হাসনাত শোয়েব
ঢাকা: ‘আধুনিক ফুটবল হচ্ছে শিল্প থেকে যন্ত্রের পথে যাত্রা।’ বলেছিলেন বিখ্যাত ক্রীড়া লেখক এদোয়ার্দু গালেয়ানো। যন্ত্রের সঙ্গে এটি অর্থের দিকে যাত্রাও বটে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে এসেছে অর্থের জোয়ারও। অথচ একটা সময় ছিল, যখন ফুটবলে আবেগই ছিল সব। সেই সব দিন গত হয়েছে।
এখন লিভারপুল ও বার্সেলোনার মতো শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত ক্লাবগুলোও অর্থস্বর্বস্ব প্রতিযোগিতার পেছনে ছুটছে, যা ফুটবলের সর্বজনীন অস্তিত্বকে ফেলে দিয়েছে হুমকির মুখে। আজ যা ঘটেছে, এমনটা যে ঘটতে পারে ২০০৯ সালেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আর্সেনালের কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। গত বছর প্রকাশিত ‘দ্য সাপোর্টার, ফলোয়ারস, ফ্যানস অ্যান্ড ফ্লয়োর্স’ শিরোনামের একটি গবেষণাপত্রে রিচার্ড গিওলিয়ানত্তি বলেন, ‘কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে ফুটবল মৌলিক অবকাঠামোগত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। অভিজাত স্তরে ফুটবলের আর্থিক তাৎপর্য বেড়েছে; যেখানে খেলোয়াড়, দর্শক ও মিডিয়া ধারাভাষ্যকারদের দিয়ে বড় ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও সম্পন্ন হয়েছে।’
‘হাউ সকার এক্সপ্লেইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইয়ে ফ্রাংকলিন ফুয়েরও দেখিয়েছেন কীভাবে ফুটবল করপোরেট পুঁজির হাতে বন্দী হয়ে পড়ছে। তিনি বলেছেন, আমেরিকানরা তাদের দলগুলোকে ডাকে ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি’ বলে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ানরা তা কখনো সহ্য করবে না। মার্কিন ক্লাবগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকে ম্যাকডোনাল্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ব্রাজিলিয়ানদের দলগুলো শুধুই ক্লাব।
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে ক্লাবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে রূপ নিতে থাকে, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবেরদের নজরে পড়তেও সময় লাগেনি, যাদের কাছে প্যাশনের পরিবর্তে ফুটবল হয়ে ওঠে অন্য আরেকটি ব্যবসা।
যার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল নতুন এই ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আবির্ভাবে। এই প্রলোভন থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি বার্সেলোনা ও লিভারপুলের মতো ক্লাবগুলোও। এর মধ্য দিয়ে ধনীদের অস্তিত্বই কেবল সুদৃঢ় হবে। দরিদ্র ক্লাবগুলো আরও দরিদ্র হবে, কোনো কোনো ক্লাবকে হয়তো গুটিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, অর্থের এই ঝনঝনানির সামনে কি ফুটবলের চিরায়ত আবেগ টিকে থাকতে পারবে? বিপরীতে আশাবাদী করে তোলে এন্ডের হেরেরা, মেসুত ওজিল কিংবা জেমস মিলনারের মতো তারকারা। যাঁরা স্পষ্টভাবে বলেছেন, সাধারণ মানুষের হাতে সৃষ্ট ফুটবল ধনীদের চুরি করা সমর্থনযোগ্য নয়। এই লিগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সাবেক ফুটবল তারকারাও। এমনকি বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো ক্লাবও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
‘সকার অ্যাগেইনস্ট দ্য এনিমি’তে সাইমন কুপার ২২টি দেশ ঘুরে ফুটবল কীভাবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব ফেলেছে, তা তুলে ধরেছেন। কীভাবে রাজনৈতিক শক্তিগুলো ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটিও উঠে এসেছে এ বইয়ে। বর্তমান সময়ে শক্তির কেন্দ্র বদলে গেছে। এখন রাজনীতি নয়, ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে অর্থনৈতিক শক্তিগুলো ও করপোরেট পুঁজির হাতে, যারা চাইলেই এরকম একটি এলিট লিগ ফুটবলপ্রেমী মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে, যার পেছনে একমাত্র উদ্দেশ্য শুধু অর্থভান্ডার সমৃদ্ধ করা। বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীরা ও সমর্থকগোষ্ঠী এরই মধ্যে এই সুপার লিগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি উয়েফা ও ফিফাও এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছে, এটি উয়েফার সঙ্গে বড় ক্লাবগুলোর দেনদরবারের হাতিয়ার কি না। যদি তাই হয়, সামনের দিনে এটি একটি অশুভ বার্তা হয়ে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগ সফল হোক কিংবা ব্যর্থ, এর মধ্য দিয়ে ফুটবল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হলো।
ঢাকা: ‘আধুনিক ফুটবল হচ্ছে শিল্প থেকে যন্ত্রের পথে যাত্রা।’ বলেছিলেন বিখ্যাত ক্রীড়া লেখক এদোয়ার্দু গালেয়ানো। যন্ত্রের সঙ্গে এটি অর্থের দিকে যাত্রাও বটে। ফুটবলের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে এসেছে অর্থের জোয়ারও। অথচ একটা সময় ছিল, যখন ফুটবলে আবেগই ছিল সব। সেই সব দিন গত হয়েছে।
