। নতুন পরিবেশ ও মানুষ হয়তো এলএম টেনকে ভিন্নভাবে অনুপ্রাণিত করবে। সে ক্ষেত্রে ম্যানচেস্টার সিটি হতে পারে মেসির জন্য উপযুক্ত ঠিকানা, যেখানে গুরু গার্দিওলার অধীনে নিজের সহজাত ফুটবল ধরে রেখে সাফল্য পাওয়ার সুযোগ রয়েছে মেসির।
বর্তমান সময়ে মেসি যেমন বার্সার ওপর অতিনির্ভরশীল, বার্সাও তাই। এই পারস্পরিক নির্ভরশীলতাও দুই পক্ষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দলের অন্য তারকাদের সক্ষমতাকেও সীমায়িত করে রেখেছে। মেসি–ভাবনা মাথা থেকে ফেলে এখন বার্সারও উচিত সাফল্যের নতুন পথ খুঁজে বের করা। কেবল মেসি–জাদু দিয়ে যে আর সাফল্য মিলবে না, তা তো স্পষ্ট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস বিরতিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল জায়গা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আজ ম্যাচ শেষেই করাচি থেকে তাদের ধরতে হবে দুবাইয়ের বিমান। দুবাইয়ে যেতে হবে গ্রুপের আরেক সেমিফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়াকেও।
১০ মিনিট আগেগতকাল বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে তুললেও ঝামেলায় ফেলে আফগানিস্তানকে। সেমিতে ওঠার জন্য ‘আকাশ-কুসুম’ সমীকরণের মুখেই পড়ে তারা, যেখানে সবকিছু নির্ভর করছিল ইংল্যান্ডের ওপর। কিন্তু দিনশেষে আসর থেকে ছিটকেই যেতে হলো আফগানিস্তানকে।
২ ঘণ্টা আগে৩ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দেশের পুরোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। লিগ শুরুর আগে আজ বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় ডিপিএলের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান। তার আগে ডিপিএলে অংশগ্রহণকারী ১২ দলের অধিনায়ক, ক্লাব কর্মকর্তারা এবং আয়োজক সংস্থা সিসিডিএমের
২ ঘণ্টা আগেদ্রুত সময়ের মধ্যেই যেন বেশ বিকশিত আফগান ক্রিকেট। তাদের উন্নতিও বেশ চোখে পড়ার মতো। গত কয়েক বছরে আইসিসি ইভেন্টে তাদের পারফরম্যান্স আশা দেখাচ্ছে সামনে ভালো কিছুরই। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি পেসার ডেল স্টেইন মনে করেন, আফগানিস্তান আগামী এক দশকের মধ্যেই আইসিসি ট্রফি জিততে সক্ষম হবে। তবে এ জন্য তাদের ব্যক্
৪ ঘণ্টা আগে