মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন
সাকিব যে হঠাৎ করেই এভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত নেবে, ভাবতেও পারিনি। দুই দিন আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার, তবে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সে কারণেই হয়তো, তার অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর পর সত্যি বলতে বিস্মিত হয়েছি! অনেকক্ষণ চুপচাপই ছিলাম। অনেকের ফোনও এসেছে, কারও সঙ্গে কথা বলিনি।
সাকিব শক্ত মানসিকতার, এটা মানতেই হবে। কিন্তু একটা সময় থাকে যখন সবকিছু পেরে ওঠা কঠিন। একে তো মাঠে খেলার ধকল, তার ওপর খেলার বাইরে এত কিছু—একজন শক্ত মানুষের পক্ষেও একই সময়ে সবকিছু সামলে ওঠা কঠিন। অন্য কেউ হলে হয়তো আগেই ক্ষান্ত দিত। এত কিছুর পরও ও যে এখনো খেলছে, এটাই আমার কাছে একটা বিস্ময়। সাকিব বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সাকিব বাংলাদেশের ক্ষণজন্মা এক অলরাউন্ডার। তার মতো দ্বিতীয় অলরাউন্ডার বাংলাদেশে কিংবা বিশ্বে কখন আসবে বলা কঠিন। সে একজন জেনুইন ব্যাটার, জেনুইন বোলার, সেরা ফিল্ডারও। ১৭ বছর ধরে একই তালে খেলে যাওয়া এমন ‘একের ভেতর তিন’ ক্রিকেটারের বাংলাদেশে তো বটে, বিশ্ব ক্রিকেটেও বিরল। ১০০টি ম্যাচ খেললে তার ৮৫টি ম্যাচেই সে পারফর্ম করেছে, কোনো না কোনোভাবে অবদান রেখেছে। খুব কম সময়ই দেখা গেছে যে সাকিব পারফর্ম করতে ব্যর্থ। সাম্প্রতিক সময়ে সে ছোটখাটো অবদান রাখলেও তাঁকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেশি হওয়ায় ফর্ম নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি।
দেশের ক্রিকেটে সাকিবের সবচেয়ে বড় অবদান দলের মধ্যে ‘আমরাও পারি’ বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। ভালো খেলে যে আমরাও বিশ্বের এক নম্বর হতে পারি—সেই আত্মবিশ্বাস ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবই ছড়িয়ে দিয়েছে। যেকোনো দেশের যেকোনো খেলা ওপরে উঠেছে সেই দেশের খেলার কোনো আইকন কিংবা নায়ককে কেন্দ্র করে। আমাদের ক্রিকেটের সাকিব হচ্ছে সেই আইকন। ও সব প্রতিকূলতা মাড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়েছে। ব্যাপারটা দেশের অন্য ক্রিকেটারদেরও উজ্জীবিত করেছে, তাদের মধ্যে এই বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে—আমাদের মধ্যে থেকেও কেউ একজন নাম্বার ওয়ান হয়েছে।
ক্যারিয়ারের শেষ দিকে সাকিব রাজনীতিতে জড়িয়েছিল, যা কখনই আমার পছন্দ ছিল না। তার কোচ হিসেবে আমার জন্য এটা মেনে নেওয়াটাও কষ্টের ছিল। এটা ওকে অনেক ক্ষতি করেছে। আমি সব সময়ই এটার বিপক্ষে ছিলাম। সে যা-ই হোক, দেশের মাটিতে মিরপুরে টেস্ট খেলে সে বিদায় নিতে চেয়েছে। ঢাকার মাঠে ওকে সুন্দর বিদায় দেবে, এটা তাঁর প্রাপ্য। সে যদি দেশের মাঠে বিদায় না নিতে পারে, অনেক কষ্ট পাব। খেলা ছাড়ছে এতটা কষ্ট পাব না। কিন্তু দেশের মাঠে সুন্দরভাবে বিদায় না বলতে পারলে ওই কষ্ট সারা জীবন থেকে যাবে আমার।
সাকিব যে হঠাৎ করেই এভাবে অবসরের সিদ্ধান্ত নেবে, ভাবতেও পারিনি। দুই দিন আগেও তার সঙ্গে কথা হয়েছে আমার, তবে এ নিয়ে কোনো কথা হয়নি। সে কারণেই হয়তো, তার অবসরের সিদ্ধান্ত জানানোর পর সত্যি বলতে বিস্মিত হয়েছি! অনেকক্ষণ চুপচাপই ছিলাম। অনেকের ফোনও এসেছে, কারও সঙ্গে কথা বলিনি।