এখন লিভারপুল ও বার্সেলোনার মতো শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে বিবেচিত ক্লাবগুলোও অর্থস্বর্বস্ব প্রতিযোগিতার পেছনে ছুটছে, যা ফুটবলের সর্বজনীন অস্তিত্বকে ফেলে দিয়েছে হুমকির মুখে। আজ যা ঘটেছে, এমনটা যে ঘটতে পারে ২০০৯ সালেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আর্সেনালের কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। গত বছর প্রকাশিত ‘দ্য সাপোর্টার, ফলোয়ারস, ফ্যানস অ্যান্ড ফ্লয়োর্স’ শিরোনামের একটি গবেষণাপত্রে রিচার্ড গিওলিয়ানত্তি বলেন, ‘কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে ফুটবল মৌলিক অবকাঠামোগত পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। অভিজাত স্তরে ফুটবলের আর্থিক তাৎপর্য বেড়েছে; যেখানে খেলোয়াড়, দর্শক ও মিডিয়া ধারাভাষ্যকারদের দিয়ে বড় ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবর্তনও সম্পন্ন হয়েছে।’
‘হাউ সকার এক্সপ্লেইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইয়ে ফ্রাংকলিন ফুয়েরও দেখিয়েছেন কীভাবে ফুটবল করপোরেট পুঁজির হাতে বন্দী হয়ে পড়ছে। তিনি বলেছেন, আমেরিকানরা তাদের দলগুলোকে ডাকে ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি’ বলে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ানরা তা কখনো সহ্য করবে না। মার্কিন ক্লাবগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকে ম্যাকডোনাল্ডের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু ব্রাজিলিয়ানদের দলগুলো শুধুই ক্লাব।
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে বিশ্বজুড়ে ক্লাবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে রূপ নিতে থাকে, যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ধনকুবেরদের নজরে পড়তেও সময় লাগেনি, যাদের কাছে প্যাশনের পরিবর্তে ফুটবল হয়ে ওঠে অন্য আরেকটি ব্যবসা।
যার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল নতুন এই ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আবির্ভাবে। এই প্রলোভন থেকে মুক্ত থাকতে পারেনি বার্সেলোনা ও লিভারপুলের মতো ক্লাবগুলোও। এর মধ্য দিয়ে ধনীদের অস্তিত্বই কেবল সুদৃঢ় হবে। দরিদ্র ক্লাবগুলো আরও দরিদ্র হবে, কোনো কোনো ক্লাবকে হয়তো গুটিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, অর্থের এই ঝনঝনানির সামনে কি ফুটবলের চিরায়ত আবেগ টিকে থাকতে পারবে? বিপরীতে আশাবাদী করে তোলে এন্ডের হেরেরা, মেসুত ওজিল কিংবা জেমস মিলনারের মতো তারকারা। যাঁরা স্পষ্টভাবে বলেছেন, সাধারণ মানুষের হাতে সৃষ্ট ফুটবল ধনীদের চুরি করা সমর্থনযোগ্য নয়। এই লিগের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সাবেক ফুটবল তারকারাও। এমনকি বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মতো ক্লাবও এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
‘সকার অ্যাগেইনস্ট দ্য এনিমি’তে সাইমন কুপার ২২টি দেশ ঘুরে ফুটবল কীভাবে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর প্রভাব ফেলেছে, তা তুলে ধরেছেন। কীভাবে রাজনৈতিক শক্তিগুলো ফুটবলকে নিয়ন্ত্রণ করছে, সেটিও উঠে এসেছে এ বইয়ে। বর্তমান সময়ে শক্তির কেন্দ্র বদলে গেছে। এখন রাজনীতি নয়, ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে অর্থনৈতিক শক্তিগুলো ও করপোরেট পুঁজির হাতে, যারা চাইলেই এরকম একটি এলিট লিগ ফুটবলপ্রেমী মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে, যার পেছনে একমাত্র উদ্দেশ্য শুধু অর্থভান্ডার সমৃদ্ধ করা। বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীরা ও সমর্থকগোষ্ঠী এরই মধ্যে এই সুপার লিগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাশাপাশি উয়েফা ও ফিফাও এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
অনেকে প্রশ্ন তুলেছে, এটি উয়েফার সঙ্গে বড় ক্লাবগুলোর দেনদরবারের হাতিয়ার কি না। যদি তাই হয়, সামনের দিনে এটি একটি অশুভ বার্তা হয়ে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগ সফল হোক কিংবা ব্যর্থ, এর মধ্য দিয়ে ফুটবল স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্তই হলো।
বৃষ্টি আগের দিন অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে তুললেও ক্ষীণ করে তুলেছিল আফগানদের শেষ চারের ওঠার সম্ভাবনা। সেটা এতই ক্ষীণ যে তা উবে যাওয়ার জন্য গতকাল ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের শেষ পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হলো না। করাচিতে কাল ইংল্যান্ডে ১৭৯ রানে অলআউট করেই শেষ চার নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতেই
১১ মিনিট আগেইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস বিরতিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল জায়গা নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আজ ম্যাচ শেষেই করাচি থেকে তাদের ধরতে হবে দুবাইয়ের বিমান। দুবাইয়ে যেতে হবে গ্রুপের আরেক সেমিফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়াকেও।
৩২ মিনিট আগেগতকাল বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে তুললেও ঝামেলায় ফেলে আফগানিস্তানকে। সেমিতে ওঠার জন্য ‘আকাশ-কুসুম’ সমীকরণের মুখেই পড়ে তারা, যেখানে সবকিছু নির্ভর করছিল ইংল্যান্ডের ওপর। কিন্তু দিনশেষে আসর থেকে ছিটকেই যেতে হলো আফগানিস্তানকে।
৩ ঘণ্টা আগে৩ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে দেশের পুরোনো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। লিগ শুরুর আগে আজ বিকেলে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় ডিপিএলের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান। তার আগে ডিপিএলে অংশগ্রহণকারী ১২ দলের অধিনায়ক, ক্লাব কর্মকর্তারা এবং আয়োজক সংস্থা সিসিডিএমের
৩ ঘণ্টা আগে