আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি
আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা
শিরোপার বড় দাবিদার হয়েই আর্জেন্টিনা এবারের বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে এবং ফাইনালে নতুন করে তাদের শুরু করতে হবে। ফ্রান্স বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। এই দলকে হারাতে হলে আর্জেন্টিনাকে কোনো ভুল করা চলবে না। স্কালোনিকে পুরো দল অনেক বিশ্বাস করে। সবাই স্কালোনির কাজ ও ধারণা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে। পাবলো আইমার এবং ওয়াল্টার স্যামুয়েল স্কালোনিকে পূর্ণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দলের সবাই ফিট, যেটা মেসিকে ২০ বছর বয়সী কিশোরের মতো খেলার সাহস দিচ্ছে।
শক্তির জায়গা
আর্জেন্টিনা গ্রুপের সবচেয়ে খারাপ অবস্থান থেকে শীর্ষে উঠেছে, যেটা ভীষণ অনুপ্রেরণার। ফাইনাল হবে বুদ্ধির খেলা। আমার আশা, ছেলেরা ফাইনালের জন্য প্রস্তুত। তাদের শক্তির জায়গা অনেক। শুরুতে এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেজের কথা বলতে হয়। গোল পোস্টের নিচে তাঁর নিরাপত্তা, মেজাজ আর ব্যক্তিত্ব আর্জেন্টিনাকে ভরসা জোগায়। সৌদি আরব ম্যাচে সেন্টার ডিফেন্ডাররা অসংখ্য ভুল করেছিল। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোয় তারা সেই ভুল শুধরেছে, বিশেষ করে নিকোলাস ওতামেন্দি। এনজো ফার্নান্দেজ ও আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আছে দুর্দান্ত ফর্মে। মাঝমাঠ থেকে দি পলকে তারা ক্লান্তিহীনভাবে আর ক্রমাগত বলের জোগান দিয়ে যায়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি কোথাও বলেছিলাম, হুলিয়ান আলভারেস হবে এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেরা আবিষ্কার এবং সেটাই হয়েছে। সবাই মিলে মেসিকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতাই করছে এবং মেসিও সেগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে।
চিন্তা আছে যেখানে
আমার একটা জায়গায় খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে যে আর্জেন্টিনা ওপরে গিয়ে খুব বেশি বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। আর এ কারণে নিচে এবং পোস্টের খুব কাছে এসে বলকে পায়ে রাখার চেষ্টা করতে হয়। কিলিয়ান এমবাপ্পেও দুশ্চিন্তার আরেক কারণ। তাঁর মতো দ্রুতগতির ফুটবলার যদি আর্জেন্টিনার অর্ধে বল পায় তাহলে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে মেসি দুর্দান্ত ফর্মে আছে এবং হুলিয়ান আলভারেস, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, রদ্রিগো দি পলরা তাঁকে সহায়তার জন্য আছে। এবং এরাই ফ্রান্সকে আঘাত করতে যথেষ্ট।
ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মেসি-ফ্যাক্ট
আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ভরসা অবশ্যই মেসি। তবে জাতীয় দলের হয়ে তাঁকে আর খেলতে দেখা যাবে কি না সেটা শুধু সেই জানে। অবশ্য এই বয়সেও চোটমুক্ত থেকে আরও কিছুদিন খেলে যেতে পারলে হয়তো নিজ থেকেই আবারও হয়তো সে জাতীয় দলে খেলার উৎসাহ পাবে।
আমি প্রস্তুত, চলো আর্জেন্টিনা: মেসি
সম্ভাব্য ফরমেশন
ফাইনাল যেহেতু ফ্রান্সের বিপক্ষে, এমবাপ্পের গতি নিয়ে অবশ্যই দুশ্চিন্তা থাকার কথা স্কালোনির। গতিময় ফ্রান্সকে থামাতে স্কালোনির সম্ভাব্য ফরমেশন হতে পারে দুটি। একটি হতে পারে ৫ ডিফেন্ডারকে নিয়ে ৫-৩-২ ফরমেশন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও এই ফরমেশনে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। আরেকটি হতে পারে দি মারিয়াকে একাদশে রেখে ৪-৩-৩ ফরমেশন। সে ক্ষেত্রে হয়তো লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে একাদশের বাইরে থাকতে হতে পারে।
বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থন
বিশ্বজুড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থন মুগ্ধ করার মতো। শুধু বুয়েনস এইরেসেই নয়, পুরো আর্জেন্টিনা তৃতীয় বিশ্বকাপের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। বাংলাদেশি ভক্তদের সমর্থন আমাদের মুগ্ধ করেছে এবং আমরা এই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।
‘মেসিদের নিয়ে বাবা গর্ব করতেন’
আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি, বাংলাদেশের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা
শিরোপার বড় দাবিদার হয়েই আর্জেন্টিনা এবারের বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে এবং ফাইনালে নতুন করে তাদের শুরু করতে হবে। ফ্রান্স বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। এই দলকে হারাতে হলে আর্জেন্টিনাকে কোনো ভুল করা চলবে না। স্কালোনিকে পুরো দল অনেক বিশ্বাস করে। সবাই স্কালোনির কাজ ও ধারণা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখে। পাবলো আইমার এবং ওয়াল্টার স্যামুয়েল স্কালোনিকে পূর্ণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। দলের সবাই ফিট, যেটা মেসিকে ২০ বছর বয়সী কিশোরের মতো খেলার সাহস দিচ্ছে।