সাকিব শক্ত মানসিকতার, এটা মানতেই হবে। কিন্তু একটা সময় থাকে যখন সবকিছু পেরে ওঠা কঠিন। একে তো মাঠে খেলার ধকল, তার ওপর খেলার বাইরে এত কিছু—একজন শক্ত মানুষের পক্ষেও একই সময়ে সবকিছু সামলে ওঠা কঠিন। অন্য কেউ হলে হয়তো আগেই ক্ষান্ত দিত। এত কিছুর পরও ও যে এখনো খেলছে, এটাই আমার কাছে একটা বিস্ময়। সাকিব বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সাকিব বাংলাদেশের ক্ষণজন্মা এক অলরাউন্ডার। তার মতো দ্বিতীয় অলরাউন্ডার বাংলাদেশে কিংবা বিশ্বে কখন আসবে বলা কঠিন। সে একজন জেনুইন ব্যাটার, জেনুইন বোলার, সেরা ফিল্ডারও। ১৭ বছর ধরে একই তালে খেলে যাওয়া এমন ‘একের ভেতর তিন’ ক্রিকেটারের বাংলাদেশে তো বটে, বিশ্ব ক্রিকেটেও বিরল। ১০০টি ম্যাচ খেললে তার ৮৫টি ম্যাচেই সে পারফর্ম করেছে, কোনো না কোনোভাবে অবদান রেখেছে। খুব কম সময়ই দেখা গেছে যে সাকিব পারফর্ম করতে ব্যর্থ। সাম্প্রতিক সময়ে সে ছোটখাটো অবদান রাখলেও তাঁকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা বেশি হওয়ায় ফর্ম নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলেছি।
দেশের ক্রিকেটে সাকিবের সবচেয়ে বড় অবদান দলের মধ্যে ‘আমরাও পারি’ বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে। ভালো খেলে যে আমরাও বিশ্বের এক নম্বর হতে পারি—সেই আত্মবিশ্বাস ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিবই ছড়িয়ে দিয়েছে। যেকোনো দেশের যেকোনো খেলা ওপরে উঠেছে সেই দেশের খেলার কোনো আইকন কিংবা নায়ককে কেন্দ্র করে। আমাদের ক্রিকেটের সাকিব হচ্ছে সেই আইকন। ও সব প্রতিকূলতা মাড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হয়েছে। ব্যাপারটা দেশের অন্য ক্রিকেটারদেরও উজ্জীবিত করেছে, তাদের মধ্যে এই বিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে—আমাদের মধ্যে থেকেও কেউ একজন নাম্বার ওয়ান হয়েছে।
ক্যারিয়ারের শেষ দিকে সাকিব রাজনীতিতে জড়িয়েছিল, যা কখনই আমার পছন্দ ছিল না। তার কোচ হিসেবে আমার জন্য এটা মেনে নেওয়াটাও কষ্টের ছিল। এটা ওকে অনেক ক্ষতি করেছে। আমি সব সময়ই এটার বিপক্ষে ছিলাম। সে যা-ই হোক, দেশের মাটিতে মিরপুরে টেস্ট খেলে সে বিদায় নিতে চেয়েছে। ঢাকার মাঠে ওকে সুন্দর বিদায় দেবে, এটা তাঁর প্রাপ্য। সে যদি দেশের মাঠে বিদায় না নিতে পারে, অনেক কষ্ট পাব। খেলা ছাড়ছে এতটা কষ্ট পাব না। কিন্তু দেশের মাঠে সুন্দরভাবে বিদায় না বলতে পারলে ওই কষ্ট সারা জীবন থেকে যাবে আমার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কিংসটাউনে সিরিজের দ্বিতীয় টোয়েন্টিতে চোটে পড়েন সৌম্য সরকার। ফিল্ডিং করার সময় ডান তর্জনী কেটে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন, লেগেছিল পাঁচটি সেলাইও। চার সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে, তখনই বিসিবির চিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছিল। সৌম্য এখন সুস্থতার দিকে। চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
২৮ মিনিট আগেআক্রমণের পর আক্রমণ, দিশেহারা হয়ে ওঠে আল-তাউনের রক্ষণ। কিন্তু ফুটবল তো গোলের খেলা। আক্রমণ যেমনই হোক, কাঙ্ক্ষিত গোলই তো মুখ্য। উল্টো নিজেরাই প্রথমার্ধে গোল হজম করে পিছিয়ে যায় আল নাসর। সফল হতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও, আইমেরিক লাপোর্তের গোলে কোনোরকম হার এড়ায় তারা।
১ ঘণ্টা আগেস্কটল্যান্ডের কিংবদন্তি ও ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার ডেনিস ল মারা গেছেন। ‘দ্য কিং’ এবং ‘দ্য লম্যান’ নামে পরিচিত ডেনিস ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলেছেন ১১ বছর। ক্লাবটির হয়ে করেছিলেন ৪০৪ ম্যাচে ২৩৭ গোল। ওয়েন রুনি ও ববি চার্লটনের পরে ইউনাইটেডের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি।
১ ঘণ্টা আগেআজ শুরু থেকে শুরু হচ্ছে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সংস্করণ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন মাঠে নামছে বাংলাদেশও। মালয়েশিয়ার বাঙ্গিতে প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল। বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
২ ঘণ্টা আগে