শক্তির জায়গা
আর্জেন্টিনা গ্রুপের সবচেয়ে খারাপ অবস্থান থেকে শীর্ষে উঠেছে, যেটা ভীষণ অনুপ্রেরণার। ফাইনাল হবে বুদ্ধির খেলা। আমার আশা, ছেলেরা ফাইনালের জন্য প্রস্তুত। তাদের শক্তির জায়গা অনেক। শুরুতে এমিলিয়ানো ‘দিবু’ মার্তিনেজের কথা বলতে হয়। গোল পোস্টের নিচে তাঁর নিরাপত্তা, মেজাজ আর ব্যক্তিত্ব আর্জেন্টিনাকে ভরসা জোগায়। সৌদি আরব ম্যাচে সেন্টার ডিফেন্ডাররা অসংখ্য ভুল করেছিল। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোয় তারা সেই ভুল শুধরেছে, বিশেষ করে নিকোলাস ওতামেন্দি। এনজো ফার্নান্দেজ ও আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আছে দুর্দান্ত ফর্মে। মাঝমাঠ থেকে দি পলকে তারা ক্লান্তিহীনভাবে আর ক্রমাগত বলের জোগান দিয়ে যায়। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি কোথাও বলেছিলাম, হুলিয়ান আলভারেস হবে এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেরা আবিষ্কার এবং সেটাই হয়েছে। সবাই মিলে মেসিকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতাই করছে এবং মেসিও সেগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে।
চিন্তা আছে যেখানে
আমার একটা জায়গায় খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে যে আর্জেন্টিনা ওপরে গিয়ে খুব বেশি বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। আর এ কারণে নিচে এবং পোস্টের খুব কাছে এসে বলকে পায়ে রাখার চেষ্টা করতে হয়। কিলিয়ান এমবাপ্পেও দুশ্চিন্তার আরেক কারণ। তাঁর মতো দ্রুতগতির ফুটবলার যদি আর্জেন্টিনার অর্ধে বল পায় তাহলে সেটা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে মেসি দুর্দান্ত ফর্মে আছে এবং হুলিয়ান আলভারেস, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, রদ্রিগো দি পলরা তাঁকে সহায়তার জন্য আছে। এবং এরাই ফ্রান্সকে আঘাত করতে যথেষ্ট।
ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মেসি-ফ্যাক্ট
আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় ভরসা অবশ্যই মেসি। তবে জাতীয় দলের হয়ে তাঁকে আর খেলতে দেখা যাবে কি না সেটা শুধু সেই জানে। অবশ্য এই বয়সেও চোটমুক্ত থেকে আরও কিছুদিন খেলে যেতে পারলে হয়তো নিজ থেকেই আবারও হয়তো সে জাতীয় দলে খেলার উৎসাহ পাবে।
আমি প্রস্তুত, চলো আর্জেন্টিনা: মেসি
সম্ভাব্য ফরমেশন
ফাইনাল যেহেতু ফ্রান্সের বিপক্ষে, এমবাপ্পের গতি নিয়ে অবশ্যই দুশ্চিন্তা থাকার কথা স্কালোনির। গতিময় ফ্রান্সকে থামাতে স্কালোনির সম্ভাব্য ফরমেশন হতে পারে দুটি। একটি হতে পারে ৫ ডিফেন্ডারকে নিয়ে ৫-৩-২ ফরমেশন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও এই ফরমেশনে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। আরেকটি হতে পারে দি মারিয়াকে একাদশে রেখে ৪-৩-৩ ফরমেশন। সে ক্ষেত্রে হয়তো লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে একাদশের বাইরে থাকতে হতে পারে।
বাংলাদেশের আর্জেন্টিনা সমর্থন
বিশ্বজুড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থন মুগ্ধ করার মতো। শুধু বুয়েনস এইরেসেই নয়, পুরো আর্জেন্টিনা তৃতীয় বিশ্বকাপের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে। বাংলাদেশি ভক্তদের সমর্থন আমাদের মুগ্ধ করেছে এবং আমরা এই সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ।
‘মেসিদের নিয়ে বাবা গর্ব করতেন’
আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি, বাংলাদেশের সাবেক আর্জেন্টাইন কোচ
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
টেস্টে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের অভ্যাসটা ভালোই রপ্ত করেছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে তো বটেই, বাজবল ঘরানার এই ব্যাটিং মাঝেমধ্যে ছাপিয়ে যায় টি-টোয়েন্টিকেও। অনেক সময় ইংল্যান্ড তাই সাদা পোশাকে ব্যাটিং করলেও ধন্দে পড়ে যেতে হয় এই ভেবে যে এখানে কোন সংস্করণের খেলাটা আসলে হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেশুরুতেই হোঁচট খাওয়া বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপে খুবই পরিচিত দৃশ্য। বিশেষ করে টেস্টে এই রোগ থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারছে না কিছুতেই। জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও দেখা গেছে একই ঘটনা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডাররাও মিস করেছেন একের পর এক ক্যাচ।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। তবে টানা বৃষ্টির কারণে মাঠ ও উইকেট এখনো ভেজা ও নরম থাকায় টসের সময় পেছানো হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ যখন আজ জ্যামাইকায় ঘুরে দাঁড়ানোর টেস্ট খেলতে নামছে, তখন দেশে আলোচনা সাকিব আল হাসানের ওয়ানডে দলে না থাকা নিয়ে। আগামী ৮ ডিসেম্বর শুরু ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাকিব নেই—এটা নিশ্চিত। তারকা অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পরও নির্বাচকেরা দল ঘোষণা করতে পারেননি।
১৩ ঘণ্টা আগে